২২তম পর্ব – একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে – আতা‘ (দান করা) – শায়খ আতিক উল্লাহ


আতা‘ (দান করা)

আতা মানে দান। দান করা সুন্নাত। নিজেও সুখী অন্যেও সুখী। এর চেয়ে সুন্দর আদর্শ আর কিছু হতে পারে! দান করলে শুধু সওয়াবই পাওয়া যায় তাই নয়, মনে প্রশান্তির প্রলেপ লাগে। দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটে:
আল্লাহর রাসূলের কাছে কিছু চাইলেই তিনি দিতেন। এক লোক এসে তার কাছে কিছু প্রার্থনা করলো। তিনি তাকে দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে চরে বেড়ানো কিছু মেষ দিলেন। সে লোক ফিরে গিয়ে বললো:
-হে লোকেরা! ইসলাম গ্রহণ করো! মুহাম্মাদ মুক্তহস্তে দান করে! দারিদ্রের ভয় করে না (আনাস রা.-মুসলিম)।

নবীজি সব সময় তো দান করতেনই, রামাদান এলে দু’হাত খুলে দান করতেন:
আল্লাহর রাসুল শ্রেষ্ঠতম দানশীল মানুষ। রামাদানে সবচেয়ে বেশি দান করতেন। জিবরাঈল প্রতি রামাদানে নবীজির সাথে সাক্ষাত করতেন। কুরআন দাওর করতেন। তখন রাসূলুল্লাহ কল্যানবাহী বাতাসের চেয়েও মুক্তহস্ত হয়ে উঠতেন! (মুত্তাফাক: ইবনে আব্বাস।

আমরাও প্রিয় নবীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হতে পারি। নিয়মিত দান করতে পারি। শুধু জুমাবারে নয়। ঈদের দিন নয়। আত্মীয়-স্বজন মারা গেলেই নয়। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও দান করতে পারি।

প্রতিদিন ফজরে ওঠেই কিছু দান করার নিয়ত করতে পারি। সামান্য কিছু হলেও। একটাকা বা একটা খেজুর দিয়ে হলেও।

প্রতিদিন শোয়ার সময় হিশেব নিতে পারি, আজ কি কিছু দান করেছি! এই সুন্নাত আদায় করতে তো বুযুর্গ হতে হবে না। ঘরবাড়ি ছাড়তে হবে না। দৈনন্দিন আরাম-আয়েশ ছাড়তে হবে না!

দান করে কেউ কোনও দিন দেউলিয়া হয়েছে, এমন নজীর নেই। আল্লাহ নিশ্চিত আশ্বাস দিয়েই রেখেছেন, দান করলে তিনি বাড়িয়ে দিবেন: তোমরা যাই খরচ (দান) করো, আমি তার বিনিময় দিয়ে দেবো! (সূরা সাবা: ৩৯)