গাজওয়ায়ে খায়বর
মদিনার ইহুদিদের মধ্য থেকে বনু নাযির যখন খায়বরে গিয়ে বসতি স্থাপন করে, তখন থেকেই খায়বর যাবতীয় ইহুদি-তৎপরতার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়। তারা আরবের বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণকে ইসলামের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করতো। তাদের এই অপতৎপরতা বন্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৭ম হিজরির মুহাররম কিংবা জুমাদাল উলায় চারশত পদাতিক এবং দুইশত অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে খায়বর অভিমুখে যাত্রা করেন। তুমুল সংঘর্ষ ও হতাহতের পর মহান আল্লাহ মুসলমানদের বিজয় দান করেন এবং ইহুদিদের সমস্ত দুর্গ মুসলামানদের হস্তগত হয়।
এ যদ্ধে হযরত আলি রাযিয়াল্লাহু সর্বাধিক দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাই খায়বরের কপাট উপড়ে ফেলেন, অথচ ৭০ জন লোকের পক্ষেও সেটি নাড়ানো সহজ ছিলো। কোনো বর্ণনায় এসেছে, তিনি এই দরজাটিকে ঢালস্বরূপ ব্যবহার করেছিলেন।
খাইবার বিজয়ের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েক দিন সেখানে অবস্থানকরেন। যায়নাব নামে এক ইহুদি রাসূলের কাছে বিষ মেশানো ভুনা বকরি পাঠায়। সামান্য একটু চেখে দেখে রাসূল তা বর্জন করেন। এতে নবীজির কিছু না হলেও হযরত বিশর রাযিয়াল্লাহু আনহু ইন্তেকাল করেন; তবে নবীজির অন্তিম পীড়ায় এই বিষের প্রতিক্রিয়া ছিলো—সিরাতের বইগুলোতে এই বিবরণ রয়েছে।
ফাদাক বিজয়
খায়বার বিজয়ের পর নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাদাকের ইহুদিদের বিরুদ্ধে একটি ক্ষুদ্র বাহিনী প্রেরণ করেন। তারা চুক্তির মাধ্যমে মুসলমানদের সাথে সন্ধি স্থাপন করে নেয়।
ওমরাতুলকাযা
হুদায়বিয়ার সন্ধির বছর যে ওমরা স্থগিত করা হয়েছিলো এবং কুরাইশ কাফেরদের সাথে যে চুক্তি হয়েছিলো, সে চুক্তি অনুযায়ী নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল সাহাবিসহ পুনরায় মক্কায় তাশরিফ নিয়ে আসেন এবং চুক্তির শর্তাবলির প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা বজায় রেখে ওমরা সমাপান্তে মদীনায় ফিরে যান।
তথ্যসূত্র:সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, মুফতি শফি।