আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, আল্লাহ্ তা’আলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল কি? তিনি বললেনঃ যে আমল নিয়মিত করা হয়। যদিও তা অল্প হোক। তিনি আরোও বললেন, তোমরা সাধ্যমত আমল করে যাও। [বুখারী, ৬০২১]
রাসূলুল্লাহর ১০০০ সুন্নাত – শায়খ খালিদ আল হুসাইনান
ঘুমোতে যাবার আগে মাসনূন দোয়া, ঘুম থেকে জেগে উঠার পরে পালনীয় সুন্নাত, প্রস্রাব-পায়খানায় প্রবেশ এবং বের হবার সুন্নাত নিয়ম, কখন মিসওয়াক করা সুন্নাত, এর উপকারিতা ও ফযিলত, ওযুর বিধি-বিধান, সুন্নাত নিয়ম, সুন্নাত নিয়মে করার ফযিলত, ভঙ্গের কারণ, গোসল করার সুন্নাত নিয়ম, ঘর-মসজিদে্র সুন্নাত, সালাতের সুন্নাত (বিস্তারিত), সকাল-সন্ধ্যায় পঠিত কিছু মাসনূন দোয়া বা আল্লাহর যিকির।
আল্লাহর যিকির বিশ্বাসীদের জীবনের অন্যতম সম্পদ। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সাওয়াব অর্জনের অন্যতম পথ। মহাশত্রু শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হৃদয়কে রক্ষা করার অন্যতম উপায় আল্লাহর যিকির। চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায় আল্লাহর যিকির। ভারাক্রান্ত মানব হৃদয়কে হিংসা, বিদ্বেষ, বিরক্তি, অস্থিরতা ইত্যাদির মহাভার থেকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় আল্লাহর যিকির। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, আখিরাতের কামনা ও তাকওয়াকে হৃদয়ে সঞ্চারিত, সঞ্জীবিত, দৃঢ়তর ও স্থায়ী করার অন্যতম উপায় আল্লাহর যিকির। এর মাধ্যমে পার্থিব লোভ ও ভন্ডামী থেকে হৃদয়কে মুক্ত করা যায়। জাগতিক ভয়ভীতি ও লোভলালসা তুচ্ছ করে আল্লাহর পথে নিজেকে বিলিয়ে দিতে, তাঁর কালেমাকে উচ্চ করতে মুমিনের অন্যতম বাহন আল্লাহর যিকির।
বড়দের তাহাজ্জুদ ও রাতজাগরণ – ইমাম আবু বকর ইবনে আবিদ্দুনইয়া
রাত জেগে ইবাদাত করা ও তাহাজ্জুদ প্রসঙ্গে কুরআন ও হাদীস, সাহাবি ও তাদের অনুসারীদের উক্তি ও রাত জেগে ইবাদাতের প্রতি তাদের ভালোবাসার ঘটনাবলীর চমৎকার এক সংকলন।
এটি মূলত হজ্বের সফরনামা হলেও অতি প্রাসঙ্গিকভাবে এতে যথাক্রমে পাকিস্তান, আবুধাবি এবং ইরাকের সফরনামাও স্থান পেয়েছে। সেগুলোও খুব শিক্ষণীয় ও চমকপ্রদ।
এতে লেখক তাঁর শৈশবের জমানো নবী-প্রেমের আলোচনা দিয়ে শুরু করেছেন । কিভাবে স্বপ্ন দেখা শিখলেন। হৃদয়ে কিভাবে স্বপ্নের বেদনা জন্ম নিলো, অঙ্কুরায়ন হলো এবং ডালপালা বিস্তার করলো। যা পড়ে সবারই মনে হবে, আরে, এত আমারই স্মৃতিকথা!
তারপর এসেছে স্বপ্নপূরণের বিবরণ। একটি সুন্দরতম স্বপ্নের সার্থকতম পূর্ণতা লাভ। জীবনের প্রথম বাইতুল্লাহ ও রওজায়ে রাসূলুল্লাহর যিয়ারতে আশেকে রাসূল মুহাম্মাদুল্লাহ হাফিজ্জী হুযূর-কুদ্দিসা সির্রুহু-র দুর্লভ সঙ্গ লাভ! অথচ লেখকের বয়স তখন মাত্র পঁচিশ বছর।
এভাবে একেকটি মুগ্ধতা, প্রেম, বিস্ময় এবং রহস্যের জন্ম দিয়ে এগিয়ে চলে সফর। প্রথমে দশদিন পাকিস্তানে তারপর দশদিন আবুধাবিতে এরপর দুর্ভাগ্যক্রমে দেশে ফিরে আসা। তারপর সৌভাগ্যক্রমে আবার সরাসরি হজ্জে গমন। হজ্জ শেষে হাফিজ্জী হুযূরের সঙ্গে ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধের পয়গাম নিয়ে ইরাক গমন। অবশেষে হাজীবেশে দেশে প্রত্যাবর্তন।