ইতিহাস সংক্রান্ত বই

فَاقْصُصِ الْقَصَصَ لَعَلَّهُمْ يَتَفَكَّرُونَ

তুমি কাহানী বর্ণনা করে শুনাতে থাকো, হয়তো তারা এটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে। সূরা আরাফঃ আয়াত ১৭৬

মুসলিম উম্মাহর পতনে বিশ্বের কি ক্ষতি হলো – মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী

গ্রন্থকার রহঃ বইটিতে ইসলামের পূর্বাবস্থা থেকেত বর্তমানকাল পর্যন্ত নিখুঁতভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি মুসলিম জাতির উত্থান -পতন বর্ণনা করেই ক্ষান্ত হননি। মুসলমানরা কিভাবে পুনরাম বিশ্বনিয়ন্তা লাভ করতে পারে তা খুব নিখুঁতভাবে বাতিয়ে দিয়েছেন। এই বই শুধু একটি বই-ই নয় বরং চৌদ্দশত বছরের জীবন্ত ইতিহাস। যা সাড়া জাগিয়েছিল প্রাচ্য-প্রাশ্চাত্যের প্রতিটি কোণে।

ডাউনলোড → অনুবাদঃ আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী
ডাউনলোড → অনুবাদঃ আবু তাহের মেছবাহ

আযাদী আন্দোলন ১৮৫৭ – মাওলানা ফজলে হক্ক খায়রাবাদী

আন্দামান দীপপুঞ্জ বঙ্গোপসাগর থেকে বেশী দূরে নয়। আন্দামানে নির্বাসিত হয়েছিলেন কত আলেম-ওলামা তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে পৌছেনি। কেন আলেমদের ওখানে নির্বাসিত করা হয়েছিল, ওখানে কি করা হয়েছিল তাদের? এসব প্রশ্নের উত্তর আমরা যদি আগামী দিনের কান্ডারীদের হাতে না পৌছে দেই তবে বড় একটা ভুল হয়ে যাবে।

লেখকরা কত কিছুতেই না লিখে গেছেন সরঞ্জামের অভাবে। মাওলানা ফজলে হক্ক খায়রাবাদী ১৮৫৯ সালে নির্বাসিত হন আন্দামানে। আস্ সাওরাতুল হিনদীয়া এবং কাসিদাতু ফিতনাতুল হিন্দ-এ দুটি ছিল তার সেই বন্দী জীবনের বিলাপ লিপি। এসব তিনি কাফনের কাপড়ে,টুকরা কাগজে লিখে রেখেছিলেন। মুফতী এনায়েত কাকুরী অনেক আগেই নির্বাসিত হয়েছিলেন, তাকবীমুল বুলদান নামে একটি বই অনুবাদ করে কোন এক রাজ-কর্মচারীর সু-দৃষ্টিলাভ করেছিলেন এবং পরে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

মুফতী সাহেব চলে যাওয়ার সময় তার হাতে মাওলানা খায়রাবাদী সেই কাফনের কাপড় ও কিছু কাগজের টুকরা দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন এগুলো যেন তার সুযোগ্য পুত্র আব্দুল হক্ক খায়রাবাদীর নিকট পৌছে দেন। ইংরেজ আমলেই এটা প্রকাশিত হয়েছিল। মাওলানা আব্দুল হক্ক ও মাওলানা সামসুল হক্ক খায়রাবাদী পিতার মুক্তির জন্য বিলেতের প্রিভি কাউন্সিলে আপীল করেন। অন্য দেশের সুধী সমাজ শিল্পি-সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ হতেও সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদন পেশ হতে থাকে।

অবশেষে ১৮৬১ সালে মাওলানার মুক্তি পরোয়ানা নিয়ে তার পুত্র আবদুল হক্ক সাহেব আন্দামানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলেন। পৌছামাত্রই একটি জানাযা দেখতে পেলেন,তার পশ্চাতে যেন সমগ্র আন্দামানবাসী শোক মিছিল করে চলছে। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলেন ফজলে হক্ক খায়রাবাদীর জানাযা। কাফনের কাপড়ে কয়লা দিয়ে লিখিত বইটির বাংলা অনুবাদ-আযাদী আন্দোলন ১৮৫৭।

 

ডাউনলোড

আমরা সেই সে জাতি – আবুল আসাদ

আবুল আসাদ এই বইটি তে ছোট ছোট গল্পের মাধ্যমে গর্বিত ইতিহাস কেই মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন, কতটা সম্মানীয় মুসলিম ছিলো তারা যাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েই ইসলামের এই পদযাত্রা।

১ম খন্ড২য় খন্ড৩য় খন্ড

আল্লাহর তলোয়ার – মেজর জেনারেল এ আই আকরাম

ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত বীর, অপরাজেয় সেনাপতি খালিদ ইবনুল ওয়ালিদ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা ‘আনহুর জীবন নিয়ে লেখা এই বইটিতে উঠে এসেছে তাঁর সামরিক জীবনের গৌরবময় বিবরণ আর তাঁর অসাধারণ সামরিক প্রতিভা।

ডাউনলোড

উসমানী খিলাফতের ইতিকথা – এ.কে.এম. নাজির আহমদ

আমি লক্ষ্য করেছি যে বাংলাদেশের মুসলিমদের বিরাট অংশ খিলাফতে রাশেদা, বানু উমাইয়া খিলাফাত ও বানু আব্বাস খিলাফাত সম্পর্কে যতটুকু অবহিত, উসমানী খিলাফাত সম্পর্কে ততটুকু অবহিত নন। অথচ মুসলিম উম্মাহর গৌরবোজ্জল ইতিহাসের বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে উসমানী খিলাফাত। একাধারে ছয়শত ছত্রিশ বছর ধরে এই খিলাফাত এশীয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার সুবিস্তৃত অঞ্চলের মানুষের কল্যাণের উৎস হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। পুরোপুরি না হলেও প্রথম ভাগের উসমানী খালীফাগণ আল-কুরআনের বহুবিধ বিধান তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন ও সামাজিক জীবনে বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন। ফলে তাঁদের জন্য অগ্রগতির রাজপথ উন্মুক্ত হয়ে গিয়েছিলো। দুঃখের বিষয় পরবর্তী কালের খালীফাগণ আল-কুরআনের শিক্ষার প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন। ফলে তাঁরা ও তাঁদের শাসিতরা অচিরেই জাহিলিয়াতের শিকারে পরিণত হন। তাঁদের উন্নতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়, পতন নিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই পুস্তিকায় আমি উসমানী খিলাফাতের উত্থান ও পতনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরেছি যাতে সম্মানিত পাঠকগণ অল্প সময় খরচ করে একটি দীর্ঘ ইতিহাসের সার-সংক্ষেপের সাথে পরিচিত হতে পারেন – এ. কে. এম. নাজির আহমদ

ডাউনলোড

তাতারীদের ইতিহাস – ড. রাগেব সারজানী

তাতারীদের ইতিহাস গ্রন্থটি ষষ্ঠ শতাব্দির মুসলিম সম্রাজ্যের উপর ধেয়ে আসা তাতারী আগ্রাসনের ইতিহাস নিয়ে রচিত একটি অনবদ্য গ্রন্থ। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. রাগেব সারজানীর অনন্য সৃষ্টি এই বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটির আলোচ্য বিষয় বর্বর তাতারীদের ঘৃন্য ইতিহাস। লেখক প্রতিষ্ঠিত সত্যের পাটাতনে দাঁড়িয়ে বলে গেছেন ইতিহাসের দাস্তান। সেই সঙ্গে ইসলামের শাশ্বত বিশ্বাত চরিত্র এবং মুসলমানদের রক্তে নির্মিত ঐতিহ্য ও আদর্শের প্রতি যত্নবান থেকেছেন পূর্ণ সতর্কতায়। লেখকের গদ্য অদ্ভুত সুন্দর, সহজ এবং সুখপাঠ্য। শক্তিমান ও প্রাঞ্জল। আরবী আধুনিক এবং বর্ণনাভঙ্গি ঋজু। ইতিহাসের গ্রন্থ বলে শব্দ ব্যবহারে ভাষা প্রাচুর্যও লক্ষণীয়।

ডাউনলোড

ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের ইতিহাস – মুফতী মনসূরুল হক

‘ইতিহাস’ শিক্ষতজনদের উৎকৃষ্ট খোরাক বুদ্ধিমানদের পথের দিশারী। বিবেকবানরা ইতিহাস পড়েন। অতীতকালের উত্থান-পতনের কাহিনীর আলোকে নির্ণয় করেন আগামী দিনের জয়-পরাজয় ও সফলতা-ব্যর্থতার মাপকাঠি। সে কাঠিতে মেপে-ঝোপে রচনা করেন তাঁরা উন্নত ভবিষ্যত-প্রত্যাশিত নতুন ইতিহাস। মূলতঃ এ উদ্দেশ্যেই কুরআনে কারীমে বিভিন্ন জাতির উত্থান-পতনের কাহিনী বিধৃত হয়েছে অতীব যত্নের সাথে যারপর নাই সংক্ষিপ্ত পরিসরে। কিন্তু অনুসৃত সেই ইতিহাস যদি হয় বিকৃত-পরিবর্তিত ও বাস্তবতার সীমান্তচ্যুত তাহলে সে আলোকে প্রতিষ্ঠিত যে কোন ভবিষ্যত ও ভবিষ্যত ভাবনাই যে হবে বিকৃত, অধঃপতিত ও পরাজিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

একথাও সত্য, ইতিহাস মানুষের রচনা। মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। তাই মানুষের কোন শিল্প-সৃষ্টি-রচনা-আবিষ্কারই সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয়। পৃথিবীতে সুস্থ মানব প্রজন্মের যে যা করেছে এই স্বীকৃত দিয়েই করেছে। পক্ষান্তরে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সকল ত্রুটির উর্ধ্বে তাঁর সৃজিত বিশ্বে কুদরতের মহিমায় শিল্পে অপূর্ণতা, অসতর্কতা, অক্ষমতা, অদক্ষতা আর ত্রুটি-বিচ্যুতির কোন দাগ নেই। মুমিন হওয়ার জন্যেও এই স্বীকৃতি অত্যাবশ্যকীয়।

এই সূত্রদ্বয়ের আলোকেই একথা নিঃশঙ্কচিত্তে বিশ্বাস করতে হয় ইতিহাস মানুষের সৃষ্টি। কুরআন আল্লাহ’র চিরন্তন চিরসত্য গুন। হাদীসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহিহি ওয়াসাল্লাম) কুরআনেরই ব্যাখ্যা মাত্র। তাই ঐতিহাসিক কোন তথ্য যদি কুরআন-হাদীসের সাথে সংঘাতপূর্ণ হয় তখন সে ইতিহাস মানার যোগ্য কেন, পঠনযোগ্যই থাকে না। বরং এভাবেও বলা যায় ইতিহাসের সত্যতা, ইতিহাস নির্ভর শিক্ষা ও নির্দেশনা কোন ক্ষেত্রে কতটুকু সত্য ও গ্রহণযোগ্য তা বিচার করা হবে কুরআন-হাদীসের আলোকে। মানুষের সৃষ্টি আল্লাহ’র দেয়া নির্দেশনার আলোকে বিবেচিত হবে এইটাই স্বাভাবিক। মুমিনের জীবনে অনিবার্য বাস্তবতা এটা।

 ডাউনলোড

বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস – আব্বাস আলী খান

প্রায় দেড় যুগ পূর্বে বাংলার মুসলমানদের ইতিহাস লেখার দায়িত্ব আমার উপর অর্পিত হয়। কথা ছিল বাংলায় মুসলমানদের প্রথম আগমন থেকে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগ পর্যন্ত এ সুদীর্ঘ কালের ইতিহাস লেখার। তবে বিশেষভাবে বলা হয় যে, ইংরেজদের শাসন ক্ষমতা হস্তাগত করার পর মুসলমানদের প্রতি বৃটিশ সরকার ও হিন্দুদের আচরণ কেমন ছিল তা যেন নির্ভরযোগ্য তথ্যাদিসহ ইতিহাসে উল্লেখ করি। Government of India Act-1935 পর্যন্ত ইতিহাস লেখার পর আর কলম ধরার ফুরসৎ মোটেই পাইন। সম্প্রতি কয়েক বছরের শ্রম ও চেষ্টা সাধনার ইতিহাস লেখার কাজ সমাপ্ত করতে পেরেছি বলে আল্লাহ তা’য়ালার অসংখ্য শুকরিয়া জানাই।
আব্বাস আলী খান, পয়লা নভেম্বর ১৯৯৩

ডাউনলোড

ইসলামের ইতিহাস

• আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া – হযরত ইবনে কাসির – ১ম খন্ড, ২য় খন্ড, ৩য় খন্ড, ৪র্থ খন্ড, ৫ম খন্ড, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৭ম খন্ড, ৮ম খন্ড, ৯ম খন্ড, ১০ম খন্ড
• ইসলামী বিশ্বকোষ – ইসলামিক ফাউন্ডেশন – ১ম খন্ড, ২য় খন্ড, ৩য় খন্ড, ৪র্থ খন্ড, ৫ম খন্ড
• ইসলামের ইতিহাস – মাওলানা আকবর শাহ নজিবাবাদী – ১ম খন্ড, ২য় খন্ড, ৩য় খন্ড
আল্লাহর তলোয়ার – মেজর জেনারেল এ আই আকরাম

তারীখুল খুলাফা – জালালউদ্দিন সিয়ূতী
উসমানী খিলাফতের ইতিকথা – এ.কে.এম. নাজির আহমদ
ইসলামী খেলাফত ধ্বংসের ইতিহাস – মুফতী মনসূরুল হক
তাতারীদের ইতিহাস – ড. রাগেব সারজানী
উত্তর আফ্রিকা ও মিশরে ফাতেমিয়দের ইতিহাস – এ. এইচ. এম. শামসুর রহমান
গৌরবদীপ্ত জিহাদ – লেঃ কর্ণেল এম. এম. কোরেশী