ইবনু দাকীকিল ঈদ : প্রতাপশালী মিসরীয় শাসকের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে

ফকিহ ও সুলতানের সম্পর্কটা ইসলামী ইতিহাসের মৌলিক জায়গা দখল করে আছে। উভয়ের সম্পর্কে মসৃণতা খুব কমই পাওয়া যায়। ফকিহ তো সবসময় ধর্মের প্রচার-প্রসার, স্থিতি ও রক্ষাকে তার কর্মের মৌলিক স্থান দিয়েছেন। অন্যদিকে সুলতান যেন ফকিহকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন। ফকিহ কখনো কখনো সুলতানের কাজ-কর্ম ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ান। অনেক সময় ধর্মীয় মতামত, ফতওয়া ও অবস্থানের জন্য ফকিহকে সুলতানের সাথে সংঘাতেও যেতে হয়েছে।

কিছু ফকিহ তো ’সুলতানের ফকীহ’ উপাধি পেয়েছেন। কারণ, তারা সুলতানের আদেশকে ঐশী নির্দেশনা হিসেবে বিবেচনা করতে পারতেন। যেখানে যুক্তি-তর্ক ও পরিবর্তন-পরিমার্জনের কোন সুযোগ থাকতো না। এ ধরনের ফকিহদের সাথে ভিন্নমত পোষণকারী ফকিহদের বলা হতো ’সুলতান-মোকাবেলাকারী ফকিহ’।

জন্ম ও ইলমি শ্রেষ্ঠত্ব

সপ্তম শতাব্দীর উল্লেখযোগ্য ফকিহ ও মুহাদ্দিস ইবনু দাকীকিল ঈদ ছিলেন সে সকল মহান ফকিহদের অন্যতম, যারা যুগের প্রতাপশালী মামলুক সালতানাতের যেকোন অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। ছিলেন তৎকালীন দিমাশকের আরেক দীকপাল ইযযুদ্দীন বিন সালামের সমসাময়িক। বিন সালামও ছিলেন দিমাশকের আইয়ুবী শাসনের জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ।

ইবনু দাকীকিল ঈদের নাম ও বংশ পরম্পরা হলো মুহাম্মাদ বিন আলী বিন ওয়াব আল কুশায়রী আল মানফালুতী। তার পিতামাতা হজ পালনের জন্য পাল তোলা নৌকায় করে হজ্বে যাচ্ছিলেন। মক্কাগামী সেই পালতোলা নৌকাতে ৬২৫ হিজরী, ২৫ শাবান তিনি জন্মগ্রহন করেন। মক্কার পথে সন্তানের জন্মকে শুভ লক্ষণ হিসেবে তারা গ্রহণ করেন। সন্তানকে নিয়ে কাবা তাওয়াফ করতে থাকেন। এবং উম্মতের বড় আলেম হওয়ার দোয়াও করেন।

মিসরের কাওস শহরের সম্ভ্রান্ত পরিবারে ক্ষণজন্মা ইবনু দাকিকীল ঈদ শৈশবেই কুরআন হিফজ করেন। পিতার নিকট ফিকহে মালিকী অধ্যায়ন করার পাশাপাশি ফিকহে শাফেয়ী ও আরবী জ্ঞান অর্জন করেন। এক সময় মিসরের মালেকী মাযহাবের সর্বোচ্চ বিচারকের পথ অলংকৃত করেন।

আইয়ুবী আমলের শেষদিকে ও মামলুক যুগের প্রারম্ভিক সময়ে তিনি শাম হতে কায়রোতে আগত ইযযুদ্দীন বিন আব্দুস সালামের সাথে দেখা করে তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। শামের আইয়ুবী প্রশাসনের সাথে বিন সালামের বিরোধিতার কারণ হলো, তারা মিসরে তাদেরই চাচাত ভাইদের বংশধরদের বিরুদ্ধে ক্রসেডারদের সাথে ঐক্য গড়তে রাজি হয়েছিলেন।

শায়েখ বিন সালাম তার ছাত্র ইবনু দাকিকীল ঈদের ভেতর ইলমের পাশাপাশি বড় ধরনের চারিত্রিক প্রভাব রাখেন। জীবনভর তিনি তার শায়খের আদর্শকে অনুসরণ করতে থাকেন। ইবনু দাকিকীল ঈদকে সুলতানুল উলামা নাম দেয়া হয়ে থাকে। যাকে আজও পযন্ত সুলতানুল উলামা হিসেবেই অভিহিত করা হয়ে থাকে।

জ্ঞানসমুদ্রে অবগাহনের প্রচণ্ড ইচ্ছা তাকে শুধু কায়রোতে অবস্থান করতে দেয়নি। হাদিস ও ফিকহের জন্য ইস্কান্দারিয়া, হিজায ও দিমাশক ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন। এ জ্ঞানদিকপালের পরিপক্ক ও গভীর ইলমের বিষয়ে ইমাম শাওকানী বলেন, ’সতীর্থদের অতিক্রম করেছেন, যুগশ্রেষ্ঠ মানুষেরা তার কাছে অবনত, পৃথিবীব্যাপী সুনামসুখ্যাতি যার, জ্ঞানপ্রত্যাশীদের ভীড় লেগে থাকতো যার জ্ঞানসরবরে, লিখেছেন অচিন্তনীয় জ্ঞানভান্ডার; ‘আল ইলমাম ফী আহাদীসিল আহকাম’ দু্ই খণ্ডে। এ কিতাবখানার ব্যখ্যাগ্রন্থ লিখে জ্ঞানজগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। যেমন হাফিজ ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, ’এ কিতাবে তিনি জ্ঞানজগতে তার প্রশস্ততার বিস্ময়কর স্বাক্ষর রেখেছেন বিশেষত মাসআলা উদঘাটনে।’

যখন ইবনু দাকিকীল ঈদ শরয়ী জ্ঞানচূড়ায় পৌঁছান, সতীর্থদের মতো তিনিও পাঠদান ও ফতোয়া প্রদান করতে থাকেন। মামলুকী সালতানাতে বিচারিক পদ অলংকৃত করেন। দিগন্তে দিগন্তে ছড়িয়ে পড়ে তার জ্ঞানের আভা। মিলিত হন ইবনু তাইমিয়াসহ যুগশ্রেষ্ঠ অন্যান্য জ্ঞানতারকার সাথে। যারা তার জ্ঞানভান্ডারের স্বীকৃতি দিয়েছেন। বরং যখন তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন, তখনই তিনি যুগের মালেকী ও শাফেয়ী আলেমদের অতিক্রম করেন। তাই তার প্রায় সমসাময়িক ঐতিহাসিক সালাহ সাফদী বলেন, ‘তিনি একই সাথে ছিলেন ইমাম, মুহাদ্দিস, ফকিহ, সুক্ষগবেষক, সাহিত্যিক, ব্যাকরণবিদ, মুজাতহিদ, স্বল্পভাষী, অতলস্পর্ষী জ্ঞানী, খোদাভীরু, জ্ঞানআহরে নিশাচর প্রাণী, উদার ও দানশীল। মানব চক্ষু এমন কাউকে অল্পই দেখতে পায়।’

বরং ঐতিহাসিক সাফদী মনে করেন, সে যুগে জ্ঞানজগতের দিকপাল ছিলেন তিনজন; তাদের মধ্যে ইবনু দাকিকীল ঈদ অন্যতম। তিনি বলেন, সমসাময়িক সময়ে তার মতো কেউ ছিলো না। বরং তার পূর্বে একশত বছরেও এমন কেউ ছিলো না যে, তার সমকক্ষ হতে পারে। অধিকন্তু এই তিন মনিষীর সমসাময়িক সাফদী তো ইবনু দাকিকীল ঈদকে সে যুগের মুজাদ্দিদ হিসেবেই গণ্য করেন। তিনি বলেন, ’কেনই বা তিনি মুজাদ্দিদ হবেন না; আল্লাহ তাকে দ্বীনের তাজদীদ ও অষ্পষ্ট হয়ে যাওয়া বিষয়কে স্পষ্ট করার জন্য একশত বছরের মাথায় প্রেরণ করেছেন। সুগভীর জ্ঞান ও তীক্ষ মেধার পাশাপাশি মিতভাষী হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। সৃষ্টির মাঝে তার প্রভাব ছিলো প্রবল। রাজনৈতিক ও আমীর-উমারাদের মধ্যে ছিলো তার বিশেষ প্রভাব। খোদাভীতি ও সদা সর্বদা আল্লাহর ধ্যানই সৃষ্টির প্রতি বিশাল প্রভাবের রহস্য। তার সম্পর্কে বর্ণিত আছে, ’আমি এমন কোন কথা বলিনি, এমন কোন কাজ করিনি, আল্লাহর সামনে জবাব দেয়ার জন্য যার উত্তর প্রস্তত করিনি।’

বিচারবিভাগ ও প্রশাসনের টানাপোড়েন

ইবনু দাকিকীল ঈদ ৬৯৫ হিজরীতে সুলতান মানসুর হুসামুদদ্দিনের আমলে মিসরের শাফেয়ী মাযহাবের সর্বোচ্চ বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। শাফেয়ী মাযহাবের সর্বোচ্চ বিচারকের পদ ছিলো সবচে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দেশের অনেক মাদারাসা, ওয়াকফ সম্পত্তি ও খানকা পরিচালনার অধিকার ভোগ করতেন। পাশাপাশি ধর্মীয় বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সেখান হতেই আসতো। দুই বছরের কম সময়ের এ বিচারিক পদটা খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ। স্বভাবসূলভ শান্তশিষ্ট স্বভাব কিন্তু সত্যপ্রকাশ ও তা বাস্তবায়নে দৃঢ়পদ এ মনিষীর ছিলো রাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ। তা সত্বেও তিনি সত্যবাস্তবায়নে ছিলেন পক্ষপাতহীন।

একবার বর্তমান সময়ের ক্রাউন প্রিন্সের সমক্ষমতাসম্পন্ন সুলতানের প্রতিনিধির এক সাক্ষ্যকে তিনি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটা শরিয়তের দৃষ্টিতে ন্যায়সঙ্গত ও যথেষ্ঠ নয়। যদিও অনেক আমীর ও উলামা তাকে সুলতানের নায়েবের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। সুলতানের নায়েব এতটাই শক্তিশালী ছিলেন, যে খোদ সুলতান তার কোন অনুরোধ ফেরত দিতেন না।

সুলতানের নায়েব ‘মানকুতমার’ ও প্রধান বিচারপ্রতির মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতি প্রতিবারই কোন ধরনের প্রভাবের নিকট মাথানত না করে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে আসছিলেন। সর্বশেষ মানকুতমার প্রধান বিচারপতির নিকট রাষ্টের একজন প্রভাবশালী আমীরের মারফত বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ রাখেন। প্রধান বিচারপতি ইবনু দাকিকীল ঈদ বলেন, আল্লাহর কসম যতক্ষণ আমার নিকট শরয়ী কোন দলিল প্রমাণিত না হয়, আমি তার অনুকূলে ফায়সালা দিতে পারবো না। আমীর এই বলতে বলতে উঠে যান, খোদার কসম! এটাই ইসলাম। তিনি মানকুতমারের নিকট ফিরে যান। এবং দুঃখ প্রকাশ করে তাকে প্রধান বিচারপতির সাথে সর্বোচ্চ বিচারলয়ে দেখা করতে অনুরোধ জানান।

যখন প্রধান বিচারপতি কায়রোর জাবালুল কেল্লাতে এ মামলার নির্ধারিত দিনে উপস্থিত হন,মানকুতমার জ্যৈষ্ঠ আমীরদের মাধ্যমে তাকে প্রসিকিউশন অফিসে যেতে বলেন, ‘তিনি তাদের কারো দিকে তাকালেন না। তারা যখন এ বিষয়ে পীড়াপীড়ি করলো, তিনি তাদের বললেন, তোমরা তাকে বলো, আমার জন্য তার আনুগত্য ওয়াজিব নয়। এবং তার নিকটস্থ বিচারপতিরদের বললেন,আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আল্লাহর নামে আমি বিচারিক পদ হতে অব্যাহতি নিচ্ছি। তোমরা তাকে অন্য কাউকে প্রধান বিচারপতি বানাতে বলো।

তিনি ফিরে এসে দেশব্যপী তার আইনজীবীদের বিচারকার্যে অংশ গ্রহণ করা হতে বিরত থাকতে অনুরোধ জানান। বিষয়টি যখন সুলতান ‘লাজীনের’ নিকট পৌঁছায়, তিনি অবস্থার গুরুতরতা ও প্রধান বিচারপতির প্রতি জনগণের ইতিবাচক অবস্থান বিবেচনা করে বড় বড় ফকিহ ও আমীরদের তার নিকট পাঠিয়ৈ তাকে সর্বোচ্চ আদালতে আসার অনুরোধ করেন। এখানে এসে ঐতিহাসিক মাকরিযীকে দেখতে পাই, তিনি ইসলামের ইতিহাসে প্রশাসন ও বিচারবিভাগের বিরল চিত্রের চিত্রায়ন কিভাবে করেছেন।

তিনি বলেন, ফকীহ ও আমীর ইবনু দাকিকীল ঈদকে কেল্লাতে নিয়ে ওঠেন। সুলতানও সেখানে যান। এবং তার সাথে সাক্ষাত করেন। এবং খোদ তার জন্য নির্ধারিত আসন গ্রহণের অনুরোধ করেন।ইবনু দাকিকীল ঈদ বসার আগে নিজের রুমালকে চেয়ারের রেশমী কাপড়ের ওপর দিয়ে বসেন। যাতে করে রেশমের ওপর তাকে বসতে না হয়। সুলতান তাকে বারবার অনুরোধ করতে থাকেন। বিচারিক পদ পুনরায় গ্রহণ করার জন্য। একপর্যায়ে তিনি তা গ্রহণ করেন। সুলতান প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে বলেন, মানকুতমার আপনার সন্তান। আপনি তার জন্য দোয়া করবেন।মানকুতমার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতি তার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থাকেন। এবং নিজ হাতকে একবার খুলছিলেন আর বন্ধ করছিলেন। এবার বললেন, এর থেকে কিছু হবে না। তিন বার বলে তিনি আসন ত্যাগ করলেন।

মানকুতমার প্রতিশোধ গ্রহণের অপেক্ষা করছিল। সুযোগ খুঁজছিলো। তাকে অপমানকারী এই ফকিহকে শায়েস্তা করার জন্য তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ আনেন। ইবনু দাকিকীল ঈদ অভিযোগের জবাব দিয়ে তার নিকট পত্র লিখেন। পত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে জালিমের ওপর আল্লাহর লানত পড়ার কথা বলা হয়। কয়েক দিন যেতে না যেতেই সুলতান লাজিন নিহত হন। অভিযোগে তার নায়েক মানকুতমার আটক হন। তারপর তাকে কারারুদ্ধ করে পরে হত্যা করা হয়।

অনেক সময় আমীর উমারা তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দরবারী ফকিহদের মাধ্যমে মাসআলা ইস্যু করে তা সর্বোচ্চ বিচারপতির স্বাক্ষরের জন্য পাঠায়। একবার তারা অনুরুপভাবে বিচারপতি ইবনু দাকিকীল ঈদের নিকট কোন এক ফতোয়ার ওপর স্বাক্ষর করার জন্য পাঠায়। কিন্তু ইবনু দাকিকীল তা প্রত্যাখ্যান করেন। কিন্তু সে যুগে আমীরদের ফরাময়েশের ওপর স্বাক্ষর না করা এক ধরণের বিদ্রোহ হিসেবেই ধরে নেয়া হতো।

সে যুগের ফকিহদের এ দুর্দান্ত দাপট মূলত তাদের উন্নত নৈতিক ও চারিত্রিক গুণাবলী ও জনসাধারণের ব্যাপক সমর্থনের ফসল। অন্যদিকে মিসরের তুর্কিরা স্থানীয় অধিবাসী না হওয়াতে তারা আলেম-উলামাদের খুবই ইজ্জত করতো, যাতে আলেম-ওলামা জনগণ ও প্রশাসনেরা মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হতে পারেন। ফকিহগণও এ সুযোগ গ্রহণ করেছেন। ধর্মীয় ও প্রশাসনিক বিভিন্ন কাজে তারা নিজেকে যুক্ত করার মাধ্যমে সমাজ ও জগতের প্রভূত উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের অনিবার্য অংশ হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেন।

এদিকে ইযযুদ্দীন বিন আব্দুস সালাম, ইবনু দাকিকীল ঈদ, ইবনু সায়্যিদিন্নাস, বদরুদ্দিন জামাআহ ও ইবনু হাজরের মতো জ্ঞানীগুণী ও স্বচ্ছ ইমেজের অধিকারী বিচারিক উর্ধতন কর্মকর্তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন, সামাজিক শৃংখলা রক্ষা, প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতা রোধে প্রশাসনের মুখোমুখি হওয়ার বিকল্প নেই। ইবনু বতুতা যখন মিসর ভ্রমণ করেন, তিনি শুনতে পান, বর্তমান সুলতান নাসির মুহাম্মাদ শামসুদ্দিন হারিরী নামক একজন বড় আলেমের মুখোমুখি হওয়ার আশংকা করছেন।

বলা চলে, মধ্য ইসলামী যুগে এ সকল আলিম ও ফকীহদের বিরোচিত পদক্ষেপের কারণে প্রশাসন মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের ওপর আগ্রাসন চালাতে পারেনি।


মুজাহিদুল ইসলাম
সূত্রঃ fateh24