মদিনাবাসী যেদিন থেকে শুনতে পেয়েছিলো,নবীজি আসছেন, সেদিন থেকেই তাঁরা রোজ ভোর থেকে দুপুর চড়া পর্যন্ত মদিনার বাইরে এসে নবীজির অপেক্ষা করতেন। এমনই একদিন, তখন সূর্য চড়ে আবার পড়ে যাচ্ছে বিকেলের দিকে, অপেক্ষারত মদিনাবাসী পথ নিয়েছে ঘরে ফেরার, এমন সময় এক ইহুদি হাঁক দিয়ে বললো,‘মদিনাবাসী, তোমরা যাঁর অপেক্ষা করছিলে, ওই তো তিনি আসছেন’; সকলে দৌড়ে এলো। দেখা গেলো, দূরে সাদা বসনে এক কাফেলা রোদের চিকচিক নিয়ে ক্রমে মদিনার দিকে আসছে…
লোকদের শোরগোল বাড়তে থাকলো। তাঁরা নবীজিকে ঘিরে সমবেত হতে লাগলো।নবীজি ধীর-স্থির বসে রইলেন। যাঁরা এর আগে নবীজিকে দেখেনি, তাঁরা নবীজিকে সাদর স্বাগত জানালেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সহচরগণ কুবায় কত দিন অবস্থান করেন, এ নিয়ে মতভেদ আছে। নানাজনে নানা বিচার থেকে অবস্থানের সময়সীমার কথা জানিয়েছেন। মতান্তরভেদে তিনি ৩, ৪, ৫,১৪ বা ২৪ দিন কুবায় অবস্থান করেন।এ সময়ে তিনি কুবায় একটি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন—এটাই ইসলামের সর্বপ্রথম মসজিদ; মসজিদে তাকওয়া এর নাম।
এ সময় মক্কায় রয়ে যাওয়া হযরত আলি রাযিয়াল্লাহু আনহু নবীজির সাথে কুবায় মিলিত হন। তিনি নবীজির কাছে গচ্ছিত নানা লোকজনের আমানত বুঝিয়ে দেওয়ার দরকারে এবং নবীজির বিছানায় শুয়ে থাকার নির্দেশ পালনে সেখানে থেকে গিয়েছিলেন।
এখানে অবস্থানের পালা শেষ হলে নবীজির মামাগোষ্ঠী বনু নাজ্জারের লোকদের অভ্যর্থনাযোগে তিনি মদিনার দিকে যাত্রা করেন।
তথ্যসূত্র :সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, মুফতি শফি;আর-রাহিকুল মাখতুম, সফিউর রহমান মোবারকপুরি।