১- প্রয়োজন মোতাবিক ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করবে। কিতাবাদী অধ্যয়ন করে অথবা উলামায়ে কেরামের নিকট জিজ্ঞাসা করে। [হক্কানী উলামায়ে কেরাম রচিত ধর্মীয় পুস্তক পাঠ করে এবং উলামা ও হক্কানী পীর মাশায়েখের সাথে সম্পর্ক রেখে]
২- সকল ধরণের গোনাহ থেকে বিরত থাকবে।
৩- কোন গোনাহ হয়ে গেলে সাথে সাথে তাওবা করে নিবে।
৪- অন্যের হক নষ্ট করবে না। কাউকে হাতে বা কথায় কষ্ট দিবে না। কারো দোষ চর্চা করবে না।
৫- ধন সম্পদের মোহাব্বত এবং জাগতিক মোহ থেকে মুক্ত থাকবে। ভোজন বিলাস ও পোশাক পরিচ্ছেদে আভিজাত্যের ফিকিরে থাকবে না।
৬- কেউ যদি দোষ শুধরিয়ে দেয় তাহলে নিঃসংকোচে তা মেনে নিবে এবং তাওবা করবে।
৭- একান্ত প্রয়োজন ছাড়া সফরে যাবে না। সফরে অপ্রয়োজনীয় অনেক কথা হয়ে যায়। অনেক নেক কাজ ছুটে যায়। জিকির-আযকার ও অজিফা বাদ পড়ে যায়। সময়মত কাজ হয় না।
৮- বেশি হাসবে না। বেশি কথা বলবে না। বিশেষ করে গায়রে মাহরামের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বলবে না।
৯- কারো সাথে ঝগড়া ফাসাদ করবে না।
১০- সর্ববস্থায় শরীয়তের অনুসরণ হবে।
১১- ইবাদতে অবহেলা করবে না।
১২- একাকী থাকার চেষ্টা করবে।
১৩- কারো সাথে দেখা সাক্ষাতের প্রয়োজন হলে নম্র আচরণ করবে এবং নিজের বড়ত্ব প্রকাশ করবে না।
১৪- আমীর, সরকার ও ক্ষমতাধর লোকদের সাথে চলা-ফেরা কম করবে।
১৫- বদদ্বীন লোকদের সাথে চলাফেলা অনেক কম করবে।
১৬- অন্যের দোষ তালাশ করবে না। অন্য সম্পর্কে খারাপ ধারণা করবে না। নিজের দোষ তালাশ করে তা সংশোধনের যত্নবান ও আন্তরিক থাকবে।
১৭- সময়মত গুরুত্বসহ সুন্দরভাবে নামায আদায় করার চেষ্টা করবে।
১৮- অন্তরে অথবা মুখে সর্বদা আল্লাহর স্মরণ করবে। একটি মুহুর্তও গাফলতির মধ্যে কাটাবে না।
১৯- আল্লাহর যিকির করতে যদি ভাল লাগে, অন্তর খুশি হয় তাহলে শুকরিয়া আদায় করবে।
২০- নরম ভাষায় কথা বলবে।
২১- সর্ব কাজের জন্য সময় নির্ধারণ করবে এবং সে সময়ই সে কাজ পুরণ করবে।
২২- কখনো দুঃখ কষ্ট পেরেশানী আসলে মনে করবে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। অস্থির হবে না। ধারণা করবে করবে যে এর বিনিময়ে কোন কল্যাণ রয়েছে।
২৩- দুনিয়ার হিসাব নিকাশে সারাক্ষণ লেগে থাকবে না। বরং আল্লাহর কথা খেয়ালে রাখা চেষ্টা করবে।
২৪- যথা সম্ভব অন্যের উপকার করবে। দুনিয়ার ক্ষেত্রে হোক বা আখেরাতের ক্ষেত্রে হোক।
২৫- এত কম পরিমাণে খাবে না যে, শরীর দুর্বল হয়ে যায়। বা অসুস্থ হয়ে যায়। আবার এত বেশি পরিমাণেও খাবে না যে, ইবাদতে অলসতা চলে আসে।
২৬- আল্লাহ তাআলা ব্যতিত কারো থেকে কিছু পাওয়ার আশা করবে না। অমুক জায়গা থেকে আমার এই ফায়দা অর্জিত হবে এমন খেয়াল করবে না।
২৭- আল্লাহকে পাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে যাও।
২৮- নেয়ামত কম হোক বা বেশি এতে আল্লাহর শুকর আদায় করবে। অস্বচ্ছলতা ও দারিদ্রতার দ্বারা সংকীর্ণ হবে না।
২৯- নিজ অধীনস্ত লোকদের দোষ অন্যায়কে ক্ষমা করে দেওয়ার মানসিকতা পোষণ করবে।
৩০- কারো দোষ জেনে ফেললে তা গোপন করবে। তবে কেউ যদি অন্য কাউকে ক্ষতি করতে চায় আর তুমি তা জানতে পারো তাহলে তাকে বলে দিবে।
৩১- মেহমান, মুসাফির, গরীব দুঃখী, উলামায়ে কেরাম এবং দরবেশদের খেদমত করবে।
৩২- সৎ লোকের সংস্পর্শে যাবে।
৩৩- সর্বদা আল্লাহকে ভয় করবে।
৩৪- মৃত্যুর কথা স্মরণে রাখবে।
৩৫- যে কোন সময় বসে নিজের দৈনিক কৃতকর্মের চিন্তা করবে। ভাল কিছু হয়ে থাকলে তার জন্য শুকর আর মন্দের জন্য তওবা করবে।
৩৬- কখনো মিথ্যা কথা বলবে না।
৩৭- শরীয়ত বিরোধী মজলিসে যাবে না।
৩৮- লজ্জা-শরম এবং ভদ্রতা বজায় চলবে।
৩৯- নিজের ভাল কাজের উপর গর্ব করবে না।
৪০- আল্লাহ তাআলা নিকট দুআ করবে যেন, তিনি সঠিক পথে অবিচল রাখেন।
অনুবাদ- মুফতী হাফীজুদ্দীন
{বেহেস্তি জেওর-৭ম খন্ড}