সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১২০ এ, আল্লাহ বলেছেন,
“তোমাদের কোনো কল্যাণ হলে সেটা তাদের দুঃখ দেয়, আর তোমাদের কোনো অকল্যাণ হলে তারা আনন্দিত হয়, আর তাতে যদি তোমরা ধৈর্যধারণ করো ও তাক্বওয়া অবলম্বন কর, তাহলে তাদের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র তোমাদের কিছুই ক্ষতি করতে পারবে না …”
এ আয়াতটি পড়ে আমি ইবন আল-যাওজির “সায়েদ আল-খাতির” বই (পৃষ্ঠা ১১৮) থেকে কিছু কথা যোগ না করে পারছি না। তিনি বলেন,
‘জেনে রেখো, সবগুলো দিন সমান নয় … কখনও তুমি নিঃস্ব, কখনও বা তুমি ধনী, কখনও তুমি অপমানিত, আর কখনও বা তুমি মানী। কখনো তুমি দেখছ তোমার বন্ধুদের সুখে উল্লাসরত, কখনও বা তুমি দেখবে তোমার শত্রুরা আনন্দে উদ্বেলিত।
কিন্তু সত্যিকারের সুখী ব্যক্তি হল সে, যে তার জীবনভর সকল পরিস্থিতিতে একটি আদর্শকে আকঁড়ে ধরে আছে। আর তা হল আল্লাহভীতি বা তাক্বওয়া অবলম্বন করা।
সে যদি ধনী হয়, তাক্বওয়া তাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করবে। সে যদি গরীব হয়, তাহলে তাক্বওয়া তার জন্য সবর করার দ্বার খুলে দেবে।
যদি সে স্বস্তি আর আয়েশের মাঝে জীবনযাপন করে, তবে এই তাক্বওয়া তার উপর বর্ষিত নি’আমত পূর্ণ করবে। আর যদি সে কষ্ট আর দুর্ভোগের মধ্যে দিনাতিপাত করে, তবে এই তাক্বওয়া তাকে অলংকৃত করবে। তাক্বওয়া তার সঙ্গী হলে তার দিনগুলো ভাল চলুক বা মন্দ-তাতে তার কিছুই আসে যায় না। তার পরনের জামাটা ছেঁড়া হোক বা নতুন; সে অভুক্ত থাকুক বা তুষ্ট থাকুক তাতে খুব বেশি কিছু আসে যায় না। কেননা, এসব কিছুই যেকোনো সময়ে হারিয়ে যেতে পারে বা বদলে যেতে পারে।
কাজেই, তাক্বওয়া হল নিরাপত্তার অতন্দ্র প্রহরী। সে নিদ্রা যায় না। বিপদের সময় তাক্বওয়া তোমার হাত ধরে রাখবে। সদাসর্বদা জেগে তোমাকে নিরাপদ রাখবে। জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে তাক্বওয়া অবলম্বন করবে। তাহলে শত টানাপোড়েনের মাঝেও তখন তুমি স্বচ্ছন্দ থাকবে। কষ্টের মাঝেও তুমি স্বস্তি খুঁজে পাবে। ‘
তারিক মেহান্না
প্লাইমাউথ কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি
আইসোলেশন ইউনিট – সেল #১০৮