কুরআনে সূরা নিসার ১নং আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন,
“হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গিনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী…”
এই আয়াতে এক চিরন্তন বাস্তবতার কথা আছে। এই বাস্তবতাটি আপনাকে যেকোনো মহৎ কাজ করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগাবে। ভেবে দেখুন, আল্লাহ তা’আলা সমগ্র মানবজাতিকে আহবান করে বলছেন, তিনি আমাদের সবাইকে কেবল একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে জন্ম দিয়েছেন। তাদের অন্তরঙ্গতা থেকে সন্তান জন্ম নিয়েছে, সেসব সন্তানদের আরো সন্তান-সন্ততি হয়েছে এবং এমনি করে ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর সময়ে পৃথিবীর লোকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে দু’শ মিলিয়ন! সতের শতকের মাঝেই বিশ্বের জনসংখ্যা ৫০০ মিলিয়ন স্পর্শ করে আর উনিশ শতক নাগাদ এ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে এক বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। বিশ শতকে তা আবারো বেড়ে দ্বিগুণ হয়, অর্থাৎ দুই বিলিয়ন। আর আজকে পুরো দুনিয়াতে প্রায় সাত বিলিয়ন লোকের বাস। অর্থাৎ জনসংখ্যা বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। ধারণা করা হয় আগামী শতক আসতে আসতেই পৃথিবীতে লোকসংখ্যা দশ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে। শত ভাষাভাষী হাজার কোটি মানুষ বিভিন্ন দেশ আর মহাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এদের মাঝে রয়েছে বিভিন্ন জাতি, বর্ণ আর গোত্রের বৈচিত্র্য।এই বৈচিত্র্যময় বিশাল জনগোষ্ঠীর সূত্রপাত হয়েছে কেবল একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে। অথচ তারা দুনিয়ার বুকে এসেছিলেন আজ থেকে হাজার বছর আগে।
এ ব্যাপারটি একটি গভীর চিন্তার খোরাক যোগায়। আপনার একটিমাত্র কাজ আপাতদৃষ্টিতে তুচ্ছ মনে হলেও এর ফলাফল হতে পারে অসামান্য! কোনো এক অজানা দিনে করা আপনার একটি ছোট্ট কাজ, একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে এক বিশাল পরিণতি সৃষ্টি করতে পারে। হয়তো কাজটি করার সময় সেদিন এমন পরিণতির কথা আপনি কল্পনাতেও ভাবেন নি। বৃষ্টির প্রথম ছোট্ট ফোঁটাটা যখন পানির বুকে আছড়ে পড়ে তখন সে জায়গাটাকে কেন্দ্র করে ছোট্ট একটা ঢেউ ওঠে। সেই ঢেউটা তার চারপাশে মৃদু আলোড়ন তুলতে তুলতে ছড়িয়ে যায়। তেমনি আপনার একটি ছোট্ট কাজ থেকেও জন্ম নিতে পারে অজস্র ঘটনা। ইংরেজিতে এর একটি নাম আছে, যাকে বলা হয় Domino Effect, তবে এর প্রকৃত নাম হওয়া উচিত জ্যামিতিক সংবৃদ্ধি (geometric progression)।
সমাজবিজ্ঞানীরা এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে মহামারীর উদাহারণের আশ্রয় নেন। ধরুন, ভারত থেকে এক পর্যটক বাংলাদেশে বেড়াতে আসার সময় তার শরীরে এমন এক সংক্রামক ভাইরাস বয়ে এনেছে, যার সংক্রমণের হার ১০%। অর্থাৎ তার সাথে দেখা হওয়া প্রতি দশ জন লোকের এক জন এ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হবে। বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন লোক তার সংস্পর্শে আসলো, অতএব তাদের মাঝে পাঁচ জনকে সে সংক্রমিত করলো। পরদিন, সেই পাঁচ ব্যক্তির প্রত্যেকে আরো নতুন পঞ্চাশ জনের সংস্পর্শে আসলো এবং তাদের ১০% লোককে আক্রান্ত করলো। তাহলে, এখন আক্রান্ত ব্যক্তির পরিমাণ দাঁড়ালো নতুন ২৫ জন+প্রথম ৫ জন+পর্যটক নিজে অর্থাৎ মোট ৩১ জন। তৃতীয় দিনে এই ৩১ জন লোকের প্রতেকে আরো ৫০ জনের সান্নিধ্যে আসলো এবং তাদের ১০% কে আক্রান্ত করলো। সুতরাং তিন নম্বর দিনে নতুন আরো ১৫৫ জন জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছে আর আক্রান্ত লোকের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৮৬! হিসেব করলে দেখা যাবে চার নম্বর দিনে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে!
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এক ভারতীয় পর্যটকের শরীর থেকে হাজারেরও বেশি বাংলাদেশী লোক সেই সংক্রামক ভাইরাসের বাহকে পরিণত হয়েছে চার দিনের মাথায়! তাহলে ভেবে দেখুন, এক সপ্তাহ, এক মাস বা এক বছর পরে এই সংখ্যাটি জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেতে পেতে কোথায় গিয়ে ঠেকবে! ভারত থেকে যখন মাত্র একজন পর্যটক এ ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিল, তখন এই কি বিশাল সংখ্যাটা আমরা কল্পনায়ও আনতে পেরেছিলাম?
দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার মসনদ আকঁড়ে রাখার পর আমেরিকান ডলারে পালিত মুবারক সরকারের শক্তিশালী বলয় আজ ভেঙে পড়েছে। তিউনিসিয়ার বেন আলীর শাসনের পতন ঘটেছে। লিবিয়াতে প্রকৃতপক্ষেই একটি সশস্ত্র বিপ্লবের সূচনা হয়েছে (যদিও দুর্ভাগ্যক্রমে তারা বোকার মতো পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপ ও সাহায্য কামনা করে বসেছে)। আজ আলজেরিয়া, বাহরাইন, জর্দান, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন অংশে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছে। এটা একসময় ছিল চিন্তারও অতীত। সমগ্র আরব জুড়ে এখন যালেম শাসকদের বিরুদ্ধে দাউদাউ করে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে। এই শাসকরা যুগ যুগ ধরে জনগণের রক্ত চুষে খেয়েছে, তাদের উপর অমানবিক অত্যাচার চালিয়েছে। এ ঘটনাগুলো ক্বিয়ামাতের পূর্বাভাস দেয়। এই ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত পৃথিবীর চেহারাকে পাল্টে দিতে থাকবে। কিন্তু এসবকিছুর শুরু হয়েছিল কোথায়?
এই আগুনের সূচনা হয়েছিল একটি মাত্র স্ফুলিঙ্গ থেকে। আপাতদৃষ্টিতে একক, অপ্রাসঙ্গিক ও তুচ্ছ একটি কাজ থেকে। এ সবের শুরু হয়েছিল ডিসেম্বরের এক গড়পড়তা দিনে। সেদিন হতাশায় জর্জরিত এক বেকার যুবক তিউনিসিয়ার রাস্তায় নিজের গায়ে গ্যাসোলিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। অবশ্যই ইসলামের দৃষ্টিতে এ কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, তবে এখানে দেখার বিষয় হচ্ছে তার এই একটি কাজের সুদূরপ্রসারী ফলাফল। তার ছোট্ট একটি কাজ ছোট ছোট প্রতিবাদের জন্ম দেয়। সেখান থেকে একটি বিশাল আন্দোলন বেগবান হয়। ফলস্বরূপ তিউনিসিয়া সরকারের পতন ঘটে, পতন ঘটে মিসর সরকারের। এই ঘটনা অন্যান্য বহু দেশের লক্ষাধিক লোককে যালিম-সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেমে পড়তে উৎসাহ যোগায়। এমনকি এই আগুনের আঁচ আমেরিকাকেও স্পর্শ করে! (ম্যাডিসন, উইসকনসিনের ঘটনা এখানে উল্লেখ্য – যেখানে জনগণ রাজনৈতিক দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে)। মুহাম্মদ বুয়াজিজি যখন নিজের গায়ে গ্যাসোলিন ঢেলে দিচ্ছিল, সে মুহূর্তে কেউ ভাবতেও পারেনি এ ঘটনা শেষ পর্যন্ত পুরো মধ্যপ্রাচ্যের চিত্রকে বদলে দেবে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও এ বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন।
আমেরিকায় কনকর্ড নামে এক এলাকা আছে। ম্যাসাচুসেটসে আমার বাসা থেকে গাড়ি করে কনকর্ড যেতে কয়েক মিনিট সময় লাগে। কনকর্ড হলো সেই শহর যেখানে ২০০ বছর আগে ব্রিটিশ দখলদারদের সাথে স্থানীয় আমেরিকানদের মোকাবিলা হয়। সেখান থেকে সূচিত হয় আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ। আর সেখান থেকেই যুক্তরাষ্ট্র নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এ সবকিছুর শুরু কোথা থেকে? এর সূচনা ১৭৭৫ সালের এপ্রিল মাসের কোনো এক দিনে, যেদিন পল রেভার নামের এক আমেরিকান, ব্রিটিশ সেনাদের সশস্ত্র অভিযানের পরিকল্পনা আগেভাগে টের পেয়ে যান (তখন আমেরিকা ছিল ব্রিটিশদের ঔপনিবেশ)। তিনি জানতে পারেন, ব্রিটিশ বাহিনী লেক্সিংটন শহরে জন হ্যাংকক ও স্যামুয়েল অ্যাডামকে গ্রেপ্তার করে কনকর্ডে অতর্কিত আক্রমণ করে স্থানীয় সৈন্যবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র জব্দ করার পরিকল্পনা এঁটেছে। সে রাতে রেভার খুব সাধারণ একটি কাজ করেন। তিনি একটি ঘোড়া নিয়ে বের হয়ে শহরে শহরে গেলেন এবং স্থানীয় লোকদের কাছে আগাম সতর্কবার্তা পৌঁছে দিলেন যে, পরদিন সকালে ব্রিটিশ সৈন্যরা অভিযানের পরিকল্পনা করেছে। লেক্সিংটন যাবার পথে প্রত্যেক শহরে নেমে তিনি এই কাজটি করলেন। পরদিন সকালে ব্রিটিশরা সেখানে পৌঁছে আবিষ্কার করলো তাদের মোকাবিলার জন্য আগে থেকেই একদল মিলিশিয়া বাহিনী প্রস্তুত! লড়াই হল। ব্রিটিশরা কনকর্ডে পরাজিত হল এবং সূচনা হল আমেরিকান মুক্তিযুদ্ধের। এই মিলিশিয়া মুক্তিবাহিনীই পরবর্তীতে সারা দেশে ব্রিটিশ হানাদারদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
উপরে বর্ণিত ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি যোগসূত্র আছে। দুনিয়ার চেহারা বদলে-দেওয়া, জাতির ভাগ্যের চাকা-ঘুরিয়ে দেওয়া এই বিশাল ঘটনাগুলোর শুরুটা হয়েছিল এক ব্যক্তির ছোট্ট একটি কাজ থেকে! অথচ সে ব্যাক্তির হয়তো ধারণাই ছিল না তার সামান্য কাজটির পরিণতি একসময় কোথায় গিয়ে ঠেকবে! এই উদাহরণ গুলোর খুঁটিনাটি বিষয়গুলো এখানে তেমন জরুরি নয়। বরং এখান থেকে শেখার বিষয় হল জ্যামিতিক সংবৃদ্ধির বিষয়টি। এটা আপনি প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন। পল রেভারের ছোট্ট একটি কাজ আমেরিকান বিপ্লবের জন্ম দিয়েছিল। মুহাম্মদ বুয়াজিজির অভিমানি আত্মাহুতি আরব বসন্তের উত্থান ঘটিয়েছিল। শুধুমাত্র একজন পুরুষ ও নারীর সম্মিলন থেকে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের আগমন ঘটেছে। তেমনি করে দু’দিন আগে অচেনা সেই পথচারীর সাথে আপনার আলাপচারিতা বা আপনার কোনো বক্তৃতা, বন্ধুকে দেওয়া উপহারের বই, আপনার কোনো সাদাক্বাহ, অথবা আপনার কোনো কথা বা কাজের পরিণতি পরবর্তীতে অন্যদের জীবনে এমন সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখতে পারে যা আপনি সে সময় কল্পনাও করতে পারেননি। সূরা ইবরাহীমের ২৪ এবং ২৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’আলা কী উপমা টেনেছেন তা লক্ষ্য করে দেখুন:
“…পবিত্র বাক্য হলো পবিত্র বৃক্ষের মত। তার শিকড় মজবুত এবং শাখা আকাশে উত্থিত। সে পালনকর্তার নির্দেশে অহরহ ফল দান করে…”
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সীরাহ থেকে একটি ঘটনার অবতারণা করে আমি আমার লেখা শেষ করছি। মদীনায় হিজরতের পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সেখানে ইসলামের বীজ বপন করার উদ্দেশ্যে মুস’আব ইবন উমাইরকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। মুস’আব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) সেখানে পৌঁছলেন এবং আসাদ বিন যুরায়রাহ নামের স্থানীয় খাযরাজ গোত্রীয় এক ব্যক্তির আতিথেয়তা গ্রহণ করলেন। তাদের দু’জনের প্রচেষ্টায় মদীনার বেশ কিছু লোক ইসলাম গ্রহণ করলো। একদিন এই দলটি জাফর গোত্রের কুয়ার পাশে বসে ছিল। তখন তারা মদীনার এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হল। এই ব্যক্তি ছিলেন উসাইদ ইবন হুদাইর। মুস’আব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তাঁকে তাঁদের মজলিসে বসে কথা শোনার আমন্ত্রণ জানান। আলোচনার এক পর্যায়ে উসাইদ ইসলাম গ্রহণ করলেন। উসাইদ এবার আরেক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে সাথে করে হাজির হলেন। তাঁর নাম সাদ ইবন মুয়ায। তিনিও ইসলাম গ্রহণ করলেন। বছরখানেক পর বনী কুরায়যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যেয়ে তিনি শহীদ হন। সাদ ইবন মু’আয(রাদিয়াল্লাহু আনহু) ছিলেন এমন একজন মুসলিম যার ব্যাপারে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন যে সাদের মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছিল। সাদ ইবন মুয়ায এরপরে নিয়ে আসলেন সাদ ইবন উবাদাহ কে। তিনিও তখনই ইসলাম গ্রহণ করেন।
ফলে মদীনার লোকেরা একে অপরকে বলতে থাকলো: ‘যদি উসাইদ ইবন হুদাইর, সাদ ইবন মুয়ায আর সাদ ইবন উবাদাহ উনারা সকলে মুসলিম হয়ে যান, তবে তো আমাদেরও তাই করা উচিত!’ আর-রাহীকুল মাখতুম বইটিতে এভাবেই বলা হয়েছে:
‘মুস’আব মদীনায় তাঁর দাওয়াহর কাজ অব্যাহত রাখলেন এবং সাফল্যের সাথে নিজের মিশন চালিয়ে যেতে থাকলেন। ফলে এক সময় এমন হলো যখন মদীনার আনসারদের প্রতিটি ঘরেই মুসলিম পুরুষ ও মুসলিম নারীতে ভরে উঠল‘।’ মুস’আবের মিশন দ্বারা মদীনায় এভাবেই জন্ম হল প্রথম ইসলামী রাষ্ট্রের। হিজরতের ভূমি, ইসলামের ভিত্তি যে মদীনা শহর, যেখান থেকে পুরো বিশ্বের কাছে ইসলামকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তা তৈরি হয়েছিল কেবল একজন লোকের প্রচেষ্টা থেকে – মুস’আব ইবন উমাইর (রাদিয়াল্লাহু আনহু)।
এটা জানা সত্যিই দুঃসাধ্য যে, আপনার সামর্থ্য ও প্রচেষ্টাগুলো কখন ঢেলে দিলে বা কার সাথে করলে তা কাজে লেগে যাবে। আপনি কখনোই জানবেন না আপনার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর কাজের পরিণতিও কতো বিশাল হয়ে যেতে পারে! সবসময় মনে রাখবেন এবং ইতিহাস থেকেও আমরা এই শিক্ষাটিই পাই যে শুধুমাত্র একজন মানুষের পক্ষেও পৃথিবীকে বদলে দেওয়া সম্ভব…
তারিক মেহান্না
প্লাইমাউথ কারেকশনাল ফ্যাসিলিটি
আইসোলেশন ইউনিট – সেল # ১০৮