নবীকরিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যের এই আহ্বান গোটা দুনিয়ার সকল শাসকবর্গের কাছে পৌঁছে দিতে মনস্থ করলেন। সুতরাং এ উদ্দেশ্যে আমর ইবনে উমাইয়া রাযিয়াল্লাহু আনহুকে হাফসার বাদশা আসহামনাজ্জাশির নিকট প্রেরণ করেন।আসহাম নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র পত্রটি তাঁর উভয় চোখের উপর স্থাপন করলো এবং সিংহাসন হতে নেমেনিচে মাটির উপর বসে গেলো আরস্বতঃস্ফূর্তভাবে ইসলাম গ্রহণ করলো।
হযরত দাহইয়া কালবিকে রোম-সম্রাট হিরাক্লিয়াসের নিকট পাঠান।নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সত্য নবী, তা তিনি অকাট্য প্রমাণাদি ও অতীতের আসমানি গ্রন্থসমূহেরমাধ্যমে স্পষ্ট জানতে পেরেছিলেন;তাই তিনিসাথে সাথে ইসলাম গ্রহণ করার ইচ্ছা করলেন;কিন্তু এতে তার উপর তার সকল প্রজা ক্ষেপে গেলো।এতে তিনি এই চিন্তায় ভীষণ ভয়পেয়েগেলেন, যে, আমি যদি ইসলাম গ্রহণ করি, এরা আমাকে সিংহাসনচ্যুত করবে।তাই তিনি ইসলাম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলেন। হযরত আবদুল্লাহইবনে হুযায়ফা রাযিয়াল্লাহু আনহুকে পারস্য-সম্রাট খসরু পারভেজের নিকট পাঠান।এই হতভাগা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চিঠির সাথে অত্যন্ত ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করলো এবং চিঠিটি ছিঁড়ে টুকরোটুকরো করে ফেললো।নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামজানতে পেরে বদ দুয়া করলেন, ‘আল্লাহতার সাম্রাজ্য টুকরো টুকরো করে দিন, এই চিঠির মতো।’ কিছুদিন যেতেই খসরুপারভেজ তার পুত্র শেরওয়াহর হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়। এছাড়াও রাসূল আলেকজান্দ্রিয়ার বাদশা মুকাওকিস, আম্মানের বাদশা জাইফার প্রমুখের কাছে ইসলামের দাওয়াত-সম্বলিত পত্র প্রেরণ করেন।
তথ্যসূত্র :আর-রাহিকুল মাখতুম, সফিউর রহমান মোবারকপুরি;সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, মুফতি শফি।