﷽
আযানের পাঁচ সুন্নাহ
এক: আযান দেয়া অনেক বড় ফযীলতপূর্ণ সুন্নাত। এটা শুধু মুয়াযযিনদের ওপরই সুন্নাত নয়, সবার জন্যেই এই সুন্নাত। আযানের ধ্বনি কানে এলে, প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে পাঁচটা আমল করার সুযোগ তৈরী হয়।
দুই: আযানের উত্তর দেয়া। নবিজী (সা.) বলেছেন:
-তোমরা যখন আযান শুনবে, মুয়াযযিন যা বলে, সাথে সাথে তোমরাও তা বলো।
= তবে হাইয়া আলাস-সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ-এর উত্তরে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলতে হবে।
তিন: আযান শেষ হলে, নবিজীর (সা.) ওপর দুরূদ পাঠ করাও সুন্নাত। নবিজী (সা.) বলেছেন:
-অতঃপর তোমরা আমার ওপর দুরূদ পাঠ করো। কেননা যে আমার ওপর একবার দুরূদ পাঠ করে, আল্লাহ তা‘আলা তার ওপর দশবার দুরূদ পাঠ করেন।
চার: নবিজীর (সা.) জন্যে উসীলা চাওয়া। তিনি বলেছেন:
-অতঃপর তোমরা আমার জন্যে আল্লাহর কাছে উসীলা প্রার্থনা করো। কেননা তা জান্নাতের একটি মনযিল। সেই মনযিলে শুধুমাত্র আল্লাহর এক নির্দিষ্ট বান্দাই যেতে পারবে। আর আশা করি, আমিই সেই বান্দা। যে আমার জন্যে উসীলা চাইবে, তার জন্যে সুপারিশ করা আমার জন্যে জরুরি হয়ে পড়বে।
পাঁচ: কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করা। আল্লাহ ও তার রাসূলের প্রতি আমাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করা। নবিজী (সা.) বলেছেন:
-যে আযান শুনে বলবে: আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু। রাদীতু বিল্লাহি রাব্বাওঁ ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসূলান ওয়া বিলইসলামি দীনান।
= তার গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
ছয়: আমরা ইচ্ছেমতো দু‘আ করবো। আল্লাহ চাহেন তো এই দু‘আ কবুল হবে। এক লোক বললো:
-ইয়া রাসুলাল্লাহ! মুয়াযযিনারাতো আমাদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে!
-তারা যা বলে, তুমিও তাই বলো। যখন সবকিছু বলা শেষ করবে, আল্লাহর কাছে চাও, তোমাকে দিয়ে দেয়া হবে।
আমাদের শি‘আর (স্লোগান) হলো:
– ইন তুতীঊহু তাহতাদু (وَإِنْ تُطِيعُوهُ تَهْتَدُوا): যদি তার (নবিজীর) অনুসরণ করো, হিদায়াত পেয়ে যাবে (নূর:৫৪)।
ইয়া আল্লাহ! আমল করার তাওফীক দান করুন। অামীন।