﷽
আসুন হাদিয়া দেই
এক: কিছু পেতে সবারই ভাল লাগে। আবার কিছু দিতেও ভাল লাগে। এই দেয়া-নেয়ার পালাটাকেই যদি সুন্নাতের মোড়কে ফেলতে পারি, তাহলে দুনিয়া-আখিরাত দুটোতেই লাভ।
দুই: নবিজী (সা.) বলেছেন:
-তোমরা পরস্পরকে হাদিয়া দাও, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালবাসা সৃষ্টি হবে।
তিন: হাদিয়া দেয়া মানে কি, দামী কিছু? না, সামান্য একটা বস্তুও হাদিয়া হতে পারে। ছোট্ট একটা বই, পাঁচটাকার একটা গোলাব, একটাকার একটা চকলেট, কমদামী একটা কলমও হাদিয়া হতে পারে।
দাম-ওজন আর আকার মোটেও মূখ্য নয়, মূখ্য হলো আন্তরিকতা-ভালোবাসা আর সুন্নাতের নিয়্যাত।
চার: আনাস বিন মালিক (রা.) বলেছেন:
-বারীরাহ (রা.) একটুকরা সাদাকার গোশত পেলেন। বারীরাহ সেই গোশত নবিজীকে (সা.) হাদিয়া হিশেবে পেশ করলেন।
নবিজী (সা.) হৃষ্টচিত্তে হাদিয়া গ্রহণ করে বললেন:
-এই গোশত বারীরার জন্যে সাদাকা হতে পারে, কিন্তু আমার জন্যে তা হাদিয়া।
পাঁচ: আসুন আমরা নিয়মিত একে অপরকে অল্প কিছু হলেও হাদিয়া দেই। ভাই তার ভাইকে, ভাই তার বোনকে, বোন তার ভাইকে, সন্তান তার পিতামাতাকে। স্বামী তার স্ত্রীকে, স্ত্রী তার স্বামীকে। শিষ্য তার উস্তাজকে, এমনকি উস্তাজও তার শিষ্যকে হাদিয়া দেই। শত্রু তার শত্রুকে।
শুধু এই একটি সুন্নাতের মাধ্যমেই আমরা পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে, বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে পারি।
ছয়: আমাদের শি‘আর (স্লোগান) হলো:
– ইন তুতীঊহু তাহতাদু (وَإِنْ تُطِيعُوهُ تَهْتَدُوا): যদি তার (নবিজীর) অনুসরণ করো, হিদায়াত পেয়ে যাবে (নূর:৫৪)