﷽
খতমে কুরআন
কুরআন কারীম মুমিনের জন্যে রক্ষাকবচ! ভ্রান্তি ও বিচ্যুতি থেকে রক্ষা করে:
নিশ্চয়ই এই কুরআন সর্বাধিক সরল পথের সন্ধান দেয় (ইসরা: ৯)।
কুরআনের বরকত লাভ করতে হলে, হিদায়াত লাভ করতে হলে, নিয়মিত তিলাওয়াত করতে হবে। বোঝার চেষ্টা করতে হবে। পাথরে পাথর ঘষলে যেমন আগুন ধরে, তদ্রূপ কলবের সাথে কুরআনের আয়াত ঘষলেও কলবে হেদায়াতের আগুন ধরবে। আল্লাহর মা‘রেফাতের নূর জ্বলবে।
আমরা গল্প পড়ি। উপন্যাস পড়ি। কবিতা পড়ি। কিন্তু কুরআন পড়ি না। সুযোগ পেলেই যদি গল্পের বই নিয়ে বসতে পারি। ফেসবুক নিয়ে বসতে পারি, কুরআন নিয়েও কিছু সময় বসতে পারবো না কেন?
এখন তো আরও সহজ! মোবাইলেই কুরআন কারীম থাকে। আয়োজন করে কুরআন নিয়ে বসতে হয় না। অনায়াসেই কুরআন পড়া যায়। শোনা যায়।
নবীজি সা. নিয়মিত কুরআন খতম করতেন। জিবরীল আ.-এর সাথে ধরাধরি করতেন। এক খতম শেষ হলে আরেক খতম ধরতেন। এটা সুন্নাত। তিনি বলেছেন:
-অন্তত একমাসে হলেও কুরআন খতম করো (বুখারী)।
হাদীসে বিশদিনে, দশ দিনে, সাতদিনে, তিনদিনে, চল্লিশ দিনে কথাও আছে। যে যারা সামর্থ্য অনুযায়ী খতম করবে। তবে সময় যাই লাগুক, চল্লিশ দিনের বেশি যেন না লাগে। কারণ হাদীসে সর্বোচ্চ চল্লিশ দিনের কথা আছে।
কুরআন তিলাওয়াতে (না বুঝে হলেও) প্রতি হরফে দশ নেকী। আর প্রতিটি নেকী দশগুণ হয়ে আসে (তিরমিযী)।
আমরা প্রতিদিন এক পারা পড়তেই পারি। নিজে না পারলে, অন্তত ত্রিশ মিনিট বরাদ্দ করে, একজন কারী সাহেবের মুখ থেকেও শুনে নিতে পারি। অবশ্য রেকর্ড শুনলে সওয়াব না হওয়ার ফতোয়া দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু কিছু না কিছু বরকতও লাভ হবেই।
একটানা সময় না হলে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে শুনে নিতে পারি। পড়ে নিতে পারি। প্রতি নামাযের আগে বা পরে চার পৃষ্ঠা করে শোনার বা পড়ার নিয়ম করে নিতে পারি।
কুরআন হলো হিদায়াতের আধার। গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়:
-কেউ নিয়মিত কুরআন খতম দিতে অভ্যস্ত হলে, ভ্রান্তি বা বিচ্যুতি তার আশেপাশে ঘেঁষতে পারবে না। চব্বিশ ঘণ্টায় ‘ত্রিশটা মিনিট’ খুব বেশি কিছু তো নয়! এটা নিজের জানমালের নিরাপত্তার জন্যে ব্যয় করছি বলেও ধরে নিতে পারি! আল্লাহও খুশী। নবীজিও খুশি! দুনিয়া-আখেরাত উভয়টাই নিরাপদ হয়ে গেলো!
প্রথম প্রথম কষ্ট হয়, যে কোনও আমলই একবার অভ্যস্ত হয়ে গেলে, পালতোলা নাওয়ের মতো তরতর এগুতে থাকে! আর থামাথামি হয় না! পালটা তুলতে যা দেরী! আল্লাহ তাওফীক দেয়ার জন্যে তৈরী হয়েই তো আছেন!