﷽
শক্তিমান মুমিন
দুর্বলদের দিয়ে কখনো কিছু হয়েছে? সবল আর তৎপর লোকেরাই কাজের। তারাই সমাজের চালিকাশক্তি। তাদের হাত ধরেই উন্নতি-অগ্রগতি সাধিত হয়। সবল মানে জব্বার বলীর মতো ইয়াব্বড় ‘পাহলোয়ান’ হতে হবে এমন নয়। সবল মানে সুস্থ সজাগ কর্মঠ মানুষ।
নবীজি দুর্বল মুমিনের চেয়ে সবল মুমিন বেশি পছন্দ করতেন। তিনি বলতেন:
الْمُؤْمِنُ الْقَوِيُّ خَيْرٌ وَأَحَبُّ إِلَى اللهِ مِنَ الْمُؤْمِنِ الضَّعِيفِ، وَفِي كُلٍّ خَيْرٌ
প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই (কিছু না কিছু) কল্যাণ আছে, তবে আমার কাছে দুর্বল মুমিনের চেয়ে সবল মুমিনই বেশি প্রিয় (মুসলিম)।
সবল মানে আবার এটাও নয়, প্রতিদিন জিমে গিয়ে গাব্দাগোব্দা মাসল বাইসেপ বানানোর কসরৎ করা। মাসল বানানোটা যদি সুন্নাত আদায়ের জন্যে হয়, তাহলে কথাই নেই, কিন্তু স্কিনটাইট গেঞ্জি পরে ও ততোধিক টাইট জিন্স পরে গফকে দেখানোর জন্যে মাসল বানানো ‘ভাল কাজ’ নয়।
শক্তিমান মুমিনকে নবীজি পছন্দ করেন, কারন সে বেশি বেশি ইবাদত করতে পারবে, জিহাদে অংশ নিতে পারবে, জনসেবায় আত্মনিয়োগ করতে পারবে। বিকটা আওয়াজে বাইক চালিয়ে ‘বডি’ দেখিয়ে বেড়ানোর জন্যে নয়। সুযোগ পেয়েই ‘শার্ট’ খুলে বুকের ছাতি দেখানোর জন্যে নয়।
নবীজি সব ধরনের দুর্বলতা থেকে বাঁচার দু‘আ করতেন:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَالعَجْزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخْلِ وَالجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা ও শোক থেকে পানাহ চাই। অক্ষমতা ও অলসতা থেকে পানাহ চাই। কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে পানাহ চাই। বুকভাঙা ঋণ ও শক্তিমানের আধিপত্য থেকে পানাহ চাই! (বুখারী)।
আমরা দু‘আটা মুখস্থ করে রাখতে পারি। সুন্নাতও আদায় হবে, বিপদাপদ থেকেও বেঁচে থাকা যাবে। সময় পেলে, সমস্যা দেখা দিলে পড়তে পারবো।