﷽
আমলনামার ফিটনেস
আমরা জেনে না জেনে কতো গুনাহ করে ফেলি! অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের গুনাহ:জিহ্বার গুনাহ, চোখের গুনাহ, কানের গুনাহ! মনের গুনাহ: অহংকার, রিয়া, হামবড়াভাব, হিংসা ইত্যাদি।
আজকাল তো রাস্তায় বের হলে, কী ছেলে কী বুড়ো! সবার কোনও না কোনও গুনাহ হয়েই যায়। গুনাহমুক্ত জীবনযাপন করার দুরূহ ব্যাপার! আল্লাহর খাস তাওফীক ছাড়া এটা সম্ভবও নয়।
আমরা অনেক সময় গুনাহ নয় মনে করেই গুনাহ করে ফেলি। ভাবি এটা ভাল কাজ! অথচ গুনাহ!
وَتَحْسَبُونَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِنْدَ اللهِ عَظِيمٌ
আর তোমরা সেটাকে মনে করো হালকা, অথচ সেটা আল্লাহর কাছে বিরাট! (নূর:১৫)।
গুনাহ ধরে ধরে নির্দিষ্ট করে তাওবা করা অসম্ভব এক কাজ। কারণ অনেক গুনাহ আমাদের অগোচরেই হয়ে যায়। জানাও থাকে না আমি গুনাহ করেছি।
এজন্য পেয়ারা নবীজি (সা.)-এর এক অত্যন্ত ফলপ্রসূ আর সময়োপযোগী সুন্নাত হলো: ইস্তেগফার করা। লম্বাচওড়া, বড়সড় কিছু বলতেই হবে এমন নয়। আমরা মাত্র একটা বাক্য উচ্চারণ করেও বিরাট এক আমল করে ফেলতে পারি:
أستغفر الله
আস্তাগফিল্লাহ। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই।
নবীজি কিভাবে আমলটা করতেন:
وَاللَّهِ إِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ فِي اليَوْمِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً
আল্লাহর কসম! আমি প্রতিদিন কমপক্ষে সত্তরবারেরও বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই ও তাওবা করি! (বুখারী)
আরেক হাদীসে একশ বার ইস্তেগফার ও তাওবা করার কথা বলা হয়েছে (ইবনে মাজাহ)।
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি এবং তাওবা করছি
একশ বার বা সত্তরবার পড়তে কতো সময় লাগবে! বড়জোর দু’মিনিট! সারা দিনের ক্লান্তি দূর করার জন্যে আমরা কতো কিছু করি! কোল্ড ড্রিংস, সফট ড্রিংস করি। ব্যায়াম করি। ফিটনেস ঠিক রাখার জন্যে জিমে যাই! পার্কে যাই!
গল্পের ফাঁকে ফাঁকে, দাঁড়ানো থেকে বসতে, বসা থেকে দাঁড়াতে, গাড়িতে বসে, যানজটে থেমে থেকে বিড়বিড় করেও বলতে পারি!
উচ্চারণ করেই পড়তে হবে? মোটেই না। মনে মনেই সেরে নিতে পারি! মাত্র দুইটা মিনিট ব্যয় করে কি আমরা আমলনামার ফিটনেসটা আপডেট করে রাখতে পারি না!