২৮তম পর্ব – একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে – খেজুরে সুন্নাত – শায়খ আতিক উল্লাহ


খেজুরে সুন্নাত

আল্লাহর ইবাদত আমাদের কাছে কী দাবী করে? আমরা আল্লাহর আদেশ মানবো কোনও অলসতা ছাড়া। ঝগড়া ছাড়া। দ্বিধা ছাড়া।

আল্লাহ তা‘আলা রামাদানের রোযাকে ফরয করেছেন। পাশাপাশি সাদাকাতুল ফিতর দেয়াকেও আবশ্যক করেছেন। পুরো একটা মাস রোযা রাখা ফরয অথচ মাসশেষের পরদিন রোযা রাখাকে ‘নিষিদ্ধ’ করা হয়েছে। সবদিনই আল্লাহর দিন। একদিন বেশি ফযীলত আরেকদিন কম ফযীলত। একমাস সম্মানিত আরেক মাস কিছুটা কম সম্মানিত, এসব হয়েছে আল্লাহর আদেশে। এই আদেশ মানাকেই ‘উবূদিয়্যত’ বলে। আল্লাহর আনুগত্য বলে।

নবীজি আল্লাহর আনুগত্যকে ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ করতে পছন্দ করতেন। ‘ফিতর’ অর্থ ফাটানো বা নাশতা করা। সেজন্য ঈদুল ফিতরের দিন নবীজির সর্বপ্রথম কাজই ছিল ‘ফিতর’ করা। আল্লাহর আনুগত্যকে প্রাধান্য দিতে গিয়েই তিনি এটা করতেন। কিছু না খেয়ে তিনি ঈদের নামাযে যেতেন না।

আনাস বিন মালিক রা. বলেছেন:
-নবীজি ফিতরের দিন কয়েকটা খেজুর না খেয়ে সকালে ঘর থেকে বের হতেন না (বুখারী)।

তিনি খেজুর খেতেন বেজোড় সংখ্যায় (আনাস রা.)।

চমৎকার একটা সুন্নাত। কোনও কষ্ট তো নেইই উপরি হিশেবে একটু খানাপিনাও হলো। তাও একটা সুন্নাত নয়, দুই দুইটা:
ক: খেজুর খাওয়া।
খ: বেজোড় সংখ্যায় খাওয়া।
তিনটা। পাঁচটা। সাতটা। সংখ্যা বেজোড় রেখে যতোটা পেটে সয়।
খাও খাও খাও।