৩০তম পর্ব – একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে – দ্রুত ইফতার করা – শায়খ আতিক উল্লাহ


দ্রুত ইফতার করা

এক: নবিজী (সা.) বলেছেন: লোকেরা যতদিন পর্যন্ত দ্রুত ‘ইফতার’ করবে, ততদিন পর্যন্ত কল্যাণের মধ্যে থাকবে।

দুই: সুন্দর-মনোরম একটা সুন্নাহ। রোযা তো রাখতে হয় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। ইফতারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে বান্দার বেশি কষ্ট না হয়।

তিন: হাদীসে কল্যাণের কথা বলা হয়েছে, এটা হলো:
(ক) তাড়াতাড়ি ইফতার করার মাধ্যমে সুন্নাতের বরকত লাভ হচ্ছে।
(খ) দ্রুত ইফতারের মাধ্যমে নিজেদের প্রতি, পরিবার-পরিজনের প্রতি দয়া-সহমর্মিতা প্রকাশ পাচ্ছে।
(গ) এই সুন্নাত আদায় করাটা এতটাই সহজ, শুধু এক টুকরা খেজুর বা এক ঢোক পানি হলেই হয়।

তিন: শুধু ইফতারের সময় হলেই হলো। সাথে সাথে সামান্য কিছু খেয়ে নেয়া।

চার: এর চেয়ে মজাদার আর উপাদেয় সুন্নাত আর কিছু হতে পারে?

ইয়া রাব! আমাদেরকে এই সুন্দর সুন্দর, মজার মজার সুন্নাহগুলো নিয়মিত আমলে নিয়ে আসার তাওফীক দান করুন। আমীন।

প্রতি সপ্তাহে দুইবার এই সুন্নাতটা মানার সুযোগ আছে। নবিজী (সা.) প্রতি সোমবার বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। প্রতি আরবি মাসের ১৩-১৪-১৫ তারিখেও রোজা রাখতেন। প্রথম প্রথম কষ্ট লাগে, মানে ইচ্ছে হয় না। কিন্তু দুই সপ্তাহ একটু জোর করে রাখতে থাকলে আস্তে আস্তে খুবই ভাল লাগতে থাকে। রোযা এমন এক সুন্নাত, যেটা করতে গেলে সারাদিনের কোনও কাজই বন্ধ রাখতে হয় না।