৩৪তম পর্ব – একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে – আত্মীয়তার বন্ধনযুক্তকরণ – শায়খ আতিক উল্লাহ


আত্মীয়তার বন্ধনযুক্তকরণ

আত্মীয়-স্বজনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা। তাদের খোঁজখবর রাখা। আসা যাওয়া করা। বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ানো। শুধু এটুকুই আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার সুন্নাতের সীমা?

যারা আমার প্রতি দুর্ব্যবহার করেছে, নিজ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে,আগে বেড়ে তাদের সাথে সম্পর্ক ঠিক রাখাও সুন্নাতের আওতায় পড়বে।

নবীজি সা. বলেছেন: কোনও প্রতিদান ছাড়া দানকারী প্রকৃত আত্মীয়তার বন্ধনরক্ষাকারী নয়, প্রকৃত বন্ধন রক্ষাকারী হলো: অন্যে সম্পর্ক ছিন্ন করলে, সে আগে বেড়ে সম্পর্ক যুক্ত রাখে! (বুখারী)।

ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার কিছু আত্মীয় আছে, আমি তাদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে চলতে চাইলেও তারা সম্পর্ক ছিন্ন করতে উদ্যত হয়! আমি তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার করলেও তারা দুর্ব্যবহার করে, আমি তাদের প্রতি সহনশীল আচরণ করলেও, তারা রুক্ষè আচরণ করে।
তুমি যেমনটা বললে, বাস্তবেই যদি তেমন হয়, তাহলে তারা বেশ (মানসিক) কষ্টেই আছে। তবে তুমি যতদিন এই আমলের ওপর থাকবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী তোমার সাথে লেগে থাকবে! (মুসলিম)।

এমন ফযীলত লাভের জন্যে আমরা খুঁজে খুঁজে সম্পর্ক টুটে যাওয়া আত্মীয়দের বের করতে পারি। আমল করতে পারি নবীজির সুন্নাতের ওপর। আখেরে লাভ কিন্তু আমারই! ছোট্ট একটা সুন্নতই আমাকে আখেরাতে বাঁচিয়ে দিতে পারে!
০৮/০৩/১৬

আমাদের শি‘আর (স্লোগান):
(إنْ تُطِيْعُوْهُ تَهْتَدُوْا):
যদি তার অনুসরণ করো, হেদায়াত পেয়ে যাবে (নূর: ৫৪)