﷽
ইফতারির সময়কার যিকির
পেয়ারা নবীর প্রতিটি মুহূর্তই যিকিরে-ফিকিরে কাটতো। সারাক্ষণই তিনি তার রবকে স্মরণ করতেন। রবের শুকরিয়া আদায় করতেন। প্রশংসা করতেন।
আর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে তো নবীজী চমৎকার সব দু‘আ পড়তেন। দু‘আগুলোর অর্থগত সৌন্দর্য তো বটেই, শব্দগত সৌন্দর্যও অতুলনীয়। পড়লেই মনের মধ্যে এক প্রকার দোলা জাগে। আনন্দ তৈরী হয়। অমূল্য কিছু একটা পেয়ে যাচ্ছি বলে মনে হতে থাকে।
নবীজি ইফতারির সময় দারুন এক দু‘আ পড়তেন:
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
পিপাসা দূর হয়েছে। শিরা-উপশিরা সিক্ত হয়েছে। আল্লাহ চাহেন তো সওয়াবও সুনিশ্চিত হয়েছে (আবু দাউদ)।
ছোট্ট অথচ এত এত চমৎকার দু‘আ, পড়লেই মনে হয় আহ! শরীর জুড়িয়ে গেলো রে! জান্নাত নিশ্চিত হয়ে গেলো রে!
একটু চিন্তা করলেই কি বেরিয়ে আসে না, দু‘আটা পেয়ারা নবীর জীবনসঞ্জাত? একান্ত জীবনঘনিষ্ঠ? বাস্তব উপলব্দি থেকে পড়েছেন তিনি? প্রতিটি শব্দ অনুভব করে করে উচ্চারণ করছেন? কী মনে হয় না এমনটা?
–
وَلِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ: فَرْحَةٌ حِينَ يُفْطِرُ، وَفَرْحَةٌ حِينَ يَلْقَى رَبَّهُ
রোযাদারের দুই আনন্দ:
ক: ইফতারির আনন্দ!
খ: তার রবের সাথে সাক্ষাতের আনন্দ!
ওফ! কী অবিশ্বাস্য ইঙ্গিত! রোযা রাখলে রবের সাথে সাক্ষাত হবে! ইয়া আল্লাহ! রোযার প্রতিদানও রাব্বে কারীম নিজ হাতে দেবেন!
কল্পনা করি তো একটু:
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রপ্রধানের হাত থেকে পুরষ্কার নিচ্ছি!
কেমন অনুভূতি? এই অনুভূতিকে অগণিত ট্রিলিয়ন দিয়ে পুরণ দিলে, যে অনুভূতির গুণফল বেরিয়ে আসবে: রোযাদার তার চেয়েও বেশি আনন্দ পাবে!
শুধু কি রামদানের রোযা? উঁহু! প্রতি সোমবার! প্রতি বৃহস্পতিবার! প্রতি আরবী মাসের তের-চৌদ্দ-পনের তারিখে রোযা রাখা সুন্নাত। এছাড়া যে কোনও দিন রোযা রাখলেই হিশেব আগেরটাই থাকবে!