৪১তম পর্ব – একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে – আগেভাগে মসজিদে – শায়খ আতিক উল্লাহ


আগেভাগে মসজিদে

প্রতি সপ্তাহে একটা উট সাদাকা করা ক’জনের পক্ষেই বা সম্ভব? অথবা প্রতি সপ্তাহে একটা করে গরু বা ছাগল সাদাকা করাও সবার সাধ্যে কুলোবে? বেশির ভাগ মুসলমানের পক্ষেই সম্ভব নয়।

আমরা চাইলে অনায়াসেই এই ফযীলতটা লাভ করতে পারি। কোনওপ্রকার খায়-খরচা ছাড়াই!
যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন খুব ভালোভাবে গোসল করলো, আগে আগে সবার আগে মসজিদে গেলো, সে যেন একটা বড়সড় উটনী কুরবানি করল।
আর যে ব্যক্তি তারপর মসজিদে গেলো, সে যেন একটা হৃষ্টপুষ্ট গাভী কুরবানী করলো।
আর যে ব্যক্তি তারপরে মসজিদে গেলো সে যেন একটা দুম্বা কুরবানী করলো।
আর যে ব্যক্তি তারপরে মসজিদে গেলো, সে যেন একটা মোরগ কুরবানি করলো।
আর যে ব্যক্তি তারপরে মসজিদে গেলো, সে যেনো একটা ডিম কুরবানী করলো।
ইমাম সাহেব খুতবা দেয়ার জন্যে মিম্বরে উঠে গেলো, ফিরিশতারা আমলনামা লেখা বন্ধ করে দেন। তারাও বয়ান শোনায় মশগুল হয়ে পড়েন (বুখারী-মুসলিম)।

সব সময় যদিও সবার আগে মসজিদে যেতে না পারি, মাসে একবার ‘প্রথম মুসল্লী’ হওয়াকে চ্যালেঞ্জ হিশেবে নিতেই পারি। লাখ টাকা খরচ করে একা একটা উট কুরবানী হয়তো সারাজীবনেও দিতে পারবো না, কিন্তু চেষ্টা করলে, প্রতি সপ্তাহ বা মাসেই এই ফযীলত অর্জন করার সৌভাগ্য লাভ করতে পারি!