﷽
প্রভাতী যিকির
কথা কম কাজ বেশি। কাজ কম লাভ বেশি। আমল কম সওয়াব বেশি। সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে পেলে একজন যা রুজি করে, আরেকজন মাথা খাটিয়ে একমিনিটেই তা রুজি করে ফেলে। দু’জনেরই রুজিই হালাল।
আমরা পেয়ারা নবীর তরীকা অনুযায়ী আমল করি, তাহলে আমরা অল্প মেহনতে অনেক সওয়াবের ভাগীদার হতে পারবো। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে আদেশ করেছেন:
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا اللَّهَ ذِكْرًا كَثِيرًا
ওহে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহর বেশি বেশি যিকির করো (আহযাব: ৪১)।
বেশি বেশি যিকির মানে কী? সারাক্ষণ বসে বসে যিকির করবো? উত্তরটা নাহয় নবীজি সা.-এর কাছ থেকেই শুনি। তিনি সুন্দর অথচ অতি সহজ একটা সমাধান দিয়ে গেছেন। সামান্য কয়েক মুহূর্ত সময় লাগবে আমলটা করতে, অথচ সারাদিনের মুজুরী পেয়ে যাবো!
উম্মুল মুমিনীন জুয়াইরিয়া রা.। এক সকালে নবীজি তার ঘর থেকে ফজর নামায পড়তে গেলেন। যাওয়ার সময় দেখে গেলেন, আম্মাজান জায়নামাযে আছেন। বেলা চড়ে যাওয়ার পর নবীজি ফিরে এসে দেখলেন, আম্মাজান তখনো জায়নামাযে!
-তুমি তখন থেকেই এ অবস্থায় আছো?
-জ্বি।
-এসো তোমাকে চারটা ‘বাক্য’ শিখিয়ে দেই, তিনবার পড়তে হবে। যদি বাক্যগুলোর সওয়াবকে সারাদিন ধরে মাপা যাবে!
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
আমি আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি (তাসবীহ পাঠ করছি) ও তার প্রশংসা করছি:
তার সমস্ত সৃষ্টির পরিমাণসম
তার সন্তুষ্টি লাভের পরিমাণসম
তার আরশের ওযনসম
তার সমস্ত বাক্য লেখা কালিসম (মুসলিম)।
উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আদাদা খালকিহি, ওয়া রিদা নাফসিহি, ওয়া যিনাতা আরশিহি, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহি
ইয়া আল্লাহ! কত্তো অল্প সময়ে এ-বাক্যগুলো তিনবার পড়ে ফেলতে পারি! প্রতিদিন প্রভাতী সমীরণের শীতল ছোঁয়ায়?