﷽
মিঠাই সুন্নাত
দোকানে গিয়ে কাটারিভোগ, ছানাবালুশা, সন্দেশ, ক্ষীর, মোহনভোগসহ আরও নাম না জানা অসংখ্য নামজাদা মিষ্টি খাব, পাশাপাশি সওয়াব হতে থাকবে! কল্পনা করা যায়! উমমম!
আম্মাজান আয়েশা রা. বলেছেন:
كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ الحَلْوَاءَ وَالعَسَلَ
নবীজি মিষ্টান্ন দ্রব্য ও মধু প্রছন্দ করতেন (বুখারী-মুসলিম)।
‘মিষ্টি’ শব্দটা শুনলে বা কল্পনা করলেই কেমন যেন আরাম আরাম স্বাদ অনুভূত হতে থাকে। চোখে ভাসতে থাকে শাদা শাদা গোল গোল নাদুস নুদুস এক আদুরে ছবি! মিষটি!
মিষ্টি দেখলে অনেক সময় খাট্টা মেজাযও মিঠঠা হয়ে ওঠে। প্রসন্ন হাসিতে দন্ত বিকশিত হয়ে ওঠে। মিষ্টির রসালো ছোঁয়ায় সৃষ্টি হয়ে ওঠে রসিক।
নানা উপলক্ষ্যে আমরা টসটসে মিষ্টি খাই। একটু খেয়াল করলেই ‘উদরপূর্তি’-এর সাথে সাথে আমলনামাপূর্তিরও ব্যবস্থা করতে পারি। আমরা নিয়ত করে নিতে পারি:
-নবীজি মিষ্টি খেতে ভালবাসতেন। তাই আমিও…..!
ইসলাম ধর্ম সম্পূর্ণতই স্বভাবধর্ম। প্রতিটি বিধানই মানবস্বভাবের সাথে সঙ্গতি রাখে। মিষ্টি খেয়ে সওয়াব লাভের ব্যাপারটা নিয়ে সামান্য চিন্তা করলেই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে ওঠবে।
নবীজি যা পছন্দ করেছেন, তা আমরা পছন্দ না করে পারি! আমরা বেশি বেশি মিষ্টি খাবো। মিষ্টি হাদিয়া দেবো। শুধু নিয়তটা ঠিক করে নিলেই হবে:
আমি সুন্নাত আদায়ের জন্যে খাচ্ছি! দিচ্ছি!