৬০তম পর্ব – একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে – যৌথ-রসনা – শায়খ আতিক উল্লাহ


যৌথ-রসনা

ইসলাম সব সময় ঐক্যের ওপর জোর দেয়। বিভেদ-অনৈক্য পছন্দ করে না। কিভাবে ঐক্য ধরে রাখা যায়, তার মূলসূত্রগুলো বলে দেয়। নবীজি সা.-ও পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে গেছেন। সামাজিক ও পারিবারিক উভয় অঙ্গনে। এজন্য খুব বেশি কিছু যে করতে হয়, এমন কিন্তু নয়। ইসলামের এটাই বড় একটা বৈশিষ্ট্য, অতি সহজ ও সরল একটা কাজ, অথচ ফলাফল অকল্পনীয়। সামান্য মেহনতে, ছোট্ট একটু হরকতেই বিরাট বরকত হাসিল হয়ে যায়।

বর্তমানে আমাদের ঘরে বরকত নেই। রিযিকে বরকত নেই। খাবারে বরকত নেই। রুজিতে বরকত নেই। রোজগারে বরকত নেই। সময়ে বরকত নেই। এ নিয়ে হাহুতাশেরও অন্ত নেই।

নবীজি সহজ একটা সমাধান দিয়ে গেছেন। সাহাবীরা পেয়ারা নবীর কাছে অনুযোগের স্বরে বললেন:
يَا رَسُولَ اللهِ؛ إِنَّا نَأْكُلُ وَلا نَشْبَعُ. قَالَ: “فَلَعَلَّكُمْ تَفْتَرِقُونَ؟” قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: “فَاجْتَمِعُوا عَلَى طَعَامِكُمْ، وَاذْكُرُوا اسْمَ اللهِ عَلَيْهِ يُبَارَكْ لَكُمْ فِيهِ
-আমরা খানা খাই, কিন্তু পেট ভরে না। তৃপ্ত হতে পারি না।
-সম্ভবত তোমরা আলাদা আলাদা খাও?
-জ্বি জ্বি ঠিক তাই!
-একসাথে খেতে বসবে। আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করবে। আল্লাহ বরকত দিবেন (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)।

মাত্র দুইটা কাজ করতে বলেছেন নবীজি। তাতেই বরকত দেখা দিবে:
ক: একসাথে মানে একপ্লেটে খেতে বসা।
খ: শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া।
এখানে বরকত বলে শুধু খাবারের বরকত ও শরীরে তার প্রভাবের কথাই নবীজি বলেননি, পারিবারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেখা দিবে। একসাথে নিয়মিত খেতে বসলে, পরিবারে ভুল বোঝাবুঝি, রেষারেষি হওয়া সম্ভব? সবাই সবার প্রতি সহানুভূতিশীল থাকলে বরকত না এসে পারে?