﷽
বিপদাপদের দু‘আ
একটার পর একটা বিপদ আসতেই থাকবে। এটাই দুনিয়াবী যিন্দেগীর নিয়ম। এক শোক কাটিয়ে না উঠতেই আরেক শোক এসে হাযির হবে। একটা বাধা অতিক্রম না করতেই আরেক বাধা এসে ধর্না দিবে। যাদের সামর্থ্য আছে তারা সহজেই উতরে যায়, তাদের কাছে অনেক বড় বিপদকেও কিছু মনে হয় না। কিন্তু যাদের কোনও চালচুলো নেই, তাদের কাছে একেকটা বিপদ যে কতোটা কষ্ট নিয়ে হাযির হয়, বলে বোঝানো যাবে না। রাব্বে কারীম বলেছেন:
لَقَدْ خَلَقْنَا الإِنْسَانَ فِي كَبَدٍ
নিশ্চয় আমি মানুষকে কষ্ট-পরিশ্রমের মাঝে রেখেই সৃষ্টি করেছি (বালাদ:৪)।
বান্দা দুনিয়াতে থাকতে হলে, নিরন্তর পরিশ্রম করেই যেতে হবে। এটা আল্লাহরই নির্ধারিত বিধান।
–
বিপদাপদ সামনে এলে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। একবার এর কাছে যায়, আরেকবার ওর কাছে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে নবীজি সা. আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন: আল্লাহর অভিমুখী হতে। আল্লাহর দিকে সবকিছু ন্যস্ত করতে। সোপর্দ করতে। রুজু করতে। কারন তার হাতেই তো সব সমাধানের চাবিকাঠি:
قُلِ اللهُ يُنَجِّيكُمْ مِنْهَا وَمِنْ كُلِّ كَرْبٍ
আপনি বলে দিন, আল্লাহই তোমাদেরকে রক্ষা করেন এই মুসীবত থেকে এবং অন্যান্য দুঃখ-কষ্ট হতেও (আনআম: ৬৪)।
বিপদাপদ এলে নবীজি দু‘আটা নিয়মিত পড়তেন:
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ العَلِيمُ الحَلِيمُ،
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ،
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ رَبُّ العَرْشِ الكَرِيمِ
আল্লাহ ছাড়া কোনও উপাস্য নেই। তিনি সর্বজ্ঞ সহনশীল। আল্লাহ ছাড়া কোনও ইলাহ নেই। তিনি মহান আরশের রব। আল্লাহ ছাড়া উপাস্য নেই। তিনি আসমানের রব, যমীনের রব, সম্মানিত আরশের রব (বুখারী)।
উক্ত দু‘আর মাধ্যমে নবীজি সা. আমাদেরকে শিখিয়েছেন, আল্লাহ তা‘আলাই সবকিছুর নিয়ন্তা। রক্ষাকর্তা। তিনিই সবকিছুর অধিকর্তা। তার ইচ্ছা ছাড়া কিছুই ঘটতে পারে না। তাই আমাদের উচিত আল্লাহভিমুখী হওয়া। সবকিছুর জন্যে আল্লাহর দিকেই ফিরে যাওয়া!
বিপদাপদের পরীক্ষা তার পক্ষ থেকেই আসে, সমাধানও তার পক্ষ থেকেই আসবে। অন্য কোথাও থেকে আসবে না। এই বিশ্বাসটুকু মনে দৃঢ়ভাবে গেঁথে নিতে পারলে, অস্থিরতা অনেকাংশেই কেটে যাবে!
লা ইলাহ ইল্লাল্লাহুল আলীমুল হালীম।
লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আযীম।
লা ইলাহ ইল্লাল্লাহু রাব্বুস-সামা-ওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি, রাব্বুল আরশিল কারীম।