নবীজি সা. বিশেষ দু‘আ পড়ার মাধ্যমে তাহাজ্জুদ শুরু করতেন। তাহাজ্জুদ শেষেও নবীজি বিশেষ দু‘আ পড়তেন। আমলটা আবিষ্কার করেছেন ইবনে আব্বাস রা.। উম্মুল মুমিনীন মায়মুনা রা. ছিলেন ইবনে আব্বাসের খালা। ইবনে আব্বাস একদিন খালার বাড়িতে বেড়াতে এলেন। সৌভাগ্যক্রমে সে রাতে নবীজির থাকার পালাও ছিল মায়মুনা রা.-এর ঘরে। রাতে নবীজি সা. ঘুম থেকে জাগলেন। ওজু করে তাহাজ্জুদ আদায় করলেন। তারপর দু‘আটা পড়লেন,
اللَّهُمَّ اجْعَلْ فِي قَلْبِي نُورًا، وَفِي بَصَرِي نُورًا، وَفِي سَمْعِي نُورًا، وَعَنْ يَمِينِي نُورًا، وَعَنْ يَسَارِي نُورًا، وَفَوْقِي نُورًا، وَتَحْتِي نُورًا، وَأَمَامِي نُورًا، وَخَلْفِي نُورًا، وَاجْعَلْ لِي نُورًا
আল্লাহুম্মা! আমার কলবে নূর দান করুন। আমার দৃষ্টিতে নূর দান করুন। আমার শ্রবনশক্তিতে নূর দান করুন। আমার ডানে নূর দান করুন। আমার বামে নূর দান করুন। আমার উপরে নূর দান করুন। আমার নিচে নূর দান করুন। আমার সামনে নূর দান করুন। আমার পেছনে নূর দান করুন। আমার জন্যে নূর দান করুন (বুখারি ৬৩১৬)।
এই দু‘আ শুধু তাহাজ্জুদ শেষেই নয়, অন্য সময়ও পড়ার কথা বর্ণিত আছে।
১: তাহাজ্জুদ শেষে। তাহাজ্জুদের সিজদায়।
২: ফজরের জন্যে মসজিদে যেতে যেতে।
৩: গভীর রাতে, রাতের আঁধারে আল্লাহর কাছে নূর কামনা করার অন্যরকম তাৎপর্য আছে। দুনিয়াতে যেমন আমি আল্লাহর কাছে আঁধার রাতে নূর তলব করছি, কেয়ামতের দিনও আল্লাহ আমাকে নূর দান করবেন। দু‘আটা রাতের গহীন আঁধারে পড়লেই বেশি মানানসই লাগে। আঁধারে থেকে আমি আল্লাহর কাছে আলো-নূর তলব করছি।
৪: আরেক হাদীসে আছে,
بشِّرِ المشَّائينَ في الظُّلمِ إلى المساجدِ بالنُّورِ التَّامِّ يومَ القيامةِ
রাতের আঁধারে মসজিদে গমনকারীকে, কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূর লাভের সুসংবাদ দাও (বুরাইদাহ আসলামী রা। তিরমিযী ২২৩)।
৫: রাতের আঁধারে ইবাদত করলে, কেয়ামতের দিন নূর লাভ হবে। দু‘আটাও যদি আমরা আঁধারে পড়ি, নূরের আশা করতে পারি।