আল মতি বিল্লাহ আবুল কাসেম আল ফজল বিন মুকতাদর বিন মুতাযদ ৩০ হিজরিতে মাশগালা নামক বাঁদির গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।
৩৩৪ হিজরিতে তিনি মসনদে আরোহন করেন। মাযাদ্দৌলা দৈনিক ভাতা হিসেবে একশো দিনার খলিফার জন্য নির্ধারণ করে দেয়।
এ বছর বাগদাদে দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। লোকেরা মৃত প্রাণী আর পশুর বিষ্ঠা খেয়ে জীবন রক্ষার চেষ্টা চালায়। ক্ষুধার জালায় অনেকেই পথের ধারে মরে পড়ে থাকতো। জঠরজ্বালা নিবারনের জন্য অনেকেই কুকুরের গোশত খেতো, রুটি, বাগান আর জমি বিক্রি হতো। মাযাদ্দৌলার জন্য এক বস্তা আঁটা কেনা হয়। আর দামেশকে এক বস্তার বাজার দর ১৯ দিনার। এ বছর মাযাদ্দৌলা আর নাসিরুদ্দৌলার মধ্যে লড়াই হয়। মতি মাযাদ্দৌলার সাথে রনাঙ্গনে যান। ফেরার পথে মতি বন্দীদের সাথে ছিলেন।
এ বছর মিসরের আমীর আখশীদ মৃত্যুবরণ করে। তার আসল নাম মুহাম্মদ বিন তফহ ফারগানী। আখশীদের অর্থ শাহানশাহ (টীকাঃ শাহানশাহ নাম রাখা বা উপাধি দেওয়া হারাম)। ফারগানের সকল বাদশাহকে এ লকবে ভূষিত করা হতো। যেমন তরিস্তানের বাদশাহদের ইস্পাহান্দ, জুরজানের সূল, তুর্কীদের খাকান, আশরুসানের আফসীন আর সমরকন্দ বাদশাহদের লকব সামান। আখশীদ খুবই সাহসী লোক ছিলেন, কাহিরের যুগে তিনি মিসরের শাসনকর্তা নিয়োগ হোন। তার আট হাজার গোলাম ছিল।
এ বছর পশ্চিমাঞ্চলীয় শাসনকর্তা কায়েম উবায়দী মারা যায়, তার স্থানে তার উত্তরাধিকারপ্রাপ্ত পুত্র মানসুর বিল্লাহ নিযুক্ত হয়। সে তার পিতা থেকেও বেশী অভিশপ্ত ছিল। সে নবীদের শানে গালি দিতো! সে আলিমদের হত্যা করে।
৩৩৫ হিজরিতে মাযাদ্দৌলা মতির কাছ থেকে প্রতিজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাকে দারুল খুলাফায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। এ বছর মাযাদ্দৌলা আব্বাসীয় খিলাফতের দরবারে অনুরধ জানায় যে, তার ভাই ইমাদুদ্দৌলাকে তার সহযোগী হিসেবে তাকে দেওয়া হোক, আর তার মৃত্যুর পর যেন তার ভাইকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। মতি তার আবেদন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ইমাদুদ্দৌলা এ বছরেই মারা যাওয়ায় মতি তার আরেক ভাই রুকনদ্দৌলঙ্কে তার সহকারী বানিয়ে দেন।
৩৩৯ হিজরিতে হজরে আসওয়াদ স্ব স্থানে স্থাপন করা হয় আর এর চারপাশে সাত হাজার সাতশো সাড়ে সত্তর দিরহাম ওজন সমপরিমাণ রৌপ্য দিয়ে বাঁধাই করা হয়।
মুহাম্মাদ বিন নাফে খাযায়ী বলেছেন, হজরে আসওয়াদ স্থাপনের পূর্বে আমি খুব ভালো করে দেখেছি যে, এর উপরটি কালো আর বাকি অংশ সাদা, এটি লম্বায় এক হাত।
৩৪১ হিজরিতে একটি কওমের আবির্ভাব ঘটে, যারা মৃত্যুর পর পুনর্জন্মে বিশ্বাসী ছিল। তাদের মধ্যে একজন এ দাবী করেছিলো যে, আমার মধ্যে আলি (রাঃ) এর রূহ দেওয়া হয়েছে। তার স্ত্রী দাবী করতো, তার মধ্যে ফাতিমা (রাঃ) এর রূহ দেওয়া হয়েছে। জিবরাঈল (আঃ) এর রুহের দাবী করতো আরেকজন। জনতার হাতে তারা প্রহৃত হয়।
এ বছর পশ্চিমাঞ্চলীয় শাসনকর্তা মানসুর উবায়দী তার প্রবর্তিত মানুরীয়া শহরে ইন্তেকাল করেন। তার উত্তরাধিকারপ্রাপ্ত ছেলে সাদ ‘মযদ্দীন’ লকব ধারণ করে তখতে নসিন হয়ে কাহেরা শহরেরে গোরাপত্তন করেন। মানসুর নেককার লোক ছিলেন। তার পিতার সময় যারা অত্যাচারিত হয়েছিলো, তিনি তাদের খুঁজে বের করেন। লোকেরা তাকে বন্ধুভাবাপন্ন মনে করতো। তার ছেলে সাদও নেককার ছিলেন। তার সময় গোটা পশ্চিমাঞ্চল তার অধীনে চলে আসে।
৩৪৩ হিজরিতে খুরাসানের শাসনকর্তা মতির নামে খুৎবা পাঠ করেন। এ খবর পেয়ে মতি তাকে খিলআত প্রদান করেন।
৩৪৪ হিজরিতে মিসরের ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়, এতে অনেক ভবন বিধ্বস্ত হয়। এর স্থায়িত্ব ছিল তিন ঘণ্টা। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য লোকেরা খুবই বিনয়ের সাথে প্রার্থনা করে।
৩৪৬ হিজরিতে সমুদ্রের পানি আশি হাত উঁচু হয়ে যায়। ফলে পর্বতগুলো দ্বীপে পরিণত হয়। রায় আর এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোতে ভূমিকম্প হয়। ফলে তালকান শহর সমূলে বিধ্বস্ত হয়। এতে ত্রিশজন লোক ছাড়া শহরের সকলে নিহত হয়। রায় এর উপকণ্ঠে দেড় শত গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। হালওয়ানের অধিকাংশ ধ্বসে পড়ে। মৃত মানুষের হাড়ে সয়লাব হয়ে যায় নগর জনপদ। মাটি ফেটে ঝর্ণাধারার সৃষ্টি হয়। রায় এর একটি পাহাড় ভেঙে খানখান হয়ে যায়। জায়গায় জায়গায় জমিন ফেটে চৌচির হয়ে যায় আর গর্তের সৃষ্টি হয়। এসব ফাটল আর গহ্বর থেকে পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি বের হয়। আবার কোনগুলো থেকে শুধু ধোঁয়া নির্গত হতে থাকে। এটি ইবনে জাওজি কতৃক বর্ণিত।
৩৪৭ হিজরিতে আবার ভুমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আর প্রাণহানির ফলে পৃথিবীতে রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
৩৫০ হিজরিতে মাযাদ্দৌলা বাগদাদে এক সুবিশাল প্রাসান নির্মাণ করেন। এর ভীত ছিল ছত্রিশ হাত নিচে প্রোথিত। গভীর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে এ বছর আবুল আব্বাস আবদুল্লাহ বিন হাসান বিন শাওয়ারিব বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ বছর রোমানরা আফরিতশ দ্বীপটি দখল করে নেয়, যা ২৩০ হিজরী থেকে মুসলমানরা শাসন করতো। এ বছর স্পেনের শাসনকর্তা নাসিরুদ্দীনিল্লাহ ইন্তেকাল করেন। তার স্থানে তার ছেলে তখতে আরোহণ করেন।
৩৫১ হিজরিতে শিয়ারা মসজিদের দরজায় দরজায় এ কথাগুলো লিখেছিলো – মুয়াবিয়া’র উপর অভিশাপ, যারা ফাতিমার হক ফিদকের বাগান আত্মসাৎ করেছে তাদের প্রতি অভিশাপ, যারা ইমাম হাসানকে রাসুলুল্লাহ’র (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) পাশে দাফন হতে দেয়নি তাদের উপরও অভিশাপ, যারা আবু যরকে বহিস্কার করেছে তাদের প্রতিও অভিশাপ। (نعوذ با لله من هذ الكفر)
রাতে কোন এক ব্যক্তি এ লেখাগুলো মিশে দেয়। সকালে মাযাদ্দৌলা আবার এগুলো লিখতে চাইলে উযীর মাহলাবী বললো, কথাগুলো এমন হওয়া উচিত যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পরিবারের উপর অত্যাচারকারীদের প্রতি আল্লাহ’র অভিশাপ বর্ষিত হোক, আর মুয়াবিয়া’র উপর স্পষ্টভাবে অভিশাপ বর্ষণের কথা লিখতে বললো, বস্তুত সেটাই লিখা হলো।
৩৫২ হিজরিতে মাযাদ্দৌলা আশুরার দিন দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। বাবুর্চিদের রান্নাবান্না করতে নিষেধ করে। মেয়েরা মাথার চুল খুলে নিজের মুখে আঘাত করে ‘হায় হোসেন’ বলে মাতম করে। বাগদাদে এটাই প্রথম দিন, যেদিন সর্বপ্রথম সেখানে বিদআত হয়। কিছু দিন তা চালু ছিল। সংবাদ পেয়ে খলীফা মতি জানাযায় অংশগ্রহণ করতে মাযাদ্দৌলার বাসভবনে হাওজায় আরোহণ করে আসে। এ কথা জেনে মাযাদ্দৌলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে মাটিতে তিনবার চুমু দিয়ে খলিফাকে কষ্ট করে এসে জানাজায় শরীক হতে বারণ করেন। ফলে খলীফা প্রাসাদে ফিরে যান। এ বছর ১২ যিলহজ তারিখে জাকজমকভাবে বাঁশি বাজিয়ে ঈদ করা হয়।
৩৫৩ হিজরিতে সাইফুদ্দৌলার জন্য ২৪/২৫ হাত উঁচু তাঁবু নির্মাণ করা হয়।
৩৫৪ হিজরিতে মাযাদ্দৌলার বোন ইন্তেকাল করেন। এ বছর রোমান সম্রাট ইয়াকুব মুসলমানদের শহরের পাশে কায়সারীয়া শহর আবাদ করেন।
৩৫৬ হিজরিতে মাযাদ্দৌলার অন্তর্ধানে তার ছেলে বখতিয়ারকে ‘আযযাদ্দৌলা’ উপাধি দিয়ে তদস্থলে নিয়োগ করা হয়।
৩৫৭ হিজরিতে কারমতী দামেশক দখল করে। সিরিয়া ও মিসরের লোকদের হাজ্জ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবার মিসর আক্রমণের পরিকল্পনা করলে বনূ উবায়েদ সম্প্রদায় তাদের প্রতিহত করার আগেই তারা মিসর দখল করে। এদিকে শিয়ারা আকলীম, মিশর আর ইরাকে নিজেদের প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠা করে। তারা খুৎবা থেকে বনু আব্বাসের নাম বাদ দেয়, কালো কাপড় পড়তে মানা করে, খতীবদের সাদা কাপড় পড়তে আদেশ করে আর এ শব্দগুলো দিয়ে খুৎবা পাঠ করে –
اللهم صلى على محمد المصطفي وعلي على المرتضي وعلي فا طمة البتول وعلي الحسن وعلي الحسين سط الر سول وصل علي ا لائمة اباء امير المئو منين المعز با لله
৩৫৯ হিজরিতে মিসরে আযানের মধ্যে حي علي خير العمل – এ শব্দটি বৃদ্ধি করা হয়। এ বছর জামে আযহারের ভিত্তি দেওয়া হয়, আর সেটা ২৬১ হিজরির রমযান মাসে শেষ হয়। এ বছর ইরাকে একটি তারকা বিকট আওয়াজে পতিত হয় আর পৃথিবীময় সূর্যের ন্যায় আলো ছড়িয়ে পড়ে।
৩৬২ হিজরিতে ইখতিয়ার খলীফার উপর কর আরোপ করে। এ কথা শুনে খলিফা মতি, ইখতিয়ারকে বললেন, “তুমি যদি এটাই চাও যে তাহলে আমি স্বেচ্ছায় নিজের ঘরে আবদ্ধ হয়ে থাকবো আর সর্বস্ব বর্জন করবো।” এরপরেও মতি খলীফার প্রতি চাপ অব্যাহত রাখে। ফলে খলীফা নিজ ঘরের আসবাবপত্র বেঁচে চার লাখ দিরহাম মতির হাতে তুলে দেন। এ কথা জনতার মুখে ছড়িয়ে পড়ে। তারা বলতে থাকে, খলীফাকেও কর দিতে হচ্ছে। এ বছর ইখতিয়ারের গোলাম নিহত হওয়ায় তার উযীর আবুল ফজল শিরাযী এর বদলাস্বরূপ বাগদাদের এক দিকে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অনেক ঘরবাড়ি, সম্পদরাজি আর বনি আদম পুড়ে ভস্ম হয়ে যায়, এই অভিশপ্ত উজিরও আগুনে পুড়ে মারা যায়। এতো ভয়াবহ অগ্নিকান্ড বাগদাদে আর কখনোই হয় নি।
৩৬৩ হিজরিতে মতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ বিন শায়বান হাশিমিকে কাযীউল কুযযাতের দায়িত্ব দিতে চাইলে তিনি তা গ্রহনে অসম্মতি জানান। মতি শর্তাবলীর দীর্ঘ ফিরিস্তি প্রস্তুত করেন। এ পদের কোন পারিশ্রমিক তিনি নিবেন না। কোন প্রকার খিলাফত গ্রহণ করবেন না। শরীয়ত বিরোধী সুপারিশও তার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তার কেরানীর জন্য মাসিক তিনশো দিনার, পুলিশের জন্য দেড়শো দিনার, আহকাম জারিকারির একশো দিরহাম, কোষাগার ও দফতরীর জন্য সাতশো দিরহাম বেতন দেওয়া হয়। তিনি যে ফরমান জারি করেন সেটা এমন –
আমিরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ আল ফজল আল মতিবিল্লাহ’র পক্ষ থেকে মুহাম্মাদ স্বপদে থাকাকালীন আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের সকল শহর, নগর ও জনপদের বিচারব্যবস্থা দেখাশোনা করতেন। তিনি বিচারক ও বিচারপতিদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করতেন। তিনি বিভিন্ন প্রদেশে বিচারক নিয়োগ দিতেন। শরীয়তসম্মতভাবে যেন বিচারকার্য পরিচালিত হয় সেদিকে গভীর দৃষ্টি রাখতেন। নেক নিয়্যত, আমানতদার, পরহেযগার, শরীয়তের পাবন্দ, মুত্তাকী, আলেম, জ্ঞানবান, নরম কাপড় যে পরিধান করে না। সাদা কাপড় পড়ে, স্বচ্ছ লেনদেন, আল্লাহকে ভয়কারী, কুরআনসম্মত ফয়সালা দানকারী, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নতের পথপ্রদর্শক, ইজমায়ে উম্মত মীমাংসাকারী, আইম্মায়ে রাশেদিনের অনুসারী, ইনসাফ আর ন্যায়বিচারকারী। গরীবেরা তার অত্যাচারকে ভয় পাবে না – তিনি এমন লোকদের নিয়োগ দিতেন।
৩৬৩ হিজরিতে অর্ধাঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয়ে মতির কথায় জড়তার সৃষ্টি হয়। ইখতিয়ার তার প্রহরী সবক্তগীন মারফত বলে পাঠায় যে, তিনি যেন খিলাফতের দায়িত্ব তার ছেলে আল তয়েলিল্লাহ’র উপর অর্পণ করেন, তিনি সেটাই করেন। ৩৬৩ হিজরির যিলকাদা মাসের ২৩ তারিখে বুধবারে মতি তার পুত্র তয়ে’র উপর খিলাফত অর্পণ করেন।
মতি ২৯ বছর বয়সে কয়েক মাস রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, এরপর প্রধান বিচারপতি শায়খুল ফাযেল লকব দিয়ে মতিকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
যাহাবি বলেছেন, মতি আর তার ছেলে বনু যুয়ার হাতে খেলার তাসে পরিণত হয়েছিলো। মুকতাফী লিল্লাহ পর্যন্ত এ অবস্থাই ছিল। তারপর এ অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়।
মতি তার ছেলে নিয়ে ওসেত যায়। সেখানে ৩৬৪ হিজরির মুহাররম মাসে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ইবনে শাহিন বলেছেন, “আমি খুব ভালো করে তাহকিক করেছি যে, মতি স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছেন।”
খতীব বলেছেন, “ইমাম আহমদ বিন হাম্বল বলতেন – জনতার বন্ধুর অন্তর্ধান হলে তখন তার অভাব অনুভূত হতো।”
মতির যুগে সেসকল ওলামায়ে কেরাম ইন্তেকাল করেন তারা হলেন – খারকী শায়খে হাম্বলী, আবু বকর শিবলী, ইবনে কাযী, আবু রাযা, আবু বকর সূলী, হাসিম বিন কালীব, আবু লতীব, আবু জাফর, আবু নসর ফারাবী, আবু ইসহাক মরুযী, আবুল কাসেম, দিনুরী, আবু বকর যবয়ী, আবুল কাসেম তুনুখী, ইবনে হুদা, আবু আলি বিন আবু হুরায়রা, আবু উমর, মাসউদী, ইবনে দরসতুয়া, আবু আলী তাবারী, ফাকেহী, কবি মুতানাব্বী, ইবনে হিব্বান, ইবনে শাবান, আবু আলী আল কানী, আবুল ফরাহ প্রমুখ।