৪৮৯ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসের বারো তারিখে আল মুকতাফী লি আমরিল্লাহ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আল মুসতাযহার বিল্লাহ এক হাবশি বাঁদির গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।
রাশেদকে অপসারণের পর চল্লিশ বছর বয়সে তিনি খিলাফতের তখতে বসেন।
আল মুকতাফী লি আমরিল্লাহ উপাধি ধারণ করার কারন হলো, তিনি খলীফা হওয়ার ছয় দিন আগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বপ্নে দেখেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেছেন, অচিরেই তুমি খিলাফত পাবে, তুমি আল মুকতাফী লি আমরিল্লাহ লকব ধারণ করবে। ফলে তিনি সেটাই করেন।
মুকতাফী তখতে আরোহণ অন্তে ইনসাফ ও সুবিচারের মাধ্যমে গোটা বাগদাদ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেললে সুলতান মাসউদ দারুল খুলাফার সকল আসবাবপত্র যেমন চতুষ্পদ প্রাণী, গৃহের সহজ সরঞ্জাম স্বর্ণ, রৌপ্য, পর্দা ইত্যাদি নিয়ে নেয়। খিলাফতের আস্তাবলে চারটি ঘোড়া আর আটটি গাধা ছাড়া আর কিছুই সে রেখে যায়নি। কথিত আছে, বাইয়াতের সময় মুকতাফীর সাথে মাসউদের এমন শর্তই ছিল।
এরপর ৫৩১ হিজরিতে সুলতান মাসউদ কয়েকটি বাগান ছাড়া খিলাফতের সাথে সম্পৃক্ত সকল জিনিসপত্র নিজের অধীনে নেয়, এরপরও সে খলীফার কাছ থেকে এক লাখ দিনার নিয়ে আসার জন্য নিজের উযিরকে পাঠায়। মুকতাফী বললেন, বড়ই বিস্ময়ের বিষয় যে, তোমরা জানো মুসতারশিদ নিজের সকল সম্পদ নিয়ে মাসউদের কাছে চলে গিয়েছিলেন। এতে যে অবস্থা হয় তা দুনিয়াবাসী জানে। এরপর রাশেদ খলীফা হয়ে যা করেছেন তা দিবালোকের মতো উজ্জ্বল। এরপরেও যা ছিল ঘরের জিনিসপত্রসহ মাসউদ নিজেই সেগুলো নিয়ে গেছে। মাসউদ উক্ত দুই খলীফার ধনাগারও লুণ্ঠন করেছে। এখন আমি তোমাকে কোথা থেকে সম্পদ এনে দিবো ? বর্তমানে শুধু এতটুকুই বাকি আছে যে, নিজের ঘরবাড়ি তোমাদের ছেড়ে দিয়ে আমি অন্য কোথাও চলে যাবো। আমি আল্লাহ’র সাথে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, আমি মুসলমানদের উপর অত্যাচার করে একটি দানাও আদায় করবো না।
এ কথা শুনে মাসউদ নিজের অভিপ্রায় প্রত্যাহার করে। কিন্তু সে সম্পদ আরোহণের জন্য লোকদের উপর কঠোরতা আরোপ করতে থাকে। ব্যবসায়ীদের উপর ট্যাক্সের বড় বড় বোঝা চাপিয়ে দেয়।
এ বছর রমযান মাসের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আহলে বাগদাদ রোযা রাখে, সন্ধ্যায় ৩০ তারিখেও চাঁদ দেখা গেলো না, যা এর আগে হয় নি।
৫৩৩ হিজরিতে বিহতারাহ শহরে এক লাখ আশি হাজার ফুট পর্যন্ত ভয়ংকর ভূমিকম্পে অনেক মানুষ হতাহত হয়। শহরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর এর মাটি ফেটে কালো পানি বেরিয়ে আসতে থাকে। এ বছর শহরগুলো খলীফার নিয়ন্ত্রণে আসে। মাসউদ দুর্বল, অসহায় আর নিঃস্ব হয়ে পড়ে। সুলতান সিনজরেরও একই অবস্থা হয়। আল্লাহ তাদের দুজনকে অপমানের মাধ্যমে মুকতাফীকে সম্মানিত করেন আর তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। খিলাফতের সীমানার মধ্যে খলীফার প্রতাপ বৃদ্ধি পায় আর বনু আব্বাসের রাজত্বের সংশোধনের সূত্রপাত হয়। (الحمد الله على ذلك )
৫৪১ হিজরিতে মাসউদ বাগদাদে এসে মুদ্রা প্রস্তুতকারী কারখানার ভিত্তি দেয়। এ কারখানায় মুদ্রা তৈরির কারিগরদের খলীফা বন্দী করেন। মাসউদ খলীফার প্রহরীকে গ্রেফতার করায় খলীফা রেগে যান। তিনদিন পর্যন্ত মসজিদগুলোর দরজা বন্ধ ছিল। অবশেষে বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বছর ইবনে উবাবী ওয়াজের মজলিসে বসে আসেন। সুলতান মাসউদ সেই মাহফিলে হাযির ছিল। ইবনে উবাবী সুলতান কর্তৃক জনগণের উপর অত্যাচারের বিবরণদানে মাসউদকে বললেন, “শুল্ক আদায়কারী অত্যাচার ও উৎপীড়নের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করে, আর আপনি সেই আদায়কৃত কর একই রাতে গায়কদের দিয়ে দেন; অথচ আপনার তো আল্লাহ’র দরবারে শুকরিয়া করা উচিত।” মাসউদ এ নসিহত গ্রহণ করে শহরময় এলান করে জানিয়ে দেয় যে, আর কেউ করারোপ করবে না। এ ঘোষণাটি কাঠের ফলকে লিখে তা অত্যন্ত শান শওকতের সাথে গোটা শহর প্রদক্ষিণ করানোর পর এক জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয়। এ ফলকটি আন নাসর লি দ্বীনিল্লাহ’র যুগ পর্যন্ত প্রোথিতই ছিল। কিন্তু তিনি এই বলে তা তুলে ফেলেন – অনারবদের রীতি আমার প্রয়োজন নেই।
৫৪৩ হিজরিতে ফিরিঙ্গীরা দামেশক অবরোধ করলে হলবের শাসনকর্তা নুরুদ্দিন মাহমুদ বিন জঙ্গি আর তার ভাই তাদের মোকাবিলা করেন। আলহামদুলিল্লাহ্, মুসলমানগণ বিজয় অর্জন করেন। নুরুদ্দিন জঙ্গি ফিরিঙ্গীদের সাথে লড়াই করতেই থাকেন। অবশেষে তিনি সকল শহর, নগর, জনপদ উদ্ধার করেন – যা মুসলমানদের হাত থেকে ফিরিঙ্গীরা ছিনিয়ে নিয়েছিলো।
৫৪৪ হিজরিতে মিসরের শাসনকর্তা আল হাফিয আদ্দীনিল্লাহ মারা যায়। তার স্থানে তার পুত্র আয-যাহের ইসমাইল উপবেশন করে। এ বছর বাগদাদে ভুমিকম্প আর দশবার বন্যা হয়। সে সময় হিলওয়ানের একটি পাহাড় ভেঙে পড়ে।
৫৪৫ হিজরিতে ইয়েমেনে রক্তের বৃষ্টি হয়। কয়েক দিন পর্যন্ত যমীন লাল হয়ে ছিল। লোকদের কাপড় লাল হয়ে যায়।
৫৪৭ হিজরিতে সুলতান মাসউদ মারা যায়।
মুকতাফীর উযির ইবনে হুবায়রাহ বলেছেন, মাসউদ জনসাধারণ আর মুকতাফীর প্রতি জবরদস্তি ও বলপ্রয়োগ করলে প্রকাশ্যে এর মোকাবিলা করার মতো শক্তি আমাদের ছিল না। ফলে আমি আর মুকতাফীর মধ্যে পরামর্শ হয় যে, একমাস অবিরাম আমরা মাসউদের জন্য বদদুয়া করবো। যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রিআল আর যাকওয়ান (দুটি আরব কবিলার নাম – অনুবাদক) এর জন্য একমাস বদদুয়া করেছিলেন। আমরা জমাদিউল আউওাল মাসের ২৯ তারিখ রাতে তাহাজ্জুদ নামাযের মাধ্যমে খুবই গোপনীয়তার সাথে বদদুয়া করতে শুরু করলাম। একমাস পূর্ণ হলে মাসউদ মারা যায়।
মাসউদের পরলোক গমনের পর সেনাবাহিনী মূলক শাহ’র বিষয়ে একমত হয়। ফলে মূলক শাহ সুলতান মনোনীত হয়। কিন্তু খাস বেগ তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে বন্দী করে। এরপর খাস বেগ তার ভাই মুহাম্মাদকে খুযস্তান থেকে ডেকে এনে তার উপর সালতানাত সোপর্দ করে। সে দিন থেকে মুকতাফী মুক্ত স্বাধীন খলীফা হিসেবে পরিণত হোন। সাম্রাজ্যের সর্বত্রই খলীফার আহকাম জারি হয়। সুলতান কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মাদরাসা নিযামিয়া থেকে অপসারণ করেন। এমন সময় ওয়াসেতার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গোলযোগের সংবাদ পেয়ে খলীফা নিজেই সসৈন্যে তাদের দমন করে হিল্লা আর কুফা পদাবনত করে বাগদাদে ফিরে আসেন। সেদিন বাগদাদ নগরী অপরূপ সাজে সুসজ্জিত হয়েছিলো।
৫৪৮ হিজরিতে তুর্কীরা সিনজরের উপর হামলা চালিয়ে তাকে বন্দী করে। তারা তাকে অপমান করে আর তার রাজত্বের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। তবে রাজত্ব ছাড়া নবাবের মতো তখনো তার নাম খুৎবায় পড়া হতো। অবশেষে সে অনুতপ্ত হলে নামেমাত্র সুলতান উপাধি দিয়ে ঘোড়া চালকের সমান তার জন্য ভাতা নির্ধারণ করা হয়।
৫৪৯ হিজরিতে আয যাহের বিল্লাহ উবায়দী নিহত হওয়ায় তার ছেলে আল ফায়েয ঈসা তার স্থানে সমাসীন হয়। ঈসার বয়স অল্প হওয়ায় রাষ্ট্রীয় কাজে সে অনেক ভুলত্রুটি করে ফেলে। সুযোগ দেখে মুকতাফী নুরুদ্দিন জঙ্গিকে মিসর অধিকার করার জন্য লিখিতভাবে জানান। নুরুদ্দিন জঙ্গি সে সময় ফিরিঙ্গীদের সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি এ যুদ্ধ ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া সঙ্গত মনে করলেন না। কারন দামেশকে অনেক শহর আর দুর্গ তিনি জয় করেছিলেন, এতে সাম্রাজ্যের সীমানা বৃদ্ধি পেয়েছিল। এরপরও রোমান শহরগুলো তিনি দখল করেছিলেন। তার বীরত্বের কাহিনী দূর প্রাচ্যের অন্তরেও গেঁথে গিয়েছিলো। অবশেষে বাধ্য হয়ে মুকতাফীর নির্দেশ অনুযায়ী তিনি মিসরে যান। খলীফা তাকে মুলকুল আদেল উপাধিতে ভূষিত করেন। এ সময় মুকতাফীর শান শওকত বেড়ে যায়। বিরোধীরা তার প্রভাবে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তিনি জিহাদের মাধ্যমে শত্রুদের প্রতিহত করেন আর তার সাম্রাজ্যের সীমানা বাড়তেই থাকে। তিনি ৫৫৫ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসের ৬ তারিখে রবিবার রাতে ইন্তেকাল করেন।
যাহাবি বলেছেন, মুকতাফী খলীফাদের মুকুট, আলেম, সাহিত্যিক, ধৈর্যশীল, বাহাদুর, চরিত্রবান, বিশ্বস্ত আর খেলাফত পরিচালনায় দক্ষ ও বিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আইম্মাদের মধ্যে তার দৃষ্টান্ত বিরল। তার খিলাফতকালে সততা, সুবিচার আর আমানত খেয়ানতের কোন দৃষ্টান্ত নেই।
মুকতাফী তার উস্তাদ আবুল বারাকাত বিন আবুল ফরজ বিন আসসিন্নীর কাছে হাদিস শুনেছেন। ইবনে সুমআনী বলেছেন, আর কিছু (হাদিস) তিনি তার ভাই মুসতারশিদের সাথে আবুল কাসিম বিন বয়ানের থেকেও শুনেছেন। আর তার কাছ থেকে ইমাম আবু মানসুর আল জাওয়ালিকা লাগবী আর তার উযির ইবনে হুবায়রাহ হাদিস রেওয়ায়েত করেছেন।
মুকতাফী কাবা শরীফের একটি নতুন দরজা নির্মাণ করেন। নিজের দাফনের জন্য আকিক পাথরের শববাহী খাট তৈরি করেন। তিনি নেক স্বভাব, সাম্রাজ্যের গর্ব, দ্বীনদার, বুদ্ধিমান, বিজ্ঞ অভিমত পোষণকারী আর রাজনীতিবিদ খলীফা ছিলেন। তিনি খিলাফতকে পুনর্জীবন দান করেন। খিলাফতের রীতিনীতি পুনরায় জারি করেন। রাষ্ট্রীয় কাজ তিনি নিজেই সম্পাদন করতেন, রণাঙ্গনে সশরীরে উপস্থিত হতেন। তার খিলাফতকালে আল্লাহ প্রচুর বরকত দান করেছিলেন।
আবু তালিব আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মাদ বিন আব্দুস সমী হাশেমী স্বরচিত ‘মানাকিবুল আব্বাসিয়া’ নামক গ্রন্থে লিখেছেনঃ ইনসাফ আর নেক কাজের কারণে মুকতাফির যুগ ছিল সবুজ-শ্যামল। তিনি খলীফা হওয়ার পূর্বে অধিকাংশ সময় ইবাদতে নিমগ্ন ছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি দ্বীনের কাজ, কুরআন তিলাওয়াত আর ইলম অর্জনে ব্যস্ত ছিলেন। খলীফা মুতাসিমের পর এমন নরম দিল, চরিত্রবান, বীর, সাহসী ও নির্ভীক কোন খলীফা অতবাহিত হননি মুসতাকফী ছাড়া। তার বীরত্ব, সাহসিকতা আর নির্ভীকতার মধ্যে ইবাদত আর পরহেযগারের সংমিশ্রণ ছিল। তার সৈনিকেরা যেখানে যেতো, সেখানেই সর্বদা বিজয় ছিনিয়ে আনতো। তিনি কোথাও পরাজিত হতেন না।
ইবনে জাওযী বলেছেন, মুকতাফীর খিলাফতকালে বাগদাদ ও ইরাক আবার খলীফার হাতে আসে। সে সময় কোন লোক ঝগড়া করতো না। মুকতাযদের যুগ থেকে মুকতাফীর খিলাফতের সূচনালগ্ন পর্যন্ত বাগদাদ ও ইরাক নামমাত্র খলীফার অধীনে ছিল, নায়েবে সালতানাতই প্রকৃতপক্ষে বাদশাহ হয়ে জেঁকে বসেছিলো। মুকতাফীর নায়েব হলেন খুরাসানের শাসনকর্তা সিনজর আর শামের শাসনকর্তা নুরুদ্দিন জঙ্গি। মুকতাফী খুবই দানশীল, দয়ার্দ্র, হাদিসের উপর আমলকারী, তিনি নিজে আলিম আর আলিমদের মর্যাদা দানকারী।
একদিন মুকতাফী ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আবু মনসুরকে আহবান জানালেন। তিনি এসে ভাবে সালাম দিলেন – السلام على امير المؤمنين ورحمة الله
সে সময় তবীব ইবনে তিলমিয নাসরানী দরবারে উপস্থিত ছিলেন। তিনি আবু মানসুরকে জিজ্ঞাসা করলেন, “শায়খ, এটাই কি সালামের রীতি ?” ইমাম আবু মানসুর খলীফাকে বললেন, “আমিরুল মুমিনীন, এ সালাম নবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুন্নত।” এরপর তিনি এর সমর্থনে একটি হাদিস পাঠ করে শুনালেন। এরপর বললেন, “কোন ইহুদী আর খ্রিস্টান ইলম অর্জন করতে পারবে না, যদি কেউ এ কথার উপর কসম করার পর তা ভেঙে দেয়, তাহলে সে কসমের কাফফারা দিতে হবে না। কারন তাদের ভিতর কোন ঈমান নেই। আল্লাহ তাদের অন্তরে সিল এঁটে দিয়েছেন।” মুকতাফী বললেন, “আপনি সত্যিই বলেছেন। ইবনে তিলমিয যদিও জ্ঞানী আর সুসাহিত্যিক, তবুও (খ্রিস্টান হওয়ার কারণে – অনুবাদক) তার মুখে পাথরের লাগাম লাগান।”
তার শাসনামলে যেসব ওলামা ইন্তেকাল করেছেন তারা হলেন – ইবনুল আবরাশ নাহুবী, ইউসুফ বিন মুগীস, জালালুল ইসলাম বিন মুসলিম আশ শাফি, তাহযিবের লেখক আবুল কাসিম ইস্পাহানী, ইবনে বুরজানো, মারযী মালিকী, যমখশরী, ইমামে হানাফি রিশা তঈ, ইবনে আতীয়া, আবুস সায়াদাত বিন শাজ্জারী, ইমাম আবু বকর বিন আরাবী, কবি নাসিহুদ্দীন আরজানী, কাযী আয়ায, হাফেজ আবু লায়দ বিন দাবাগ, আবুল আসআদ হাত্তার রহমান আল কাশিরী, ইবনে আলাম আল ফরশ আল মাকরী, কবি রিফা, শহর সিতানী, কবি কিসরানী, ইমাম গাযালীর ছাত্র মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া, আবুল ফজল বিন নাসের আল হাফেজ, আবুল কারাম শহরুযী আল মাকরী, কবি আলওয়া, ইবনুন নখল ইমাম শাফীয়া প্রমুখ।