আল মুসতাকফী বিল্লাহ আবুর রাবী সুলায়মান নিজের ভাই মুতাযদের যুগে উত্তরাধিকার মনোনীত হোন। তিনি হলেন মুতাযদের আপন ভাই। আমার (গ্রন্থাকারের) সম্মানিত পিতা একটি দলীল লিখে গেছেন। যার বিবরণ নিন্মরুপ –
“এটি একটি অঙ্গীকার পত্র, যাতে আবু রাবি’র জীবনী উল্লেখ করেছি। আল্লাহ একে সংরক্ষণ করুন। আমাদের মহান নেতা, বনু আব্বাস, আমিরুল মুমিনীন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচার আওলাদ, খুলাফায়ে রাশেদার ওয়ারিশ, মুসতাকফির পদচারনা মুখরিত হয়ে উঠে দ্বীন ইসলাম, উপকৃত হয় মুসলিম মিল্লাত। আল্লাহ তার খিলাফতের সাথে তার শান ও মর্যাদার শীর্ষ আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন আর মুসলমানদের ইমাম বানিয়ে দিয়েছেন। এটি সম্পাদিত হয়েছে যখন মুকতাফির দ্বীন, নেকী, ন্যায়পরায়নতা আর অধিকার পরিপক্ব হয়েছে। তিনি আল্লাহ’র দ্বীনে খুবই নির্ভরযোগ্য আর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন।”
মুকতাফী খুবই নেককার, দ্বীনদার, ইবাদাতকারী, কুরআন তিলাওয়াতকারী, নীরব, লোকদের অপরাধ ক্ষমাকারী আর সচ্চরিত্রবান খলীফা ছিলেন। খলীফা মুকতাযদ অধিকাংশ সময় তার প্রশংসা করতেন।
আমার (গ্রন্থকারের) পিতা তার ইমাম ছিলেন। মুকতাফী তাকে দারুন সমাদর করতেন। আমি তাদের ঘরেই লালিতপালিত হয়েছি। তার আওলাদেরা ছিলেন দ্বীনদার আর ইবাদাতকারী। আমার ধারণা উমর বিন আবদুল আযিয (রহঃ) এর আওলাদের পর কোন খলীফার আওলাদ এতো ইবাদাতকারী আর দানশীল ছিল না।
৮৫৪ হিজরির যিলহাজ্জ মাসের শেষ জুমার দিনে খলীফা মুসতাকফী ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। আমার পিতা খলীফার মৃত্যুর পর বেশীদিন জীবিত ছিলেন না। ৪০ দিন পর তিনিও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সুলতান নিজেই জানাযার সাথে কবর পর্যন্ত যান।
মুকতাফির খিলাফতকালে যেসব ওলামায়ে কেরামগণ ইন্তেকাল করেন তারা হলেন – তকী আর মাকরিরী, শায়খ উবাদা, কবি ইবনে কামিল, ওফায়ী, কাবানী, ইবনে হাযার আসকালানী প্রমুখ।