আল কায়িম বি আমরিল্লাহ আবুল বাকা হামযা বিন মুতাওয়াককিল তার ভাইয়ের পর বাইআত গ্রহণ করেন। খলীফা মুসতাকফী কাউকে উত্তরাধিকার মনোনীত করেননি। কায়িমের স্বভাব ছিলো তেজোদীপ্ত। তিনি ছিলেন বীর বাহাদুর ব্যক্তি। তিনি প্রতাপের সাথে কিছুদিন খলীফা ছিলেন। তবে তিনি তার ভাইয়ের মতো ছিলেন না।
৮৫৭ হিজরীতে সুলতান মুলকুয যাহির হিকমাক ইন্তেকাল করলে তদস্থলে তার ছেলে উসমান আল-মানসুর উপাধি নিয়ে উপবেশন করে। দেড় মাস পর ইনাল হামলা চালিয়ে তাকে বন্দী করে। খলীফা রবিউল আউয়াল মাসে ইনালকে আশরাফ উপাধি দিয়ে সুলতান মনোনীত করেন। কয়েকদিন পর রণাঙ্গনে সৈন্য বাহিনী পাঠানোকে কেন্দ্র করে সুলতানের সাথে খলীফার মনোমালিন্য হয়। এ কারণে ৮৫৯ হিজরীর জামাদিল আউয়াল মাসে সুলতান খলীফাকে অপসারণ করে ইসকান্দারিয়া পাঠিয়ে দেয়। খলীফা মৃত্যু অবধি ৮৬৩ হিজরী পর্যন্ত সেখানেই বন্দী ছিলেন। মৃত্যুর পর ভ্রাতা মুসতাইনের পার্শ্বে তাকে সমাহিত করা হয়। উল্লেখ্য, দুজনকেই ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয়। উভয়কে ইসকান্দারিয়া শহরে বন্দী রাখা হয় এবং তাদের কবর পাশাপাশি হয়।
তার শাসনামলে আমার পিতা ইন্তেকাল করেন।