আল মুসতানজিদ বিল্লাহ আবুল মুহাসিন ইউসুফ বিন মুতাওয়াককিল তার ভাইয়ের অপসারণের পর তিনি খিলাফতের তখতে আরোহণ করেন। সে সময় সুলতান আশরাফ ইনাল সালতানাতের তখতে উপবিষ্ট ছিলো।
৮৬৫ হিজরীতে সুলতানের মৃত্যু হলে তার ছেলে আহমদ মুঈদ উপাধি নিয়ে সুলতান হয়। এ বছর রমযান মাসে খোশকদম তার উপর হামলা চালিয়ে তাকে বন্দী করে এবং যাহির উপাধি নিয়ে নিজেই সুলতান হয়ে যায়।
৮৭২ হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসে সুলতান মারা যায়। তার স্থানে বালবায়ী যাহির উপাধি নিয়ে নিযুক্ত হয়। দুই মাস পর তার সৈন্যরা হামলা চালিয়ে তাকে তখত থেকে নামিয়ে দেয় এবং তামরীগাকে যাহির উপাধি দিয়ে সুলতান মনোনীত করে। দুই মাস পর তার উপরও হামলা চালানো হয় এবং তদস্থলে সর্বশেষ সুলতান ফাতিয়ায়ী আশরাফ উপাধি নিয়ে সালতানাতের তখতে আরোহণ করে। সে প্রভাব-প্রতিপত্তি,শান-শওকত,ক্ষিপ্রতা এবং কৌশলের মাধ্যমে সালতানাতের ফিতনা ও বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়।
নাসর মুহাম্মাদ বিন কালাদুনের সালতানাত থেকে আজ পর্যন্ত এমন সুলতান আর কখনই পাওয়া যায়নি। সে সসৈন্যে মিসর থেকে ফোরাতের উপকূল পর্যন্ত চষে বেড়িয়েছে। সে কাযী আর শিক্ষককে বেতন দিয়ে পুষতো না।
৮৮৪ হিজরীর মুহাররম মাসের ১৪ তারিখে দুই বছর পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগে আক্রান্ত থাকার পর তিনি ইন্তেকাল করেন। সে সময় তার বয়স ছিল নব্বই বছর অথবা এর চেয়ে কিছু বেশী। কেল্লায় তার নামাযের জানাযা পড়ানো হয় এবং সমাহিত খলীফাদের পার্শ্বে তাকে দাফন করা হয়।