উমরা পালন করার নিয়ম
ইহরাম বাঁধা (ফরয): উমরা পালনকারী মীকাতে পৌঁছে অথবা তার পূর্ব হতে গোসল বা উযূ করে (পুরুষগণ ইহরামের কাপড় পরে) ২ রাকা‘আত নামায পড়ে মাথা হতে টুপি ইত্যাদি সরিয়ে কেবলামুখী হয়ে উমরার নিয়ত করবে। নিয়ত শেষে অন্ততঃ ৩ বার (পুরুষগণ সশব্দে) ৪ শ্বাসে তালবিয়াহ পাঠ করবে। তালবিয়া এই
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ –
لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ –
إنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ –
لَا شَرِيكَ لَكَ
নিয়ত ও তালবিয়ার দ্বারা ইহরাম বাঁধা হয়ে গেল। এখন বেশী বেশী এ তালবিয়াহ পড়তে থাকবে এবং ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমূহ থেকে বিরত থাকবে।
তাওয়াফ করা (ফরয): অতঃপর মসজিদুল হারামে প্রবেশের সুন্নাতের প্রতি লক্ষ রেখে তাওয়াফের স্থানে প্রবেশ করবে। এরপর তাওয়াফের স্থানে পৌঁছেই তালবিয়াহ বন্ধ করে দিবে। হাজরে আসওয়াদের দাগের বাঁয়ে দাঁড়িয়ে প্রথমে উমরার তাওয়াফের নিয়ত করবে। তারপর দাগের উপর এসে হাজরে আসওয়াদকে সামনে করে তাকবীরে তাহরীমার মত হাত তুলবে এবং তাকবীর বলবে। অতঃপর হাত ছেড়ে দিবে। এরপর ইশারার মাধ্যমে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করবে। অতঃপর পূর্ণ তাওয়াফে ইযতিবা ও প্রথম ৩ চক্করে রমল সহকারে উমরার ৭ চক্কর সম্পন্ন করবে। প্রত্যেক চক্কর শেষে হাজরে আসওয়াদকে ইশারার মাধ্যমে চুম্বন করবে। তাওয়াফ শেষে সম্ভব হলে কাউকে কষ্ট না দিয়ে মুলতাযামে হাযিরী দিয়ে দু‘আ করবে, তারপর মাতাফের কিনারায় গিয়ে মাকামে ইবরাহীমকে সামনে রেখে বা যেখানে সহজ হয় ওয়াজিবুত তাওয়াফ দু’রাকা‘আত নামায আদায় করবে। এরপর যমযমের পানি পান করবে।
সায়ী করা (ওয়াজিব): এরপর সাফা মারওয়া এর সায়ী করার উদ্দেশ্যে হাজরে আসওয়াদকে ইশারার মাধ্যমে চুম্বন করে বাবুস সাফা দিয়ে বের হয়ে সাফা পাহাড়ে কিছুটা উপরে চড়বে এবং বাইতুল্লাহ মুখী হয়ে দু‘আ করে মারওয়া পাহাড়ের দিকে চলবে। মারওয়াতে পৌঁছলে একবার সোত হয়ে গেল। এভাবে সাত সোত অর্থাৎ, ৭ বারে সায়ী সম্পন্ন করবে। মারওয়াতে কিছুটা উপরে চড়ে বাইতুল্লাহ মুখী হয়ে দু‘আ করে সাফার দিকে চলবে। প্রত্যেক বার সাফা মারওয়াতে বাইতুল্লাহ মুখী হয়ে দু‘আ করবে এবং প্রতিবার (পুরুষগণ) সবুজ বাতিদ্বয়ের মাঝে দ্রুত চলবে। সায়ির পর ২ রাকা‘আত নফল নামায পড়বে। এবার সায়ী সম্পূর্ণ হল।
হালাল হওয়া (ওয়াজিব): এরপর মাথা মুন্ডিয়ে বা চুল ছোট করে হালাল হতে হবে। এখন আপনার উমরার কাজ সম্পূর্ণ হল।
হজ্জে ইফরাদ পালনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
ইহরাম বাঁধা (ফরয): হজ্জে ইফরাদ পালনকারী হজ্জের মাস সমূহে মীকাতে পৌঁছে বা তার পূর্ব হতে (বাংলাদেশী হাজীদের জন্য বাড়ী বা ঢাকা থেকে) হাজামাত (ক্ষৌরকার্য) ইত্যাদি সমাপ্ত করে গোসল করে বা কমপক্ষে উযূ করে ইহরামের কাপড় পরিধান করে টুপি পরে দু’রাকা‘আত ইহরামের নামায আদায় করবে। নামায শেষে টুপি খুলে হজ্জের নিয়ত করবে। নিয়ত শেষে অন্তত তিন বার আওয়াজ করে তালবিয়াহ পাঠ করবে। হজ্জের ইহরাম বাঁধা হল। এখন বেশী বেশী তালবিয়াহ পড়তে থাকবে এবং ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে। তালবিয়াহ এই
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ –
لَبَّيْكَ لَا شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ –
إنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ –
لَا شَرِيكَ لَكَ
তাওয়াফ করাঃ অতঃপর মক্কা মুকররমায় পৌঁছে মসজিদে প্রবেশের সুন্নত অনুযায়ী মসজিদুল হারামে প্রবেশ করে তাওয়াফের স্থানে গিয়ে প্রথমে তাওয়াফে কুদূম সম্পূর্ণ করবে। তাওয়াফের সংক্ষিপ্ত নিয়ম উমরার বয়ান থেকে দেখে নিন। ৭ চক্করে তাওয়াফ সম্পন্ন করে মাতাফের নিকটি গিয়ে মাকামে ইবরাহীমকে সামনে করে বা অন্য স্থানে ২ রাকা`আত ওয়াজিবুত তাওয়াফ নামায এমনভাবে পড়বে, যেন তাওয়াফকারীদের সমস্যা না হয়। তারপর যমযমের পানি পান করবে, হজ্জের সায়ী এ তাওয়াফের পরই করার ইচ্ছা করলে উক্ত তাওয়াফে ইযতিবা ও ১ম তিন চক্করে রমল করতে হবে। উল্লেখ্য, ইফরাদ হজ্জ পালনকারীর জন্য তাওয়াফে কুদূমের পর মক্কায় অবস্থান কালে ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমূহ থেকে সাধ্যমত বিরত থেকে বেশী বেশী নফল তাওয়াফ করার চেষ্টা করবে। উল্লেখ্য সব ধরনের তাওয়াফের পর দু’রাকা‘আত নামায পড়া ওয়াজিব। তাওয়াফকালে তালবিয়াহ উচ্চস্বরে পাঠ করবে না এবং হাজরে আসওয়াদ সামনে করা ছাড়া বাইতুল্লাহ এর দিকে সীনা ও দৃষ্টি করা যাবে না।
৮ই যিলহজ্বে করণীয়ঃ ৮ই জিলহজ্জ সূর্যোদয়ের পর মিনা অভিমুখে রওয়ানা হওয়া সুন্নাত। ঐ দিন মিনায় গিয়ে যুহর, আসর, মাগরিব, ইশা এবং রাত্রি যাপন করে পর দিন ফজরের নামায সেখানে আদায় করা সুন্নাত। মুআল্লিমগণ সাধারণতঃ ৭ই জিলহজ্জ রাত্রেই হাজীদেরকে মিনার তাবুতে পৌঁছে দেয়। নতুন লোকদের জন্য পেরেশানী থেকে বাঁচার জন্য অগ্রিম যাওয়াতে কোন অসুবিধা নেই। ৮ তারিখ যোহরের পূর্বেই মিনায় পৌঁছতে হবে। সঙ্গে অতি সংক্ষিপ্ত জরুরী সামান-বিছানা এবং পরিধেয় কাপড় নিতে হবে এবং কয়েক দিনের খাবারের জন্য মুয়াল্লিমের নিকট টাকা জমা দেয়াটাই সহজ উপায়। আর মিনাতেও খানা-পিনা কিনে খাবার ব্যবস্থা আছে।
৯ই যিলহজ্বে করণীয়ঃ
উকূফে আরাফা (ফরয): ঐদিন ফজরের নামায যথা সময়ে আদায় করে (পুরুষগণ আওয়াজ করে, এবং মহিলাগণ নীরবে ১ বার) তাকবীরে তাশরীক পড়ে নিবে। নাস্তা ইত্যাদির জরুরত শেষে সূর্য উঠার পর তালবিয়া পড়তে পড়তে আরাফা অভিমুখে রওয়ানা হতে হবে। আরাফায় পৌঁছে মুয়াল্লিমের তাবুতে উকূফ করতে হবে, তাবুতে না থাকলে আরাফায় নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে অবস্থান করবে।
সংক্ষেপে উকূফের পদ্ধতিঃ এই ময়দানে পৌঁছে সেখানে আউয়াল ওয়াক্তে যোহরের নামায পড়ে দাঁড়িয়ে, আর কষ্ট হলে বসে দু‘আ-কালাম-তাসবীহ-তাহলীল পড়তে থাকবে। তারপর হানাফী মাযহাব মতে আসরের সময় হলে আসর নামায পড়ে সূর্য সম্পূর্ণ অস্ত যাওয়া পর্যন্ত পূর্বের নিয়মে দু‘আ ও যিকিরে মশগুল থাকবে। অন্য আযান শুনে কোন অবস্থায় আসরের ওয়াক্তের পূর্বে আসর পড়বে না। আরাফার ময়দানে এই অবস্থানকে ‘উকূফে আরাফা’ বলা হয়। সূর্য সম্পূর্ণ অস্ত যাওয়ার পরে এখানে বা রাস্তায় মাগরিব না পড়ে তালবিয়াহ পড়তে পড়তে মুআল্লিমের গাড়ীতে করে মুযদালিফায় রওয়ানা হবে যাবে।
মুযদালিফায় রাতে অবস্থান করা (ওয়াজিব): মুযদালিফা ময়দানে পৌঁছে ইশার ওয়াক্ত হওয়ার পর এক আযান ও এক ইকামতে প্রথমে মাগরিব ও পরে ইশার ফরয নামায আদায় করতে হবে। তারপর সুন্নাত, নফল ও বিতির পড়বে। অতঃপর মুযদালিফার খোলা ময়দানে রাতে অবস্থান করতে হবে। আউয়াল ওয়াক্তে ফজরের নামায পড়ে সূর্যোদয়ের পূর্ব পর্যন্ত মুযদালিফায় অবস্থান করে তাসবিহ-তাহলীল যিকির ও দু‘আয় মশগুল থাকবে। এ সময় অবস্থান করাকে “উকূফে মুযদালিফা” বলে। এখান থেকে ৪৯ টি পাথরকণা সঙ্গে নিবে। সূর্য উঠার কিছুক্ষণ পূর্বেই তালবিয়া পড়তে পড়তে মিনার উদ্দেশ্যে পায়ে হেটে রওয়ানা হয়ে যাবে।
১০ই যিলহজ্বে করণীয়ঃ রমী করা জামরায়ে উকবা তথা বড় শয়তানকে কংকর মারা (ওয়াজিব): মিনায় পৌঁছে জরুরত সেরে এই দিন শুধুমাত্র জামরায়ে উকবায় তথা বড় শয়তানের স্থানে রমী করার জন্য ভীড় কমার অপেক্ষা করবে। কারণ এখানে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আজকাল সাধারণত আসরের নামাযের পূর্বে ভীড় কমে না। এ জন্য আউয়াল ওয়াক্তে আসর পড়ে বা প্রয়োজনে আরো পরে বড় শয়তানের বেষ্টনীর মধ্যে ৭টি কংকর নিক্ষেপ করবে। এটাকেই রমী করা বলা হয়। উল্লেখ্য, ১০ই যিলহজ্বে বড় শয়তানের নিকট পৌঁছে প্রথম কংকর নিক্ষেপের পূর্বক্ষণেই তালবিয়া পড়া বন্ধ করে দিবে।
কুরবানী করা (মুস্তাহাব): রমী শেষে সময় থাকলে এদিন অন্যথায় পরের দিন পশু বাজারে গিয়ে বা আমানতদার কাউকে পাঠিয়ে কুরবানী করবে। হজ্বে ইফরাদ পালনকারীর জন্য কুরবাণী করা ওয়াজিব নয় বরং মুস্তাহাব। সুতরাং তাওফীক থাকলে কুরবানী করতে চেষ্টা করবে।
হালাল হওয়া (ওয়াজিব): বড় শয়তানকে কংকর মারার পরে এবং কুরবানী করলে কুরবানী শেষে মাথা মুন্ডাতে বা চুল ছাটতে হবে এবং এর মাধ্যমেই মুহরিম হজ্বের ইহরাম থেকে হালাল হয়ে গেল। হালাল হওয়ার সময় চেহারার নূর দাঁড়ি কোনক্রমেই মুন্ডাবেন না। যাদের এখনো দাঁড়ি রাখার সৌভাগ্য হয়নি তারা পূর্বেই এব্যাপারে পাক্কা নিয়ত করে নিবেন। যাতে করে দাঁড়ি নিয়ে রওজা শরীফ যিয়ারত করতে পারেন।
তাওয়াফে যিয়ারত (ফরয) ও সায়ী করা (ওয়াজিব): হালাল হওয়া তথা ইহরাম মুক্ত হওয়ার পর স্বাভাবিক পোষাকে বাইতুল্লাহ গিয়ে তাওয়াফে যিয়ারত করা ও সাফা-মারওয়াতে সায়ী করা। ১০ থেকে ১২ যিলহজ্বে সূর্য ডোবার পূর্বে তাওয়াফে যিয়ারত সম্পূর্ণ করতে হবে। তাওয়াফে কুদূমের পরে হজ্বের সায়ী না করে থাকলে এই তাওয়াফের পরে সাফা-মারওয়াতে সায়ী করতে হবে। সায়ী করার তরীকা উমরা এর বর্ণনায় দেখে নিন। সায়ীর পরে দু’রাকা‘আত নামায পড়বে। এরপর মিনা ফিরে আসবে।
১১, ১২ ও ১৩ই জিলহজ্বের করণীয়:
তিন জামরায় কংকর মারা ওয়াজিবঃ ১১ ও ১২ যিলহজ্বে ভীড় থেকে বাঁচার জন্য বাদ আসর প্রথমে ছোট, পরে মাঝারী সবশেষে বড় জামরার বেষ্টনীর মধ্যে ৭টি করে কংকর মারবে। এ কয়দিন মিনায় রাত যাপন করা সুন্নাত। উল্লেখ্য, ১২ই যিলহজ্বে ৩ জামরায় কংকর মেরে কেউ মক্কা চলে গেলে কোন অসুবিধা নাই। তবে বিশেষ কোন জরুরত না থাকলে ১৩ই যিলহজ্বে বিকাল ৩টার দিকে পর্যায়ক্রমে তিন জামরায় কংকর মেরে মক্কায় যাওয়া উত্তম। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৩ যিলহজ্বে কংকর মেরে মক্কা গিয়েছিলেন। ১৩ যিলহজ্বে আসর পর্যন্ত তাকবীরে তাশরীক পড়তে হবে।
তাওয়াফে বিদা (ওয়াজিব): যখন মক্কা শরীফ থেকে চলে আসার সময় হয় তখন শান্তভাবে কয়েক ঘণ্টা পূর্বে স্বাভাবিক পোষাকে বাইতুল্লাহ শরীফে এসে ৭ চক্কর তাওয়াফ সম্পন্ন করবে। তারপর ওয়াজিবুত তাওয়াফ দু’রাকা‘আত নামায পড়ে যমযমের পানি পান করে আবারও বাইতুল্লাহ যিয়ারতের তাওফীক লাভের জন্য মনে প্রাণে দু‘আ করা অবস্থায় চলে আসবে। ইহাকে তাওয়াফে বিদা বলা হয়। এ তাওয়াফের মধ্যে ইযতিবা ও রমল নেই এবং পরে কোন সায়ী নেই উল্লেখ্য প্রতিবার মসজিদে হারামে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সুন্নাতের প্রতি খেয়াল রাখবে।
হজ্জে তামাত্তুর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
যারা তামাত্তু হজ্জ করতে চায় তারা প্রথমে উমরার বর্ণিত নিয়মে উমরা পালন করে মাথা মুন্ডিয়ে হালাল হয়ে যাবে। (এরপর যে কয়দিন মক্কা শরীফে থাকবে, বেশী বেশী নফল তাওয়াফ করবে। বেশী বেশী নফল উমরা করা থেকে নফল তাওয়াফ করাই উত্তম।) তারপর মিনার উদ্দেশ্য রওয়ানা হওয়ার পূর্বে হজ্জের ইহরাম বেঁধে হজ্জে ইফরাদের বর্ণিত নিয়মে হজ্জ সম্পূর্ণ করবেন।
হজ্জে কিরানের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
আর যারা হজ্জে কিরান করতে চান তারা মীকাত থেকে বা তার পূর্ব হতে একত্রে উমরা ও হজ্জের নিয়ত করে ইহরাম বাঁধবেন। তারপর তারা উমরাহ শেষে ইহরাম অবস্থায় থাকবেন। তারা উমরাহ করে হালাল হতে পারবেন না। হজ্জে সকল কাজ সম্পন্ন করে পূর্বে বর্ণিত নিয়মে মাথা মুন্ডিয়ে হজ্জ থেকে হালাল হওয়ার সময় হজ্জ ও উমরার উভয় ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, কিরান ও তামাত্তু হ্জ্বকারীর জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব এবং তাদের জন্য মাথা মুন্ডানোর পূর্বেই কুরবানী করা ওয়াজিব। আর ব্যাংকের ওয়াদাকৃত সময় সাধারণত ঠিক থাকে না সে জন্য হালাল হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ জন্য তামাত্তু ও কিরানকারীরা কোনো অবস্থায় ব্যাংকের মাধ্যমে কুরবানী করবে না।
মহিলাদের হজ্জের পার্থক্য
মহিলাগণ স্বাভাবিক পোষাকেই ইহরাম বাধবে এবং মাথা ঢেকে নিবে চেহারা খোলা রাখবে না বরং চেহারার পর্দা করবে এবং এমনভাবে নেকাব লাগাবে যেন চেহারার সাথে কাপড় লেগে না থাকে। তালবিয়াহ নিম্ন আওয়াজে পড়বে। তাওয়াফের মধ্যে ইযতিবা ও রমল করবে না। সায়ীতে সবুজ বাতিদ্বয়ের মাঝে স্বাভাবিক চলবে। চুলের আগা থেকে এক ইঞ্চি পরিমাণ কেটে হালাল হবে। পুরুষদের থেকে পৃথক হয়ে মাতাফের কিনারা দিয়ে বা ছাদে গিয়ে তাওয়াফ করবে। হায়েয অবস্থায় তাওয়াফ করবে না, চলে আসার সময় হায়েযা হলে তাওয়াফে বিদা মাফ হয়ে যাবে। নামায সমূহ মক্কা বা মদীনার অবস্থানগৃহে আদায় করবে, এত সাওয়াব বেশী হবে। মক্কা শরীফে শুধু তাওয়াফের জন্য এবং মদীনা শরীফে নির্দিষ্ট সময়ে শুধু রওজা যিয়ারতের জন্য মসজিদে যাবে।