দ্বিতীয় হিজরিতে নবীজি

এ বছর হতে ইসলামের জীবনে এক বিরাট পরিবর্তন সূচিত হয়,—নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আকাঙ্ক্ষা মাফিক বাইতুল মুকাদ্দাসের পরিবর্তে পৃথিবীর প্রাচীনতম ঘর কাবা শরিফকে মুসলমানদের কেবলা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়; হযরত আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশের নেতৃত্বাধীন সারিয়া ইসলামের পক্ষে সর্বপ্রথম গনিমতের অধিকারী হয়;বদরের প্রাঙ্গণে পরাক্রমশালী কুরাইশদের বিরুদ্ধে সহায়-সম্বলহীন গুটিকয় মুসলিমের মধ্যে সংঘটিত হয় বিখ্যাত বদর-যুদ্ধ, অসম্ভব সম্ভাবনাকে সম্ভব করে আল্লাহ বিজিত করেন মুষ্টিমেয় আল্লাহ ও রাসূলপ্রেমী অকুতোভয় মুসলিম সেনাদের; বদর থেকে ফিরেনবীজি দেখতে পান, প্রিয় কন্যা রুকাইয়া পরপারের বাসিন্দা; এ বছরই বদর যুদ্ধ হতে ফেরার পর ইসলামে সর্ব প্রথম ঈদুল ফিতরের নামায পড়া হয়; রমজানের রোজা, সদকাতুল ফিতর ও যাকাত এ বছরই ফরয হয়; ঈদুল আযহার নামায এবং কোরবানি এ বছরেই ওয়াজিব হয়; এ বছরের জিলহজ মাসে হযরত আলির সাথে হযরত ফাতেমার বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।

তথ্যসূত্র:সিরাতে খাতামুল আম্বিয়া, মুফতি শফি।