নামাযের ফরয ওয়াজিব ও সুন্নাত – মুফতী মনসূরুল হক (দা.বা)

নামাযের ফরয ১৩টি

নামাযের বাইরে ৭ ফরয

১. শরীর পাক হওয়া। (সূরায়ে মায়িদা:৬)

২. কাপড় পাক হওয়া। (সূরায়ে মুদ্দাসসির:৪)

৩. নামাযের জায়গা পাক হওয়া। (বাকারা: ১২৫)

৪. ছতর ঢাকা (অর্থাৎ, পুরুষগণের নাভি হতে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত এবং মহিলাদের চেহারা, কব্জি পর্যন্ত এবং পায়ের পাতা ব্যতিরেকে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা।) (বাকারা-৩১)

৫. কিবলামুখী হওয়া। (বাকারা-১৪৪)

৬. ওয়াক্তমত নামায পড়া। (নিসা-১০৩)

৭. অন্তরে নির্দিষ্ট নামাযের নিয়ত করা। (বুখারী হা: নং ১)

নামাযের ভেতরে ৬ ফরয

১. তাকবীরে তাহরীমা অর্থাৎ, শুরুতে আল্লাহু আকবার বলা। (মুদ্দাসসির: ৩)

২. ফরয ও ওয়াজিব নামায দাঁড়িয়ে পড়া। (বাকারা-২৩৮)

৩. কিরাত পড়া। (মুযযাম্মিল:২০)

৪. রুকু করা। (হজ্ব-৭৭)

৫. দুই সিজদা করা। (প্রাগুক্ত)

৬. শেষ বৈঠক করা। (আবূ দাউদ হা: নং ৯৭০)

নামাযের ওয়াজিব ১৪টি

১. সূরায়ে ফাতিহা পূর্ণ পড়া। (বুখারী হা: নং ৭৫৬)

২. সূরাহ ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরা কিংবা ছোট তিন আয়াত অথবা বড় এক আয়াত মিলানো। (বুখারী হা:   নং ৭৭৬, মুসলিম হা: নং ৪৫১)

৩. ফরযের প্রথম দুই রাকাআতকে ক্বিরাতের জন্য নির্ধারিত করা। (বুখারী হা:   নং ৭৭৬, মুসলিম হা: নং ৪৫১)

৪. সূরায়ে ফাতিহাকে অন্য সূরার আগে পড়া। (তিরমিযী হা: নং ২৪৬, ত্বহাবী হা: নং ১১৭২)

৫. নামাযের সকল রোকন ধীর স্থীরভাবে আদায় করা। (আবূ দাউদ হা: নং ৮৫৬-৮৫৮)

৬. প্রথম বৈঠক করা। (বুখারী হা: নং ৮২৮)

৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া। (বুখারী হা: নং ৮৩০,৮৩১, মুসলিম হা: নং ৪০২, ৪০৩)

৮. প্রত্যেক রাকাআতের ফরয এবং ওয়াজিবগুলোর তারতীব বা সিরিয়াল ঠিক রাখা।

৯. ফরয ও ওয়াজিবগুলোকে স্ব-স্ব স্থানে আদায় করা। (বাদায়িউস সানায়ে: ১/৬৮৯)

১০. বিতরের নামাযে তৃতীয় রাকাআতের ক্বিরাতের পর কোন দুআ পড়া। অবশ্য দুআয়ে কুনূত পড়লে ওয়াজিবের সাথে সাথে সুন্নাতও আদায় হয়ে যাবে।

১১. দুই ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ছয় তাকবীর বলা। (আবূ দাউদ হা: নং ১১৫৩)

১২. দুই ঈদের নামাযে দ্বিতীয় রাকাআতে অতিরিক্ত তিন তাকবীর বলার পর রুকুর জন্য ভিন্নভাবে তাকবীর বলা। (ইবনে আকি শাইবা হা: নং ৫৭০৪)

১৩. ইমামের জন্য যুহর আসর এবং দিনের বেলায় সুন্নাত ও নফল নামাযে কিরা‘আত আস্তে পড়া, এবং ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমু’আ, দুই ঈদ, তারাবীহ ও রমাযান মাসের বিতর নামাযে  কিরা‘আত শব্দ করে পড়া। (মারাসীলে আবী দাউদ হা: নং ৪১, মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক হা: নং ৫৭০০ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা হা: নং ৫৪৫২)

১৪. সালামের মাধ্যমে নামায শেষ করা। (আবূ দাউদ হা: নং ৯৯৬)

নামাযের ৫১ সুন্নাত

ক. দাঁড়ানো অবস্থায় সুন্নাত ১১টি

১. উভয় পায়ের আঙ্গুলসমুহ কিবলামুখী করে রাখা এবং উভয় পায়ের মাঝখানে চার আঙ্গুল, ঊর্ধ্বে এক বিঘত পরিমাণ ফাঁক রাখা। (সুনানে নাসায়ী হা: নং ৮৯২/ ফাতাওয়ায়ে আলমগিরী, ১:৭৩)

২. তাকবীরে তাহরীমার সময় চেহারা কিবলার দিকে রেখে নজর সিজদার জায়গায় রাখা এবং হাত উঠানোর সময় মাথা না ঝুঁকানো। (তিরমিযী, হা: নং ৩০৪/ মুস্তাদরাকে হাকেম,১১৭৬১)

৩. উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো। অর্থাৎ, উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলীর মাথা কানের লতী পর্যন্ত উঠানো। (মুসলিম হা: নং ৩৯১)

৪. হাত উঠানোর সময় আঙ্গুলসমূহ সহ উভয় হাতের তালু কিবলামুখী রাখা। (তাবারানী আউসাত, হা: নং ৭৮০১)

৫. আঙ্গুলসমূহ স্বাভাবিকভাবে রাখা অর্থাৎ, একেবারে মিলিয়েও না রাখা, আবার বেশী ফাঁক ফাঁক করেও না রাখা। (মুস্তাদরাক, হা: নং ৮৫৬)

৬. ইমামের তাকবীরে বলার পর সাথে সাথে মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমা বলা। অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমা যেন ইমামের তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে শেষ না হয়। এরূপ হলে মুক্তাদীর নামায হবে না। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৭৩৪, মুসলিম, হা: নং ৪১৪,৪১৫)

৭. হাত বাঁধার সময় ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের (পাতার) উপর রাখা। (আবূ দাউদ, হা: নং ৭২৬/ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হা: নং ৩৯৪২)

৮. ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী দ্বারা গোলাকার বৃত্ত বানিয়া বাম হাতের কব্জি ধরা। (তিরমিযী, হা: নং ২৫২/ ইবনে মাজাহ, হা: নং ৮১১)

৯. অবশিষ্ট তিন আঙ্গুল বাম হাতের উপর স্বাভাবিকভাবে বিছিয়ে রাখা। (ফাতহুল ক্বাদীর, ১:২৫০)

১০. নাভীর নীচে হাত বাঁধা। (আবূ দাউদ, হা: নং ৭৫৬/ আলমগীরী ১:৭৩)

১১. ছানা পড়া। (আবূ দাউদ, হা: নং ৭৭৫, ৭৭৬)

খ. কিরাআতের সুন্নাত ৭টি

১. প্রথম রাকাআতে ছানা পড়ার পর পূর্ণ আ’উযুবিল্লাহ পড়া। (আবূ দাউদ, হা: নং ৭৬৪/ ইবনে মাজাহ, হা: নং ৮০৭)

২. প্রতি রাকাআতে সূরা ফাতিহা ও সূরা মিলানোর পূর্বে পূর্ণ বিসমিল্লাহ পড়া। (নাসায়ী শরীফ, হা: নং ৯০৫)

৩. সূরাহ ফাতিহার পর সকলের জন্য (নীরবে) ‘আমীন’ বলা। (সুনানে দারাকুতনী, হা: নং ১২৫৬/ বুখারী শরীফ হা: নং ৭৮০)

৪. ফজর এবং যোহরের নামাযে ত্বিওয়ালে মুফাসসাল (লম্বা কিরা‘আত) অর্থাৎ, সূরা ‘হুজুরাত’ থেকে সূরা ‘বুরুজ’ পর্যন্ত , আসর এবং ইশার নামাযে আউসাতে মুফাসসাল (মধ্যম কিরা‘আত) অর্থাৎ, সূরা ‘ত্বরিক’ থেকে সূরাহ ‘লাম-ইয়াকুন’ পর্যন্ত এবং মাগরিবে ক্বিসারে মুফাসসাল (ছোট কিরা‘আত অর্থাৎ, সূরা ‘ইযা-যুলযিলাত্’ থেকে সূরা ‘নাস’ পর্যন্ত) থেকে প্রতি রাকাআতে যে কোন একটি সূরা বা কোন কোন সময় বড় সূরা থেকে এ পরিমাণ কিরা‘আত পড়া। (নাসায়ী শরীফ, হা: নং ৯৮৩/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হা: নং ২৬৭২)

৫. ফজরের প্রথম রাকাআত দ্বিতীয় রাকাআত অপেক্ষা লম্বা করা। অন্যান্য ওয়াক্তে উভয় রাকাআতে কিরা‘আতের পরিমাণ সমান রাখা উচিত। (মুসলিম শরীফ, হা: নং ৪৫১, ৪৫২)

৬. কিরা‘আত অত্যন্ত তাড়াতাড়ি বা একেবারে ধীর গতিতে না পড়া, বরং মধ্যম গতিতে পড়া। (মুসলিম শরীফ, হা: নং ৭৩৩)

৭. ফরয নামাযের তৃতীয় এবং চতুর্থ রাকাআতে শুধু সূরা ফাতিহা পড়া। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৭৬৬)

গ. রুকুর সুন্নাত ৮টি

১. তাকবীর বলা অবস্থায় রুকুতে যাওয়া । (বুখারী শরীফ, হা: নং ৭৮৯)

২. উভয় হাত দ্বারা হাঁটু ধরা। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৭৯০)

৩. হাতের আঙ্গুলসমূহ ফাঁক করে ছড়িয়ে রাখা। (আবূ দাউদ, হা: নং ৭৩১)

৪. উভয় হাত সম্পূর্ণ সোজা রাখা, কনুই বাঁকা না করা। (আবূ দাউদ, হা: নং ৭৩৪)

৫. পায়ের গোছা, হাঁটু ও উরু সম্পূর্ণ সোজা রাখা। হাঁটু সামনের দিকে বাঁকা না করা। (আবূ দাউদ, হা: নং ৮৬৩)

৬. মাথা, পিঠ ও কোমর সমান রাখা, উঁচু-নীচু না করা এবং পায়ের দিকে নজর রাখা। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৪৯৮)

৭. রুকুতে কমপক্ষে তিনবার রুকুর তাসবীহ (সুবহানা রাব্বিয়াল ‘আযীম) পড়া। (আবূ দাউদ, হা: নং ৮৮৬)

৮. রুকু হতে উঠার সময় ইমামে ‘সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ্ এবং মুক্তাদীর ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’ এবং একাকী নামায আদায়কারীর উভয়টি বলা। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৭৮৯, ৭৩৩/আলমগীরী, ১:১২)

বি:দ্র: রুকু থেকে উঠে সম্পূর্ণ সোজা হয়ে এক তাসবীহ পরিমাণ স্থিরভাবে দাঁড়ানো জরুরী। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৮০০,৮০১,৮০২)

ঘ. সিজদার সুন্নাত ১২টি

১. তাকবীর বলা অবস্থায় সিজদায় যাওয়া। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৮০৩)

বি: দ্র:- সিজদায় যাওয়া ও সিজদা হতে দাঁড়ানোর সময় তাকবীর এক আলিফ থেকে অধিক টানা উচিত নয়। অবশ্য হদর এবং তারতীলের পার্থক্য থাকবে। (শামী, ১:৪৮০)

২. প্রথমে উভয় হাঁটু মাটিতে রাখা। (নাসায়ী,হা: নং ১০৮৯/আবূ দাউদ, হা: নং ৮৩৮)

৩. তারপর হাঁটু থেকে আনুমানিক এক হাত দূরে উভয় হাত রাখা এবং হাতের আঙ্গুলসমূহ কিবলামুখী করে সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে রাখা। (মুসনাদে আহমাদ, হা: নং ১৮৮৮২/ সহীহ ইবনে খুযাইমাহ হা: নং ৬৪৩)

৪. তারপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলীর মাথা বরাবর নাক রাখা। (মুসনাদে আহমাদ, হা: নং ১৮৮৮০)

৫. তারপর কপাল রাখা। (মুসনাদে আহমাদ, হা: নং ১৮৮৮০)

৬. অত:পর দুই হাতের মাঝে সিজদা করা এবং দৃষ্টি নাকের অগ্রভাগের দিকে রাখা। (মুসলিম, হা: নং ৪০১/ মুস্তাদরাকে হাকেম, হা: নং১৭৬১)

৭. সিজদায় পেট উরু থেকে পৃথক রাখা। (মুসনাদে আহমাদ, হা: নং ২৩৬৬২/ আবূ দাউদ , হা: নং ৭৩৫)

৮. পাঁজরদ্বয় থেকে উভয় বাহু পৃথক রাখা। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৮০৭)

৯. কনু্ই মাটি ও হাঁটু থেকে পৃথক রাখা। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৮০৮)

১০. সিজদায় কমপক্ষে তিনবার  সিজদার তাসবীহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা) পড়া। (ইবনে মাজাহ, হা: নং ৮৮৮)

১১. তাকবীর বলা অবস্থায় সিজদা হতে উঠা। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৮২৫)

১২. প্রথমে কপাল, তারপর নাক, তারপর উভয় হাত, তারপর উভয় হাঁটু মাটিতে লাগার আগ পর্যন্ত বুক সম্পূর্ণ সোজা রাখা জরুরী। বিনা ওজরে বুক ঝুঁকিয়ে সিজদায় গেলে একাধিক রুকুর সাদৃশ্য হয়ে সুন্নাতের খেলাফ হবে। দু’সিজদার মাঝে সম্পূর্ণ সোজা হয়ে এক তাসবীহ পরিমাণ স্থির হয়ে বসা জরুরী। (আবূ দাউদ, হা: নং ৮৩৮/ শামী, ১:৪৬৪)

ঙ. নামাযে বসার সুন্নাত ১৩টি

১. বাম পা বিছিয়ে তার উপর বসা। ডান পা সোজা ভাবে খাড়া রাখা। উভয় পায়ের আঙ্গুলসমূহ সাধ্যমত কিবলার দিকে মুড়িয়ে রাখা। (নাসাঈ, হা: নং ১১৫৮)

২. উভয় হাত রানের উপর হাঁটু বরাবর করে রাখা এবং দৃষ্টি দুই হাঁটুর মাঝ বরাবর রাখা। (মুসনাদে আহমাদ হা: নং ১৬১০৬)

৩. ‘আশহাদু’ বলার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলীর মাথা এক সাথে মিলিয়ে গোলাকরা বৃত্ত বানানো এবং অনামিকা ও কনিষ্ঠাঙ্গুলীদ্বয় মুড়িয়ে রাখা এবং ‘লা-ইলাহা’ বলার সময় শাহাদাত আঙ্গুল সামান্য উঁচু করে ইশারা করা। অতঃপর ইল্লাল্লাহু বলার সময় আঙ্গুলের মাথা ঝুঁকানো হাঁটুর সাথে না লাগানো। (আবূ দাউদ, হা: নং ৭২৬ নাসাঈ, হা: নং ১২৭৪)

৪. আখেরী বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পর দরুদ শরীফ পড়া। (তিরমিযী, হা: নং ৩৪৭৭)

৫. দুরূদ শরীফের পর দু’আয়ে মাছুরা পড়া। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৮৩৪/তিরমিযী, হা: নং ৫৯৩)

৬. উভয় দিকে সালাম ফিরানো। (তিরমিযী, হা: নং ২৯৫)

৭. ডান দিকে আগে সালাম ফিরানো। উভয় সালাম কিবলার দিক থেকে আরম্ভ করা এবং সালামের সময় দৃষ্টি কাঁধের দিকে রাখা। (মুসলিম হা: নং ৫৮২)

৮. ইমামের উভয় সালামে মুক্তাদী, ফেরেশতা ও নামাযী জ্বিনদের প্রতি সালাম করার নিয়্যত করা। (মুসলিম, হা: নং ৪৩১)

৯. মুক্তাদীগণের উভয় সালামে ইমাম, অন্যান্য মুসল্লী, ফেরেশতা ও নামাযী জ্বিনদের প্রতি সালাম করার নিয়্যত করা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হা: নং ৩১৪৯,৩১৫২)

১০. একাকী নামাযী ব্যক্তি শুধু ফেরেশতাগণের প্রতি সালাম করার নিয়্যত করা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হা: নং ৩১৪০)

১১. মুক্তাদীগণের ইমামের সালাম ফিরানোর পরপরই সালাম ফিরানো। (বুখারী শরীফ, হা: নং ৮৩৮)

১২. দ্বিতীয় সালাম প্রথম সালাম অপেক্ষা আস্তে বলা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হা:নং ৩১৫৬)

১৩. ইমামের দ্বিতীয় সালাম ফিরানো শেষ হলে মাসবুকের ছুটে যাওয়া নামায আদায়ের জন্য দাঁড়ানো। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হা: নং ৩১৫৬)