মুসলিম শাসনামলে পুলিশ বিভাগ

মুসলিম শাসনামলে পুলিশ বিভাগ ছিল খুবই শক্তিশালী। এই বিভাগের দায়িত্ব ছিল জনগনের জানমাল, ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অপরাধীদের শায়েস্তা করা। মুসলমানদের পূর্বে মিসর ও রোম সভ্যতায় এ ধরনের বিভাগের অস্তিত্ব ছিল। মুসলিম সাম্রাজ্যে শাসকরা এই বিভাগকে ঢেলে সাজান। একে করে তোলেন শক্তিশালী।

বিভিন্ন বর্ননা থেকে দেখা যায় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় হিজরতের পর থেকেই মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তখন পুলিশবিভাগের সুশৃংখল ও নির্দিষ্ট কোনো কাঠামো না থাকলেও বিভিন্ন সময় সাহাবিরা এমনকিছু দায়িত্ব পালন করেছেন যা এই বিভাগের কর্মের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।যেমন শুরুর দিকে কয়েকজন সাহাবি, নবিজির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন। বিভিন্ন সময় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনা পাহারা দেয়ার জন্য অনেক সাহাবিকে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। সহিহ বুখারিতে আনাস বিন মালেক (রা) থেকে বর্ননা এসেছে, কাইস ইবনু সাদ নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে এরুপ থাকতেন, যেভাবে আমিরের (রাষ্ট্রপ্রধান) সামনে পুলিশ প্রধান থাকেন। (১)

এই হাদিসের ব্যখ্যায় ইবনু হাজার আসকালানি (র) লিখেছেন, নবিজির যুগে পুলিশ বিভাগের অস্তিত্ব ছিল না। এর শুরু বনু উমাইয়ার শাসনামলে। হাদিসের বর্ননাকারী আনাস বিন মালেক (রা) শ্রোতাদের সামনে কাইস ইবনু সাদের প্রকৃত অবস্থা বোঝানোর জন্য পুলিশ প্রধানের সাথে তুলনা করেছেন। (২)

খোলাফায়ে রাশেদিনের শাসনামলে আমরা দেখি, হজরত উমর (রা) নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করতেন। রাতের বেলা মদিনার অলিগলিতে হেটে বেড়াতেন।

হজরত মুয়াবিয়ার খেলাফতকালে এই বিভাগকে তিনি সুশৃঙ্খল কাঠামো দেন। তিনি তার দরবারে প্রহরী নিযুক্ত করেন। উমাইয়া খলিফারা এই ধারা অব্যাহত রাখেন। ১১০ হিজরিতে খালেদ বিন আবদুলাহ বসরার গভর্ণর নিযুক্ত হন। সেখানে তিনি পুলিশ বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। (৩) ১৩২ হিজরিতে সালেহ বিন আবদুলাহ আসকার শহর নির্মাণ করলে সেখানে তিনি পুলিশ বিভাগের জন্য পৃথক একটি ভবন নির্মাণ করেন। এই ভবনের নাম ছিল দারুশ শুরতাহ।

আব্বাসি শাসনামলে এই বিভাগকে আরো শক্তিশালী করা হয়। খলিফা আবু জাফর মানসুর একবার বলেছিলেন, সাম্রাজ্যের ভিত মজবুত রাখেন চারজন। কাজি, যিনি সঠিক ফায়সালা করতে নিন্দুকের নিন্দার পরোয়া করেন না। পুলিশ প্রধান, শক্তিশালীদের দূর্বলের উপর জুলুম করা থেকে আটকান। খেরাজ আদায়কারী, যিনি প্রজাদের উপর জুলুম করেন না। ডাক বিভাগের প্রধান, যিনি সাম্রাজ্যের সকল খবরাখবর সঠিকভাবে পৌছে দেন।

সেকালে পুলিশ বিভাগের কাজ এ যুগের মতই ছিল। তারা খলিফা ও আমিরদের নিরাপত্তা দিতেন, রাতের বেলা শহর পাহারা দিতেন, অপরাধিদের গ্রেফতার করতেন। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে টহল দিয়ে দেখতেন কেউ শরিয়াহ বিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত আছে কিনা। ফাতেমি সাম্রাজ্যে পুলিশরা আগুন নেভানোর কাজও করতেন। অনেক সময় তারা এশার নামাজের পর মশাল জ্বেলে জেগে থাকতেন। তাদের সাথে থাকতো ভিস্তিওয়ালা। যদি রাতের বেলা কোথাও আগুন লাগে, তাহলে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেজন্য প্রায়ই পুলিশের কিছু কিছু সদস্য জেগে থাকতেন। পুলিশ-প্রধানের পদটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। হিজরি অষ্টম শতাব্দীতে উত্তর আফ্রিকায় পুলিশ-প্রধানকে বলা হতো হাকিম। আন্দালুসে বলা হত সাহিবুল মদিনা বা নগর-রক্ষক। মুসলিম-বিশ্বের অন্যান্য এলাকায় তাদের বলা হতো ওয়ালি।

পুলিশ-প্রধান নিয়োগের সময় সাধারণত আলেম ও ফকিহদের প্রাধান্য দেয়া হত। কখনো কখনো সেনাপতিদেরকেও নিয়োগ দেয়া হত। এসময় তাদের সাহসিকতা, কঠোর স্বভাব ও দৃঢ়তার প্রতিও বিশেষ খেয়াল রাখা হত। পুলিশ কর্মকর্তাদের আচার-আচরণ ও অন্যান্য বিষয়ের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা হত। আব্বাসি খলিফা মুকতাদির বিল্লাহ, বাগদাদের পুলিশ প্রধান মুহাম্মদ বিন ইয়াকুত কে অপসারণ করেছিলেন কারণ তার চারিত্রিক সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল । এছাড়া বিভিন্ন সময় জুলুমের সাথে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছিল। এই বিভাগে নিয়োগ দেয়া হত সতর্ক ও বিচক্ষণ লোকদের। বিচক্ষণতা ও কাজের উপর ভিত্তি করে অনেকসময় তাদের পদোন্নতি হত। উমাইয়া খলিফাদের কেউ কেউ তাদের পুলিশ-প্রধানকে পরে কাজি নিয়োগ দিয়েছিলেন।

মুসআব বিন আবদুর রহমান বিন আউফ যুহরি ছিলেন খলিফা মারওয়ান বিন হাকামের সময় পুলিশ-প্রধান। তাঁর কর্মস্থল ছিল মদীনা। ইকরামা বিন রিবয়ির দায়িত্ব ছিল ইরাকে। তাকে নিযুক্ত করেছিলেন বাশার বিন মারওয়ান। কা’কা বিন যারার ছিলেন কুফার পুলিশ-প্রধান। তিনি মদ্যপদের বিরুদ্ধে খুবই কঠোর ছিলেন। দানশীল বলে তাঁর সুনাম ছিল। ওমর বিন যায়দ আসাদি ছিলেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফের পুলিশ-প্রধান। কৃপণ বলে তাঁর দুর্নাম ছিল। একদিন শহরের বেশকিছু মানুষ তাঁর সাথে সাক্ষাত করতে আসে। তিনি তখন খেজুর খাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি আগন্তুকদের খেজুর সাধলেন না। শহরবাসী কিছু দাবী নিয়ে এসেছিল তিনি তা পূরণ করলেন না। আগত এই দলে ছিলেন হাকাম বিন আদল নামে এক কবি। তিনি ওমর বিন যায়দ আসাদির কৃপণতাকে কটাক্ষ করে লিখলেন

‘পেয়ালা ভরা খেজুর ছিল, আমরা যখন তার কাছে যাই,

খেতে দাওয়াত দেয়নি ওমর, দেয়ার কোনো ইচ্ছেও নাই।

তার দেহে দুই পোষাক ছিল, ইতরতা আর ভীরুতা,

কৃপণ যদি না হতো সে, তবে হত সবার নেতা।‘

হাজ্জাজ বিন ইউসুফও শুরু জীবনে কিছুদিন পুলিশ বিভাগে চাকরি করেছেন। সে সময়ও জুলুমের কারনে তার কুখ্যাতি ছিল। আবদুর রহমান তামিমি ছিলেন হাজ্জাজের আমলে কুফার পুলিশপ্রধান। মালিক বিন মুনজিরকে খালিদ বিন আবদুল্লাহ পাঠিয়েছিলেন বসরার পুলিশ প্রধান নিযুক্ত করে। তার উপর আদেশ ছিল কবি ফারাযদাককে বন্দি করতে হবে। তিনি এই আদেশ বাস্তবায়ন করেছিলেন। তবে কিছুদিন পরে তাকে অপসারিত করে বন্দি করা হয়। ১১০ হিজরিতে কারাগারেই তিনি মারা যান।

ইসহাক বিন ইবরাহিম দীর্ঘসময় বাগদাদের পুলিশপ্রধান ছিলেন। তিনি একাধারে খলিফা মামুন, মুতাসিম, ওয়াসিক ও মুতাওয়াক্কিলের সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি খলিফাদের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সাহসী যোদ্ধা হিসেবে তার সুনাম ছিল। ২১৫ হিজরিতে খলিফা মামুন রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করলে ইসহাক বিন ইবরাহিমকে তিনি বাগদাদ শহরের দায়িত্ব দিয়ে যান। বাবাক খুররামির সাথে লড়াইয়ের সময় খলিফা মুতাসিম তাকে সেনাবাহিনীর দায়িত্বে নিযুক্ত করেছিলেন। ২৩৫ হিজরি তথা ৮৫০ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর তার পুত্রকে তার পদে অধিষ্ঠিত করা হয়।

আল্লাম মাকরেজি। মিসরের বিখ্যাত ঐতিহাসিক। তার লিখিত ‘আল মাওয়ায়েজ ওয়াল ইতিবার বিজিকরিল খিতাতি ওয়াল আসার’ এবং ‘আস সুলুক লিমারিফাতি দুওয়ালিল মুলুক’ এখনো মামলুক সাম্রাজ্যের ইতিহাস জানার জন্য আকর গ্রন্থ বলে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন সময় প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে চাকরি করেছেন। কিছুদিন তিনি পুলিশবিভাগেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি বাজার ও নগর ব্যবস্থাপনা তদারকি করতেন। আহমান বিন ইবান ছিলেন আন্দালুসের বিখ্যাত আলেম। খলিফা হাকাম বিন মুস্তানসিরের শাসনামলে তিনি কর্ডোভার পুলিশপ্রধান ছিলেন। এমনই আরেকজন আলেম ছিলেন আবদুর রহমান বিন খালেদ। হাদিস শাস্ত্রে তিনি দক্ষ ছিলেন। ১০৯ হিজরিতে তাকে মিসরের পুলিশপ্রধান নিযুক্ত করা হয়। (৪)

পুলিশপ্রধানদের নিয়োগ দুই পদ্ধতিতে হতো। কখনো খলিফা সরাসরি নিয়োগ দিতেন। আবার কখনো উযির বা গভর্নররা নিয়োগ দিতেন। খলিফা কাউকে নিয়োগ দিলে খলিফার মৃত্যুর পরেও তাকে অপসারণ করা হতো না। তবে উযিরদের মাধ্যমে নিয়োগ পেলে খলিফার মৃত্যুর পর তাদেরকে সেই পদ থেকে সরানো হত।

সেসময় পুলিশবিভাগের সদস্যদের মধ্যে বেশকিছু গুনের দিকে লক্ষ্য করা হত। ইবনু আবির রবি খলিফা মুতাসিমের জন্য একটি গ্রন্থ লিখেছিলেন। এর নাম সুলুকুল মালিক ফি তাদরিবিল মামালিক। সেখানে তিনি পুলিশপ্রধানের গুনাবলি আলোচনা করতে গিয়ে লিখেছেন, তাকে হতে হবে ধৈর্য্যশীল, দূরদর্শী ও চিন্তাশীল। তিনি হাসবেন কম, চিন্তা করবেন বেশি। পাপাচার থেকে দূরে থাকবেন। শহরে কারা আসছে এসব সম্পর্কে অবগত থাকবেন। হুদুদ ও ফারায়েজগুলো তার জানা থাকবে।

পুলিশের লোকেরা এক ধরনের বড় ছুরি বহন করতেন সাথে। একে তবারজিন বলা হত। এছাড়া তাদের সাথে অস্ত্র বলতে থাকতো, তরবারী, বর্শা, তীর, চাবুক ও দড়ি। পুলিশ বাহিনীর কাছে মিনজানিকও থাকতো। তবে তা ব্যবহার করা হতো বড় কোনো লড়াই বা বিদ্রোহ সামাল দেয়ার সময়। যেমন খলিফা আমিন ও মামুনের মধ্যকার লড়াইয়ে মিনজানিক ব্যবহার করা হয়েছিল। (৫)

মুসলিম শাসনামলে পুলিশবিভাগের জন্য বড় অংকের বাজেট বরাদ্দ ছিল। আব্বাসি খলিফা আবু জাফর মানসুরের সময় এই বিভাগের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ ছিল প্রায় ৫ লাখ দিরহাম। খলিফা হারুনের শাসনামলেও বরাদ্দের পরিমান এমনই ছিল। খলিফা মুতাসিমের শাসনামলে পুলিশদের মাসিক বেতন ছিল ৫০ দিনার। তখন এই বিভাগে মাসিক ৬ হাজার দিনার ব্যয় করা হত। বেতনের বাইরেও পুলিশপ্রধানদেরকে খলিফা হাদিয়া দিতেন।। খলিফা মাহদি একবার তার পুলিশপ্রধান আবদুল্লাহ বিন মালিককে ৪০ হাজার দিরহাম উপহার দেন। (৬)

পুলিশপ্রধান হতেন তীক্ষ্ম বুদ্ধির অধিকারি। এমন এক পুলিশপ্রধানের ঘটনা লিখেছেন ইবনু কায়্যিমিল জাওযিয়্যা তার ‘আত তুরুকুল হুকমিয়্যা ফিস সিয়াসাতিশ শারইয়্যাহ’ গ্রন্থে। তিনি লিখেছেন, খলিফা মুকতাফির শাসনামলে চুরি বেড়ে গেল। প্রচুর চুরি হচ্ছিল। খলিফা পুলিশপ্রধানকে আদেশ দিলেন যে করে হোক চোরদেরকে গ্রেফতার করো। আদেশ পেয়ে পুলিশপ্রধান একা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে থাকেন। একদিন তিনি একটি সংকীর্ণ, নিরিবিলি গলিতে প্রবেশ করেন। গলির একটি বাড়ির সামনে প্রচুর মাছের কাটা দেখলেন। একইসাথে মাছের মেরুদন্ডের বড় একটি কাটাও পড়ে থাকতে দেখলেন। তিনি এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন, এখানে যে কাঁটা দেখা যাচ্ছে এই মাছটির দাম কেমন হবে? লোকটি জবাব দিল, এক দিনার। পুলিশপ্রধান বললেন, এই গলিতে মানুষের জীবনযাত্রার যে মান তাদের পক্ষে এক দিনার দিয়ে এই মাছ ক্রয় করা সম্ভব নয়। এখানে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচই কুলিয়ে উঠতে পারে না। এত বড় মাছ খাওয়ার সুযোগ কই তাদের। এখানে কোনো রহস্য আছে। সেই রহস্য জানা লাগবে আমার। এই বলে তিনি গলির আরেকটি বাড়িতে গেলেন। একজন বৃদ্ধা মহিলা দরজা খুলে দিল। তিনি পানি চাইলেন। মহিলা পানি এনে দিলে পুলিশপ্রধান মহিলার সাথে গল্প জুড়ে দিলেন। কথায় কথায় তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ঐ বাড়িতে কে থাকে? বলে তিনি যে বাড়ির সামনে মাছের কাঁটা দেখেছেন সেই বাড়ির দিকে ইশারা করলেন।

মহিলা বললেন, এই বাড়িতে ৫ জন যুবক থাকে। সম্ভবত তারা ব্যবসায়ী। তারা একমাস ধরে এখানে আছে। দিনের বেলা তাদেরকে দেখাই যায় না। তাদের কেউ বের হলেও দ্রুত আবার ফিরে আসে। তারা সারাদিন ঘরেই থাকে। আড্ডা দেয়, দাবা খেলে। তাদের খেদমতের জন্য অল্পবয়সী একজন চাকরও আছে। রাতের বেলা তারা কারখ শহরে তাদের আরেক বাড়িতে চলে যায়। এই বাড়িতে শুধু সেই চাকর থাকে। ভোরের দিকে তারা ফিরে আসে।

পুলিশপ্রধান মহিলাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চলে আসেন। কিছুক্ষণ পর তিনি ১০ জন পুলিশসহ সেই বাড়িতে যান। দরজায় টোকা দিতেই এক বালক ভৃত্য দরজা খুলে দেয়। পুলিশ সদস্যরা দ্রুত সেই বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেই পাঁচজন যুবকের সবাইকেই আটক করা হয়। ঘর তল্লাশি করতেই নিশ্চিত হলেন এরাই কিছুদিন ধরে শহরে চুরি করে আসছিল। এভাবে পুলিশপ্রধানের বুদ্ধিমত্তায় একটি রহস্যের মীমাংসা হলো।(৭)


সূত্র
—————
১। সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ৭১৫৫- আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বুখারি। দার ইবনু কাসির, ১৪২৩ হিজরি।

২। ফাতহুল বারি, ১৩/১৩৫ – আহমাদ বিন আলি বিন হাজার আসকালানি। আল মাকতাবাতুস সালাফিয়্যা।

৩। মা যা কদ্দামাল মুসলিমুনা লিল আলাম, পৃ- ৫০৩- ডক্টর রাগেব সিরজানি। মুআসসাসাতু ইকরা, ১৪৩০ হিজরি।

৪। আশ শুরতাহ ফিল ইসলাম, ১৩-২৮

৫। নাশআতুন ওয়া তাতওয়ারু জিহাযিশ শুরতাহ ফিদ দাওলাতিল ইসলামিয়্যাহ, পৃ- ২০১-২০৩ – ডক্টর ইসমাইল হুসাইন মুস্তফা। আম্মান, ২০১৫ খ্রিস্টাব্দ।

৬। আন নাফাকাত ওয়া ইদারাতুহা ফিদ দাওলাতিল আব্বাসিয়্যা, পৃ-৩৭২,৩৭৩ – ডক্টর যাইফুল্লাহ ইয়াহইয়া যাহরানি। মাকতাবাতুত তালিবিল জামি, ১৪০৬ হিজরি, মক্কা মুকাররামা।

৭। মা যা কদ্দামাল মুসলিমুনা লিল আলাম, পৃ- ৫০৬- ডক্টর রাগেব সিরজানি। মুআসসাসাতু ইকরা, ১৪৩০ হিজরি।


ইমরান রাইহান