১৯তম পর্ব – একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে – মজলিসের কাফফারা – শায়খ আতিক উল্লাহ


মজলিসের কাফফারা

বাঙালির আড্ডা দিতে বসলে আর হুঁশ থাকে! কতো রাজা উযীর যে মরে, তার ইয়ত্তা নেই। আর চা দোকানে বসলে? তাহলে সেরেছে! গ্রামের চা-দোকানগুলো একেকটা যেন জাতিসংঘের হেডকোয়ার্টার! মার্কিন নির্বাচন থেকে শুরু করে, পাড়ার ফুটবল ক্লাবের সদস্য নির্বাচনী এজেন্ডা পর্যন্ত এখান থেকেই ঘোষিত হয়!
আর ছাদে গিয়ে মোবাইলে ঘন্টা কে ঘন্টা ফিসফিসানি! অথবা ইনবক্সের ইটিস-পিটিস? দু’জন একসাথ হলেই হয়েছে, আগে তো পানের বাটা লাগতো, এখন তাও লাগে না! শুরু হয়ে যায় গীবত-শেকায়েতের ফুলঝুরি! জীবিত-মৃত কোন বাছবিছার নেই!

-ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের কথার কারণে কি আমাদেরকে পাকড়াও করা হবে?
-মু‘আয! মুখের কথার কারণেই অনেক মানুষকে উপুড় করে আগুনে ফেলা হবে! (তিরমিযী)।

বাঁচার উপায়? অহেতুক মুখ চালানো বন্ধ করার চেষ্টা করা। ছাগলস্বভাব দূর করার চেষ্টা করা। কথা বলার আগে চেষ্টা করা, আল্লাহ খুশি হবেন তো! তারপরও যদি ভুল হয়ে যায়? পাল্লায় পড়ে কিছু গুলগাপ্পি হয়েই যায়? সমস্যা নেই নবীজি সা. নিদান দিয়ে গেছেন! তিনি জানতেন আমরা দুর্বল!
= যে ব্যক্তি কোনও মজলিসে (বৈঠকে) বসলা, সেখানে অনেক আবোল-তাবোল বকবকানিও হলো, তাহলে সে বৈঠক (চ্যাট/ছাদালাপ/ক্লাসাড্ডা/ক্যান্টিনাড্ডা/অফিসাড্ডা) থেকে ওঠার আগেই পড়ে নিবে:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ.
এতক্ষণ যা গুনাহ হলো, আল্লাহ মাফ করে দিবেন (তিরমিযী)।

তবে গীবতের গুনাহ মাফ হবে না। সেটা সরাসরি ক্ষমা চাইতে হবে। দু‘আটা মুখস্থ করে নিতেই পারি। পাপ থেকে বাঁচতে পারবো না হয়তো। কিন্তু পাপের ভার কিছুটা লাঘব করতে তো পারি! কী পারি না!

উচ্চারণ লাগবে?
“সুবহা-নাকাল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লা- আনতা, আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইক”