৪৯তম পর্ব – একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে – আমি রাজি – শায়খ আতিক উল্লাহ


আমি রাজি

নবীজি সা.-এর হাদীস পড়ার সময় মাঝেমধ্যে একটা চিন্তা আমাদের খেয়াল থেকে ছুটে যায়:
-আমি যা পড়ছি, সেটা নিছক তথ্যগত জ্ঞান নয়, জীবনে ধারন করার মতো একটা আদর্শও বটে। বরং দ্বিতীয়টাই মূখ্য।

জীবনসফর শেষ করে আমরা সবাই কবরেই যাবো। এটা অমোঘ, খন্ডানো সম্ভব নয় কারো পক্ষেই। কবরে গেলেই দু’জন ফিরিশতা আসবে। তিনটা প্রশ্ন করবে। তিন প্রশ্নের উত্তরেই জীবনের সারাৎসার বেরিয়ে পড়বে। বারা বিন আযিব রা. বলেছেন: নবীজি দুই ফিরিশতার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, তারা এসে প্রশ্ন করবে:
مَنْ رَبُّكَ وَمَا دِينُكَ وَمَنْ نَبِيُّكَ؟
তোমার রব কে? তোমার দ্বীন কী? তোমার নবী কে? (আবু দাউদ)।

বাহ্যিকভাবে দেখলে বেশ নিরীহ প্রশ্ন। কোনও জটিলতা নেই। সারল্যে ভরা। বাস্তবে ব্যপারটা এমন নয়। আল্লাহ সহজ করে না দিলে, সেদিন কারো পক্ষে টু’শব্দ করার শক্তি থাকবে না।

-কার জন্যে সহজ করে দিবেন?
-যে পার্থিব জীবনে এই তিন বিষয় নিয়ে মশগুল ছিল, তার পক্ষেই কবরে গিয়ে গড়গড় করে উত্তর বলে দেয়া সম্ভব হবে!
এজন্যই নবীজি আমদেরকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন, আমরা যেন উক্ত বিষয়ত্রয় নিয়মিত বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি:
مَنْ قَالَ إِذَا أَصْبَحَ: رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا، وَبِالإِسْلامِ دِينًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا. فَأَنَا الزَّعِيمُ لآخُذَنَّ بِيَدِهِ حَتَّى أُدْخِلَهُ الْجَنَّةَ
যে ব্যক্তি সকালে বলবে: আমি আল্লাহকে রব হিশেবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি, ইসলামকে দ্বীন হিশেবে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি, মুহাম্মাদকে নবীরূপে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়েছি
আমি তার যিম্মাদার হয়ে যাবো। হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করা পর্যন্ত থামবো না (তাবারানী)।

আরেক হাদীসে আছে:
যে সন্ধ্যায় (উক্ত বাক্যগুলো) পড়বে, আল্লাহর ওপর ‘হক’ দাবী হয়ে পড়বে, তাকে সন্তুষ্ট করা! (তিরমিযী)

কী সহজ সুন্নাত, আমাদেরকে কবরে দৃঢ়পদ রাখবে। জান্নাতে প্রবেশ করাবে। আল্লাহ নিজেই তাকে সন্তুষ্ট করবেন আখেরাতে!

বাক্যগুলোর উচ্চারণ: রাদীতু বিল্লাহি রাব্বান, ওয়া বিল-ইসলা-মি দ্বীনান, ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যান।