ইয়াযিদ বিন আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান

ইয়াযিদ বিন আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান বিন হাকাম আবু খালিদ উমুয়ী দামেশকী ৭১ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার ভাই সুলায়মান বিন আব্দুল মালিকের ওসীয়ত অনুযায়ী উমর বিন আব্দুল আযীযের পর তিনি মসনদে আসীন হোন।

আব্দুর রহমান বিন যায়েদ বিন আসলাম বলেছেন,“তিনি খলীফা হওয়ার পর উমর বিন আব্দুল আযীযের পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলার ঘোষণা দেন। কিছুদিন এভাবে চলার পর চল্লিশ জন বৃদ্ধ লোক এসে সাক্ষ্য দিয়ে বললো,খলীফার যা ইচ্ছে তা করতে পারবেন। তার প্রতি কোন শাস্তি নেই,তাঁকে কোন জবাবদিহিও করতে হবে না।”

ইবনে মাজশুন বলেছেন,“উমর বিন আব্দুল আযীযের মৃত্যুর সময় ইয়াযিদ বিন আব্দুল মালিক কসম করে বলেন – ‘আল্লাহ তাআলার প্রতি উমর বিন আব্দুল আযীযের যে মুখাপেক্ষিতা ছিল,আমার তার চেয়ে বেশী থাকবে।’ তিনি চল্লিশ দিন তাঁকে পূর্ণ অনুসরণ করেন,এরপর তার পথ থেকে সরে দাঁড়ান।”

সালীম বিন বশীর বলেছেন,“উমর বিন আব্দুল আযীয জীবনের অন্তিম মুহূর্তে ইয়াযিদ বিন আব্দুল মালিকের প্রতি এ ওসীয়তনামা লিখে যান –

“আসসালামু আলাইকুম। এরপর, আমার অবস্থা সম্পর্কে আমি জানি। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের দায়িত্ব সম্পর্কে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করবে। তুমি পৃথিবীতে এমন লোক পাবে, যারা তোমার প্রশংসা করবে না; আর এমন লোক তোমার প্রতি অর্পিত হবে, যারা তোমাকে ক্ষমা করবে না। তোমার প্রতি সালাম।”

১০২ হিজরীতে ইয়াযিদ বিন মোহলাব খিলাফত দখলের ষড়যন্ত্র করলে মাসলামা বিন আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান তাকে প্রতিহত ও পরাজিত করে কারবালার নিকটবর্তী আকীর অঞ্চলে হত্যা করেন।

ইয়াযিদ বিন আব্দুল মালিক ১০৫ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন।

তার খিলাফতকালে যেসব ওলামা মাশায়েখ ইন্তেকাল তারা হলেন – যহাক বিন মাযাহিম,আদী বিন রতাত, আবুল মুতাওয়াক্কীল নাজী,আতা বিন ইয়াসার,মুজাহিদ,ইয়াহইয়া বিন ওতাব (কুফার বিখ্যাত শিক্ষক), খালিদ বিন মাআদান,শাআবী (ইরাকের প্রখ্যাত আলেম),আব্দুর রহমান বিন হাসসান বিন সাবিত,আবু কালাবাতুলজারমী,আবু বারদা বিন আবু মূসা আশআরী প্রমুখ।